জুমাদাল উলা-জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪২ || জানুয়ারি ২০২১

সাদ্দাম হোসেন - নড়িয়া, শরীয়তপুর

৫২৯১. প্রশ্ন

আমার এক বন্ধুর নানা আটরশির ভক্ত ছিলেন। তিনি এলাকার মসজিদের সভাপতিও ছিলেন। সভাপতি থাকাকালীন  তিনি তার একটি দোকান মসজিদের কল্যাণে ওয়াকফ করেন। দোকানের ভাড়ার অর্থ দিয়ে মসজিদের স্টাফদের বেতন দিতেন এবং প্রসিদ্ধ রাতগুলোতে (শবে বরাত, শবে কদর, ঈদে মিলাদুন্নবী) পুরো মসজিদে লাইটিং করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর এখন আমার বন্ধুর মামা ঐ মসজিদের সভাপতি। নির্ধারিত রাতগুলোতে ঐ দোকানের ভাড়ার অর্থ দিয়ে লাইটিং করতে চাইলে আমার বন্ধু ওর মামাকে নিষেধ করে। তখন ওর মামা বলেন, আমারও এগুলো পছন্দ না। কিন্তু আমার বাবা তো ওয়াকফের সময় এগুলোর শর্ত করেছেন। এখন আমি না করি কীভাবে? এখন মুহাতারামের নিকট জানতে চাচ্ছি, ঐ দোকানগুলোর ভাড়ার অর্থ দিয়ে কি নির্ধারিত রাতগুলোতে লাইটিং করা জরুরি?

উত্তর

ওয়াকফকারী যদি শরীয়ত পরিপন্থী কোনো শর্ত করে তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হয় না। আর মসজিদ লাইটিং করার রেওয়াজটি এমনিতে অপচয় ও অন্যায়। উপরন্তু বিশেষ রাতকে উপলক্ষ করে করা বিদআত। তাই ওয়াকফকারী এমন কথা বললেও তা করা যাবে না। এ বাবদ সকল টাকা মসজিদ ফান্ডে দিয়ে দিতে হবে। যা মসজিদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

-ফাতহুল কাদীর ৫/৪১৭; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/২৯১; আলবাহরুর রায়েক ৫/২১৫; রদ্দুল মুহতার ৪/৩৪৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন