জুমাদাল উলা ১৪৪০ || ফেব্রুয়ারি ২০১৯

হাফেয শাহাদত করীম - কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

৪৭১৩. প্রশ্ন

আমাদের এলাকায় কারো মৃত্যু হলে দূর-দূরান্ত থেকে আগত লোকদের জন্য মেহমানদারির ব্যবস্থা করা হয়। এবং জানাযার নামাযের পূর্বে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাদেরকে খাবারের দাওয়াত দেওয়া হয়। এবং খাবার না খেয়ে চলে না যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে

অনুরোধ করা হয়।

কিছুদিন আগে এক জানাযার পূর্বে মৃতের ছেলে এভাবে বললে স্থানীয় ইমাম সাহেব মাইক হাতে নিয়ে রাগতস্বরে বলেন, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে খাবারের আয়োজন করা বিদআত। এটা পরিহার করতে হবে। শরীয়তের নিয়ম হল, অন্যরা মায়্যেতের বাড়িতে খাবার পাঠাবে। তার ঘরে আগুন জ¦লবে না। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

হযরত মুফতী সাহেবের কাছে জানার বিষয় হল, এক্ষেত্রে শরীয়তের সঠিক নির্দেশনা কী? কেউ যদি অন্যদের চাপাচাপিতে বাধ্য হয়ে খাবারে শরীক হয় তবে কি সে গুনাহগার হবে?

উত্তর

জানাযায় শরীক লোকদের জন্য মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে খাবারের আয়োজন করা একটি গলদ প্রথা, যা বর্জন করা জরুরি। অবশ্য কেউ যদি অনেক দূর থেকে জানাযার জন্য আসে। তবে তার মেহমানদারি করা ভিন্ন বিষয়। আর ‘মৃতের ঘরে’ আগুন জালানোই যাবে না এ কথাটি ঠিক নয়। মৃতের পরিবার সর্বাবস্থায় নিজেদের প্রয়োজনে তাদের চুলায় রান্না-বান্না করতে পারবে। অবশ্য আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের কর্তব্য মৃতের বাড়ীতে মৃত্যুর দিন অন্তত খানা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা। হাদীসে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

-সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৬১২; ফাতহুল কাদীর ২/১০২; আলমুগনী, ইবনে কুদামাহ ৩/৪৯৬; ইলাউস সুনান ৮/৩৩০; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর ১/৩৮৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন