শাওয়াল ১৪৩৮ || জুলাই ২০১৭

খন্দকার মাহফুজুর রহমান - উত্তরা, ঢাকা

৪১২৩. প্রশ্ন

মুহতারাম, যথাবিহীত সম্মান প্রর্দশন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমাদের এলাকায় একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ রয়েছে। উক্ত মসজিদে আমরা প্রায় ৪০-৫০ বছর যাবৎ নামায পড়ে আসছি। কালের বিবর্তনে বসত বাড়ি বেড়ে যাওয়ায় মসজিদটি এলাকার বাড়ি-ঘরের ভেতরে পড়ে যাচ্ছে এবং মুসল্লিদের জায়গা হচ্ছে না। যার কারণে আমরা মসজিদটি স্থানান্তর করতে চাচ্ছি। উল্লেখ্য যে, উক্ত জায়গাটি পূর্বপুরুষদের ছিল। ঐ জায়গাটি তারা লিখিত কিংবা মৌখিক কোনোভাবেই ওয়াকফ করে যাননি। কিন্তু ঐ জায়গায় তারা সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে স্ব উদ্যোগে একটি ঘর নির্মাণ করে দিয়ে যান এবং সেটাকে তারা শরয়ী মসজিদ হিসেবেই জানতেন। এখন পর্যন্ত এভাবেই চলে আসছে। এখন জানার বিষয় হচ্ছে, মসজিদটি স্থানান্তরিত করা যাবে কি না? করা গেলে পূর্বের জায়গাটি কোন্ অবস্থায় রাখতে হবে? জানালে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

 

উত্তর

প্রশ্নের বর্ণনানুযায়ী মসজিদটি যেহেতু জমির মালিকগণই নির্মাণ করে দেন এবং তখন থেকেই তা মসজিদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তাই তা পূর্ণ শরয়ী মসজিদ হয়ে গেছে। লিখিত বা মৌখিক ওয়াকফ করা হয়নি এ অজুহাতে তাকে শরঈ মসজিদ না বলার অবকাশ নেই। কেননা জায়গার মালিক কর্তৃক কোনো স্থানে মসজিদের জন্য ঘর নির্মাণ করে নামাযের জন্য স্থায়ীভাবে দিয়ে দিলেই তা শরঈ মসজিদ হয়ে যায়। সুতরাং প্রশ্নোক্ত মসজিদটিও শরঈ মসজিদ। বসতবাড়ি বেড়ে যাওয়া, জায়গার সংকীর্ণতা ইত্যাদি কারণে তা স্থানান্তর করা জায়েয হবে না। বরং মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে সমস্যার অন্য সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এক্ষেত্রে মুসল্লিদের সংকুলান না হলে এটিকে বহুতল ভবনের পরিকল্পনায় নিয়ে পুনঃনির্মাণ করা যেতে পারে। এছাড়া এ মসজিদটি যথাস্থানে চালু রেখে অন্যত্র সুবিধাজনক স্থানে ভিন্ন আরেকটি মসজিদও নির্মাণ করা যেতে পারে।

-আলমাবসূত, সারাখসী ১২/৩৪; আলমুহীতুল বুরহানী ৯/১২৪,১২৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৪৫৪,৪৫২; রদ্দুল মুহতার ৪/৩৫৬

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন