মুহাররম ১৪২৯ || জানুয়ারি ২০০৮

মুহাম্মদ আলী - বাসা-২২/২৩৯, ২৪০, এভি-৫ <br> ব্লক-সি, মিরপুর, ঢাকা

১১৫৫. প্রশ্ন

আমি মুহাম্মদ আলী। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আয়নাল হক সাহেবের বাড়ি বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর বাড়িটি আ. রশিদ সাহেবের কাছে বিক্রির প্রস্তাব করি। চূড়ান্ত প্রস্তাব অনুযায়ী বাড়িটি সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা বিক্রয় মূল্য সাব্যস্ত হয় এবং ৩ মাসে সকল মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে বায়নানামা হয়। তিনি ৩ মাসে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এদিকে ৩ মাস সময় অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পর বাড়ির মালিক আমাকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ প্রদান করলে আমি রশিদ সাহেবকে জানালে তিনি বাকী টাকা প্রদান করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে আমি আবুল হোসেন সাহেবকে (রশিদ সাহেবের বাসায়)-এর কাছে একই মূল্যে বাড়ি বিক্রির প্রস্তাব করি। আবুল হোসেন সাহেব বাড়িটি ক্রয়ের পর আমাকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ৫০,০০০/- টাকা প্রদান করেন এবং রশিদ সাহেবকে (পূর্বের বায়নাকারী হিসেবে) ১৫,০০০/- টাকা প্রদান করেন। বর্তমানে রশিদ সাহেব সমাজে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন উক্ত ৫০,০০০/- টাকা গ্রহণ করা আমার হারাম হয়েছে। অথচ তিনি নিজেও ১৫,০০০/- হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন। হুজুরের কাছে আবেদন উক্ত সমস্যার বিষয়ে কুরআন-হাদীসের আলোকে আমাকে সমাধান দিয়ে শুকরিয়া আদায় করার সুযোগ দিবেন।

উত্তর

প্রশ্নোক্ত বর্ণনা যদি সত্যি হয় তবে মধ্যস্থকারী হিসেবে উক্ত ৫০,০০০/-  টাকা গ্রহণ করা আপনার জন্য নাজায়েয হয়নি। তাই আপনার এ টাকা গ্রহণকে হারাম বলা ঠিক নয়।

-রদ্দুল মুহতার ৬/৬৩, ফাতাওয়া খানীয়া ২/৩২৬, আল মুহীতুল বুরহানী ১২/১১৮, তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ১/৩৩৭, ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ৫/৪০

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন