জুমাদাল উলা-১৪৩২ || এপ্রিল-২০১১

মুহাম্মাদ আশরাফ বিন আলতাফ - জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়া

প্রশ্ন

মাকতাবুস সফার ফাতহুল বারী ও যাকারিয়া বুক ডিপো হিন্দুস্থানের উমদাতুল কারীর তারকীম শায়খ ফুয়াদ আবদুল বাকী রাহ.-এর। তাই দেখি, উভয়টির নাম্বারের মধ্যে হুবহু মিল। আর আল্লামা মুফতী রফী উসমানী মুদ্দাযিল্লুহুল আলীর তালীকাতের সাথে মাকতাবাতুল আশরাফিয়া দেওবন্দ-এর মওসূয়ায়ে ফাতহুল মুলহিমের তারকীম হচ্ছে নূরুল বাশার ইবনে নূরুল হক সাহেবের।  

এখন উক্ত ফাতহুল বারীর আতরাফে মুসলিম শরীফের যে নাম্বার উল্লেখ করা হয়েছে এই ফাতহুল মুলহিমে তার মিল খুঁজে পাচ্ছি না। পূর্বাপর তালাশ করেও ব্যর্থ হয়েছি। বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়ার বিনীত অনুরোধ রইল।  

 

উত্তর

ফাতহুল মুলহিম ও তাকমিলার যে সংস্করণটি করাচীর জামেয়া ফারুকিয়ার উস্তায মাওলানা নূরুল বাশার বিন নূরুল হক সাহেবের তাহকীককৃত, এতে তাকরার সহকারে প্রত্যেক হাদীসের বিভিন্ন তরীক ভিন্ন ভিন্নভাবে হিসাব করে একটি নাম্বার দেওয়া হয়েছে। সহীহ মুসলিমের অন্য নুসখায় এই নাম্বারটি নেই। হয়ত এই কারণেই আপনি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।

সাধারণত সহীহ মুসলিমের অন্যান্য নুসখায় হাদীসের সাথে দুটি নাম্বার দেওয়া থাকে। একটি নাম্বার হল অধ্যায়ভিত্তিক। প্রত্যেক অধ্যায়ের হাদীসগুলোর জন্য আলাদা আলাদা নাম্বার দেওয়া হয়েছে।

এই নাম্বারটির পরে বন্ধনীর ভেতরে আরেকটি নাম্বার থাকে। এ দুটি নাম্বার শায়খ ফুয়াদ আবদুল বাকী রাহ.-এর তারকীম অনুযায়ী দেওয়া হয়ে থাকে। বন্ধনীর ভিতরের নাম্বারটি পুরো সহীহ মুসলিমের ধারাবাহিক নাম্বার, যেখানে মুকাররার হাদীসগুলোতে আলাদা নাম্বার দেওয়া হয়নি। একই হাদীসের বিভিন্ন তরীক মিলিয়ে একটি হাদীস ধরা হয়েছে। সাধারণত সহীহ মুসলিমের হাদীসের ক্রমিক নাম্বার হিসেবে এটিকেই উল্লেখ করা হয়ে থাকে। সম্ভবত আপনার জিজ্ঞাসিত ফাতহুল বারীতেও এই নাম্বারটি দেওয়া হয়েছে।

এই দুটি নাম্বার সহীহ মুসলিমের প্রায় নুসখায় ছিল। কিন্তু নূরুল বাশার সাহেব মুকাররারসহ হিসাব করে এবং একটি হাদীসের প্রত্যেক তারীককে আলাদা আলাদা হিসাব করে নাম্বার দিয়েছেন, যা আপনি মাওসূয়ায়ে ফাতহিল মুলহিমে দেখতে পেয়েছেন।

বর্তমানে দারুল কলম দামেশক থেকে ফাতহুল মুলহিম ও তাকমিলা একত্রে দৃষ্টিনন্দন মুদ্রনে প্রকাশিত হয়েছে। এটিতে তিনটি নাম্বারই আছে। প্রথমে নূরুল বাশার সাহেবের দেওয়া নাম্বার, তারপর অন্যান্য নুসখায় সাধারণভাবে বিদ্যমান দুটি নাম্বার।

সাধারণভাবে শেষোক্ত নাম্বারটিই হল সহীহ মুসলিমের ধারাবাহিক হাদীস নাম্বার। এই নাম্বার হিসেবেই   বিভিন্ন কিতাবে হাওয়ালা দেওয়া হয়।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন