রবিউল আউয়াল ১৪৪৩ || অক্টোবর ২০২১

মাহমুদ হাসান - মিরপুর, ঢাকা

৫৫৩৫. প্রশ্ন

আমার আব্বা আমার এক আত্মীয়ের সাথে শেয়ারে একটি বেকারি দেন। ব্যবসার মূলধন উভয়ে সমান হারে আদায় করার কথা হয়। কিন্তু ঐ আত্মীয়ের কাছে দোকানের সিকিউরিটি স্বরূপ প্রদেয় অর্থ ছিল না। তাই তিনি আব্বা থেকে এই টাকা ঋণ নেন। পাঁচ বছর পর তিনি এ ঋণ শোধ করেন।

প্রশ্ন  হল, আব্বার উপর কি এ টাকার উপর বিগত পাঁচ বছরের যাকাত ফরয হবে?

উল্লেখ্য, সে আত্মীয় বিগত পাঁচ বছরে প্রতি বছর এ টাকার যাকাত দিয়েছেন। তার ধারণা ছিল, এ টাকা যেহেতু তার পক্ষ থেকে সিকিউরিটি হিসেবে জমা ছিল তাই তার যাকাত দিতে হবে।

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার বাবা যেহেতু ঐ টাকা করজ দিয়েছেন এবং টাকাগুলো তার হাতে না থাকলেও তিনি এই টাকার মালিক, তাই ঐ টাকার বিগত পাঁচ বছরের যাকাত আপনার বাবার উপরই ফরয ছিল। সুতরাং টাকাগুলো উসূল হয়ে যাওয়ায় এখন অন্যান্য সম্পদের যাকাতের সাথে ঐ টাকার বিগত পাঁচ বছরের যাকাত আপনার বাবাকেই আদায় করতে হবে। আর আপনার আত্মীয় যেহেতু টাকাগুলোর মালিক ছিল না, তাই তার উপর যাকাত দেওয়া ফরয ছিল না। সুতরাং তার নিজের উপর ফরয ভেবে আদায় করা সহীহ হয়নি। আর এই আদায়কৃত যাকাত আপনার বাবার পক্ষ থেকেও ধরা যাবে না। কেননা তিনি আপনার বাবাকে জানিয়ে তার অনুমতি নিয়ে দেননি। ঐ দানকৃত টাকা দাতার পক্ষ থেকেই নফল সদকা হিসাবে গণ্য হবে।

-কিতাবুল আছল ২/৯৭; আলমাবসূত, সারাখসী ২/১৯৫, ৩/১৪, ৩৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/২৪৪; ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃ. ২৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/৯০, ১৪৫; আলবাহরুর রায়েক ২/২১০; রদ্দুল মুহতার ২/২৬৯

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন