জুমাদাল আখিরাহ ১৪২৮ || জুলাই ২০০৭

মুহাম্মাদ হাছানুজ্জামান - জামাতে জালালাইন, ফরিদাবাদ মাদরাসা, ঢাকা-১২০৪

প্রশ্ন

আমি এ বছর জালালাইন জামাতে হেদায়া কিতাব পড়ছি। আমার প্রশ্ন এই যে, হেদায়া কিতাবে যে দলিল প্রমাণগুলো পেশ করা হয়েছে তা মুসান্নিফ রাহ. নিজের পক্ষ থেকে পেশ করেছেন নাকি পূর্ববর্তীদের নিকট থেকে পেশ করেছেন।

আর হেদায়া কিতাব কীভাবে পড়লে বেশি উপকৃত হওয়া যাবে? জানালে কৃতজ্ঞ হব।

উত্তর

হিদায়া ও অনুরূপ অন্যান্য ফিকহী কিতাবে দুই ধরনের দলীলই উল্লেখিত হয়েছে।

এক. স্বয়ং আইম্মায়ে মাযহাব যে দলীলগুলো পেশ করেছেন।

দুই. হিদায়া গ্রন্থকার পূর্ববর্তী ফকীহ মুহাদ্দিসগণের কিতাব থেকে যে দলীলগুলো নির্বাচন করেছেন। এই দুই প্রকারের বাইরে সামান্যসংখ্যক এমন দলীলও থাকতে পারে, যেগুলো সর্বপ্রথম হিদায়া গ্রন্থকারই উল্লেখ করেছেন। এখন হিদায়ার কোন দলীলটি কোন প্রকারের তা তাহকীক করতে হলে আইম্মায়ে মাযহাব এবং মুতাকাদ্দিমীন ফুকাহা মুহাদ্দিসীনের হাদীস, ফিকহুল হাদীস, আলফিকহুল মুদাল্লাল, আলফিকহুল মুকারান এবং ফিকহুল খিলাফিয়াত বিষয়ক কিতাবগুলো অত্যন্ত গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে হবে। এ কিতাবগুলোর একটি বিশাল অংশ এখনও মুদ্রিত আকারে কিংবা অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি আকারে বিদ্যমান রয়েছে। উপরোক্ত দৃষ্টিকোণ থেকেও হিদায়ার একটি শরাহ রচিত হওয়া দরকার। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে অন্তরের অন্তস্থল থেকে দুআ করছি, আল্লাহ যেন তাঁর কোনো বান্দার মাধ্যমে এ কাজটি করিয়ে নেন।

এখন আপনার জন্য এ বিষয়ে জানা কঠিন হবে, তবে এতে পেরেশান হওয়ারও কিছু নেই। কেননা, এই দলীল সর্বপ্রথম কে পেশ করেছেন, তা মূল বিষয় নয়; বরং দলীলটি কতটুকু শক্তিশালী এবং এ দলীল দ্বারা আলোচ্য বিষয় কীভাবে প্রমাণিত হয় তা জানাই হল মূল বিষয়। এ প্রসঙ্গে সার্বিক বিষয়ে হিদায়া গ্রন্থকারের এ কথাটি সঠিক-

جمعت فيه بين عيون الرواية ومتون الدراية

অর্থাৎ এ কিতাবে তিনি ফিকহী রিওয়ায়াতগুলোও বাছাই করে এনেছেন এবং দিরায়া অর্থাৎ দলীলও (তা আকলী দলীল হোক বা নকলী) শক্তিশালী দলীল এনেছেন। আরও বিস্তারিত আলোচনার জন্য সামনের প্রশ্নের উত্তরটি দেখুন।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন