শাবান-রমজান ১৪৩১ || আগস্ট-সেপ্টেম্বর ২০১০

মুহাম্মাদ আনিস বেদার - চট্টগ্রাম

প্রশ্ন

ক) আমি আগামী বছর জালালাইন-মিশকাত জামাতে পড়ব ইনশাআল্লাহ। আমাদের মাদরাসায় উক্ত জামাতে তাফসীরে জালালাইন, মিশকাতুল মাসাবীহ, নুখবাতুল ফিকার, শরহুল আকাইদ, আলখিয়ালী আলা শরহিল আকাইদিন নাসাফিয়্যাহ ও আকীদাতুত তাহাবী কিতাব পড়ানো হয়। এই কিতাবগুলো ভালোভাবে বোঝার জন্য কোন কোন শরাহ মুতালাআ করতে পারি জানালে কৃতজ্ঞ হব। এ বিষয়ক আরবী, উর্দূ ও বাংলা ভাষার কিছু অনুবাদ ও শরহগ্রন্থের তালিকা জানালে ভালো হয়।
খ) ...।

উত্তর

ক) আসলে এইসব কিতাবের কত শরহ, অনুবাদ ও নোট বের হয়েছে তা আমার নিজেরও জানা নেই। আর তার তেমন দরকারও নেই। প্রতিদিনই তো কত ধরনের নোট বাজারে আসছে। আসলে প্রয়োজন মুতকান শরহ ও ব্যাখ্যাগ্রন্থের, যা কিতাব হল করা, ফনের সাথে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি এবং মুসান্নিফের মাকসাদ নির্ধারণে সহায়তা করে। একজন তালিবে ইলম এই ধরনের শরহ সংগ্রহ করতে পারে এবং পড়তে পারে। যাই হোক, প্রশোক্ত কিতাবগুলোর জন্য উল্লেখিত মানে শরহ-ই খোঁজ করুন। এই জন্য আলকাউসারের বিগত সংখ্যাগুলোর সহায়তা নিন। কিন্তু একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন যে, একজন তালিবে ইলমের এই পরিমাণ কিতাবী ইসতিদাদ অবশ্যই থাকা উচিত যে, সে কোনো ধরনের শরহের সাহায্য ছাড়াই কিতাব হল করতে পারে। শরহ প্রয়োজন তো হয় মূলের কোনো কথা একেবারে অস্পষ্ট হলে তা হল করা কিংবা মূলের চেয়ে অতিরিক্ত কোনো ফায়দা হাসিলের জন্য। তাই সরাসরি মূল কিতাব হল করার জন্য মেহনত না করে একজন তালিবে ইলমের শরহের পেছনে পড়ে থাকা কোনোমতেই উচিত নয়। আর নোট জাতীয় বইপত্রের পেছনে পড়ার তো প্রশ্নই আসে না। খ) অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা যদি না থাকে তাহলে আল্লাহর উপর ভরসা করে আপনি চিল্লায় বের হতে পারেন। আর কুরআন মজীদের হিফয ঠিক রাখার জন্য আপনি এই ব্যবস্থাও করতে পারেন যে, আমীর সাহেবের পরামর্শসাপেক্ষে চিল্লার মধ্যে আপনার যে সব সাথীরা থাকবে, তাদের মধ্যে দু’একজনকে নিয়ে আপনি আলাদা তারাবীর ইন্তিজাম করে নিবেন। জামাতে আপনার মতো আরেকজন হাফেযে কুরআন পেলে তো কোনো কথাই নেই। তবে লক্ষ্য রাখবেন যেন এর দ্বারা অন্য কারো কোনো সমস্যা না হয়। বিশেষত এলাকার মসজিদের মুসল্লীদের। আল্লাহ তাআলা আপনাকে তাওফীক দান করুন। আমীন।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন