শাবান-রমজান ১৪৩১ || আগস্ট-সেপ্টেম্বর ২০১০

মুহাম্মাদ মাহী বিন আবদুল্লাহ ও মুহাম্মাদ ইসমাঈল হুসাইন -

প্রশ্ন

ক) আমরা যে উদ্দেশ্যে মাদরাসায় পড়ছি তার অন্যতম হল মানুষের কাছে আল্লাহর দ্বীনকে পৌঁছে দেওয়া। বর্তমানে আমাদেরকে সাধারণত ৪টি ভাষায় এই ইলম শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। আরবী, উর্দূ, বাংলা ও ফার্সী। প্রশ্ন হল, যুগ চাহিদানুযায়ী কোনটির উপর কী পরিমাণ দক্ষতা অর্জন করা উচিত।
খ) ইলমে মানতেক কতটুকু প্রয়োজন? কিতাব বোঝার জন্য এই ইলম বোঝা শর্ত কি না?
গ) নাহু-ছরফে কী পরিমাণ পাণ্ডিত্য অর্জন করা জরুরি।

উত্তর

ক) আপনাদের মাদরাসায় যে ভাষাটিকে যতটুকু পরিমাণে পড়ানো হয় এই মুহূর্তে ততটুকু ভালোভাবে পড়া আপনাদের কর্তব্য। আরবী ভাষা দ্বীন ও ইলমের ভাষা। আরবী ভাষা কুরআন, সুন্নাহ ও শরীয়ার মৌলিক জ্ঞান অর্জনের জন্য চাবিকাঠি। তাই তা একজন তালিবে ইলমের কাছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়ার দাবী রাখে। সাথে সাথে আপনার আর আপনার কওমের মধ্যকার দাওয়াতী ও দ্বীনী সম্পর্ক তৈরি করতে বাংলা ভাষারও কোনো বিকল্প নেই। আর ভারত উপমহাদেশের আকাবিরদের লেখা অসংখ্য উলূম ও মাআরিফ এখনও রয়ে গেছে উর্দূ ভাষায়। তাদের সাথে আত্মিক সম্পর্ক গড়ার জন্য উর্দূ ভাষারও প্রয়োজন। বাকি রইল ফার্সী ভাষা। দ্বীনের মৌলিক পর্যায়ের কোনো বিষয় এর উপর মাওকূফ নয়, কিন্তু তাসাওউফ, মারেফাত ও হিকমতের অনেক কিছু ফার্সী রচনাবলিতেও রয়েছে। উৎসাহী কারো জন্য এই ভাষা শিক্ষা করাও ফায়দা থেকে খালি নয়। যাই হোক, প্রত্যেক ভাষা অর্জনের মূল মাকসাদ বলে দেওয়ায় আপনি সহজে বুঝতে পারবেন যে, কোনটি অর্জনে কতটুকু মেহনত করা দরকার। আল্লাহ তাআলা তাওফীক দান করুন। আমীন।
খ) এ বিষয়ে আলকাউসারে আকাবিরদের হাওয়ালায় লেখার তাওফীক হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। অনুগ্রহ করে আপনারা উভয়ে তা পড়ে নিন।
গ) নাহু-ছরফ অসীলা পর্যায়ের ইলম। সঠিকভাবে আরবী পড়া, বোঝা ও নির্ভুলভাবে লিখতে পারা তথা আরবী ভাষাজ্ঞানকে সু-সংহত করার জন্যই আরবী ব্যাকরণ বা নাহু-ছরফের প্রয়োজন হয়। অতএব কিতাবী ইসিদাদকে পাকা করার জন্য যতটুকু ব্যাকরণ প্রয়োজন তা প্রত্যেক আলেমে দ্বীনের অর্জন করা জরুরী।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন