যিলকদ ১৪২৯ || নভেম্বর ২০০৮

মুহাম্মাদ শোয়াইব - ঢাকা

১৪৬৩. প্রশ্ন

আমি একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। আমার উপর কোনো বছর যাকাত ফরয হয় আবার কোনো বছর ফরয হয় না। কিন্তু আমি প্রতি বছর কুরবানী করি। সেদিন আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব বললেন, যে বছর আপনার উপর যাকাত ফরয হয় না সে বছর আপনার কুরবানী করা লাগবে না। এখানে আমার প্রশ্ন হল, ইমাম সাহেবের কথা ঠিক কি না? আর বাস্তবে কতটুকু সম্পদ থাকলে কুরবানী ওয়াজিব হয়? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।

উত্তর

ইমাম সাহেবের ঐ কথা ঠিক নয়। কারণ যাকাত ও কুরবানী দুটো পৃথক পৃথক ইবাদত এবং উভয়ের ওয়াজিব হওয়ার কারণও ভিন্ন। একটি ফরয না হয়ে থাকলে অপরটিও হয় না এমন ধারণা ঠিক নয়; বরং যার কাছে কুরবানীর দিনগুলোতে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্য পরিমাণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।উল্লেখ্য, কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে টাকা-পয়সা, সোনা-রুপার অলংকার ও ব্যবসায়িক পণ্যের সাথে সাথে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্র এমনকি ব্যবহার্য আসবাবপত্রও প্রয়োজন অতিরিক্ত হলে তা ধর্তব্য হবে। অথচ যাকাতের ক্ষেত্রে এগুলো হিসাবযোগ্য নয়।

-বাদায়েউস সানায়ে (কায়রো) ৬/২৮০; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯২

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন