জুমাদাল উলা-জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪২ || জানুয়ারি ২০২১

আফসানা মীম - খুলনা

৫২৮৩. প্রশ্ন

আমার স্বামী খুবই রাগী। কাজ কামে একটু উলট-পালট হয়ে গেলেই তিনি আমাকে গালি-গালাজ করতেন। মাঝেমাঝে মারধরও করতেন। বিষয়টি নিয়ে একজন আলেমের সাথে কথা বললে তিনি আমার স্বামীকে চিল্লায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। আমি অনেক বুঝিয়ে তাকে চিল্লায় পাঠাই। চিল্লা থেকে এসে আমাকে গালি-গালাজ করা, মারধর করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। একদিন তার আগের আচরণ নিয়ে কথা উঠলে তিনি বলেন-আমি তওবা করেছি যে, তোমাকে কখনো মারব না, যদি মারি তাহলে তুমি তালাক। তালাকের কথাটি দৃঢ়ভাবে বেঁচে থাকার জন্যই বলেছিলেন। কিছুদিন আগে বিশেষ মুহূর্তে রসিকতা করে তিনি আমার পিঠে আঘাত করেছিলেন। আমি এখন খুবই চিন্তিত যে, আমাদের বিবাহ ভেঙে গেছে কি না? ভেঙে গিয়ে থাকলে এখন আমাদের একসাথে সংসার করার জন্য কী করতে হবে? দয়া করে উক্ত সমস্যার সমাধান জানিয়ে আমাদের উপকৃত করবেন।

উত্তর

রসিকতা করে কাউকে থাপ্পড় দেওয়া মারার আওতায় পড়ে না। তাই ঐ কারণে আপনার স্বামীর শপথ ভাঙেনি এবং আপনার উপর কোনো তালাকও পতিত হয়নি। সুতরাং আপনি স্বামীর সাথে আগের মতই ঘর-সংসার চালিয়ে যেতে পারবেন।

উল্লেখ্য, দাম্পত্যজীবনে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের হকের ব্যাপারে খুব সচেতন থাকা উচিত। এ ব্যাপারে তাকওয়া তথা আল্লাহভীতি জরুরি। কুরআন মাজীদে স্ত্রীর প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর স্ত্রীকে স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং তার বৈধ কথা মান্য করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে স্বামীর পূর্বের আচরণ জুলুম ছিল তা স্পষ্ট আর তালাকের শর্ত জুড়ে দেওয়া বাড়াবাড়ি ও অন্যায়। এ থেকে তাকে তওবা-ইস্তেগফার করতে হবে।

-ফাতাওয়া খানিয়া ২/১১১; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ২/২০৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৬/২১৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৩/৫২৬; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর ২/৩৮২

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন