জুমাদাল আখিরাহ ১৪৩৯ || মার্চ ২০১৮

ওমর ফারুক - যাত্রাবাড়ি, ঢাকা

৪৩৬১. প্রশ্ন

বর্তমানে অধিকাংশ ট্রেনেই নামায আদায়ের ব্যবস্থা থাকে। তবে ট্রেন চলা অবস্থায় দাঁড়িয়ে নামায পড়া বেশ কষ্টকর। কারণ ঝাঁকুনির দরুণ পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাছাড়া নামায পড়া অবস্থায় ট্রেন দিক পরিবর্তন করলে কেবলা ঠিক রাখা সম্ভব হয় না। এমতাবস্থায় সফরকালে ট্রেনে নামায পড়ব কীভাবে? দয়া করে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।

 

উত্তর

ফরয নামায যথাসাধ্য দাঁড়িয়ে আদায় করা ফরয। তাই ট্রেনে সফরকালেও যথাসম্ভব দাঁড়িয়ে নামায পড়তে চেষ্টা করবে। দাঁড়িয়ে নামায পড়া বেশি কষ্টকর হলে কিংবা সম্ভবই না হলে বসে পড়ার অবকাশ আছে। আর নামাযে কেবলার দিক ঠিক রাখা ফরয। তাই ট্রেনে নামায শুরু করার পূর্বে কেবলার দিক সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তারপর নামায পড়বে। নামায পড়া অবস্থায় ট্রেন দিক পরিবর্তন করলে নামাযী তা বোঝা মাত্রই কেবলার দিকে ঘুরে যাবে। কেননা কেবলার দিক পরিবর্তনের কথা জানা সত্ত্বেও নামাযী যদি কেবলার দিকে না ঘুরে তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে। তবে শুরুতে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়ানোর পর যদি নামায পড়া অবস্থায় ট্রেন কেবলার দিক থেকে ঘুরে যায় এবং নামাযী তা জানতে না পারার কারণে সেভাবেই নামায পড়ে নেয় তাহলে নামায হয়ে যাবে।

-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ৪৫৫২; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৩০; বাদায়েউস সানায়ে ১/২৯১; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৪৫; রদ্দুল মুহতার ২/১০১; ইলাউস সুনান ৭/২১২

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন