মাসুম বিল্লাহ - নাজিরপুর, পিরোজপুর

প্রশ্ন

আমরা আসাতিযায়ে কেরামের কাছে প্রায়ই দুজন আলেমের নাম শুনি, হযরত মুফতী ওলী হাসান টোংকী রাহ. এবং হযরত মাওলানা হায়দার হাসান টোংকী রাহ.তাঁদের জীবনী বিষয়ে কোনো কিতাব আছে কি? তাদের সম্পর্কে জানতে কী পড়তে পারি?

উত্তর

হযরত মাওলানা হায়দার হাসান খান টোংকী রাহ. (জন্ম আনুমানিক ১২৮১ হি., মৃত্যু ১৩৬১ হি.) ছিলেন মুফতী ওলী হাসান টোংকী রাহ.-এর ওয়ালিদ মাওলানা মুফতী আনওয়ারুল হাসান খান ছাহেব রাহ.-এর চাচা। মুফতী ওলী হাসান টোংকী রাহ.-এর তালীমী যিন্দেগীর প্রাথমিক তরবিয়ত হযরত মাওলানা হায়দার হাসান খান রাহ.-এর হাতেই হয়। উভয়েই নিজ নিজ যামানায় মুকতাদা আলেম হিসেবে গণ্য হতেন।

হযরত মাওলানা হায়দার হাসান খান রাহ. দীর্ঘদিন দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার শায়খুল হাদীস ও মুহতামিম ছিলেন।

তাঁর সম্পর্কে জানতে তাঁর বিশিষ্ট শাগরিদ হযরত মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.-এর پرانے چراغ থেকে মুতালাআ করতে পারেন। তাঁরই আরেক শাগরিদ রঈস আহমাদ জাফরীর دید وشنید কিতাবেও তাঁর সম্পর্কে মাকালা রয়েছে। তাঁর জীবনী বিষয়ে মুহাম্মাদ আমের সিদ্দীকী টোংকী

حياة العلامة المحدث حيدر حسن خان الطونكي.

এই নামে একটি স্বতন্ত্র কিতাব রচনা করেছেন।

হুজ্জিয়্যাতুল আমালিল মুতাওয়ারাস বিষয়ে হযরত মাওলানা হায়দার হাসান খান টোংকী রাহ.-এর একটি  গুরুত্বপূর্ণ রিসালা রয়েছে, যেটি তাঁর আখাসসুল খাস শাগরিদ হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ নুমানী রাহ.-এর 

الإمام ابن ماجه وكتابه السنن.

কিতাবের হাশিয়ায় (পৃষ্ঠা ৮৬-৯০) সংযুক্ত আছে।

হযরত মাওলানা মুফতী ওলী হাসান টোংকী রাহ. (জন্ম ১৯২৪ ঈ.-মৃত্যু ১৪১৫ হি. মোতাবেক ১৯৯৫ ঈ.) সেসকল মহান মনীষীর অন্তর্ভুক্ত, যাদের থেকে আল্লাহ তাআলা-

ينفون عنه تحريف الغالين، وانتحال المبطلين وتأويل الجاهلين.

-এর কাজ নিয়েছেন। তাঁর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারনামা হল, ইনকারে হাদীস ফিতনার মোকাবেলা। 

হযরত মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ.-এর পর উলামায়ে কেরাম তাঁকে  মুফতী আযম খেতাবে স্মরণ করতেন।

তাঁর সম্পর্কে জানতে পড়ুন হযরত মাওলানা ইউসুফ লুধিয়ানভী রাহ.-এর কিতাব شخصیات وتاثرات, হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুমের نقوش رفتگاں এবং মাওলানা মুহাম্মাদ হুসাইন সিদ্দীকী কৃত-

سوانح حضرت مفتی ولی حسن ٹونکی

শেষোক্ত কিতাবটিতে হযরতের লিখিত সংক্ষিপ্ত আত্মজীবনীও রয়েছে। সেইসঙ্গে তাতে হযরতের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাকালা, বয়ান ও দরসী তাকরীর সংযুক্ত আছে।

শেয়ার লিংক

নজরুল ইসলাম - None

প্রশ্ন

ميِّتٌ ميْتٌ -এর মাঝে কী পার্থক্য? কুদূরীর হাশিয়ায় দেখেছি, ميِّتٌ মানে মৃত্যুর দিকে আগুয়ান আর ميْتٌ মানে মৃত। অথচ আমরা মৃত ব্যক্তির জন্য এভাবে দুআ করি-

اللّهم اغفر لحينا وميِّتنا...

আসলে বিষয়টি কী?

 

উত্তর

ميْتٌ মূলত ميِّتٌ শব্দেরই মুখাফ্ফাফ রূপ। এই দুই শব্দের মধ্যে নীতিগত কোনো পার্থক্য নেই। এবং অধিকাংশ ভাষাবিদের মতে, এই দুই শব্দের ব্যবহারেও ভিন্নতা নেই। অনেকে এ বিষয়ে যে পার্থক্যের কথা বলেছেন- সেটা তাদের নিকট স্বীকৃত নয়। বিশিষ্ট ভাষাবিদ ইমাম আবু ইসহাক যাজ্জাজ রাহ. (৩১১ হি.) বলেন-

يقال :مَيِّت ومَيْت، والمعنى واحد. وقال بعضهم: >الميِّت< يقال لِما لَمْ يَمتْ، و>الميْتُ< لِما قَدْ مَاتَ. وهذا خطأ، إِنما >ميِّت< يصلح لِما قد مات، ولِما سَيَمُوت.

দেখুন-

معاني القرآن وإعرابه، لأبي إسحاق الزَّجَّاج (311 هـ) 2/144

আরো দেখুন-

اشتقاق أسماء الله، لأبي القاسم الزجاجي (337 هـ) ص 142، معجم الفروق اللغوية ص 525

শেয়ার লিংক

মাসউদ আযহার - জামিয়া এযাযিয়া, সদর, যশোর

প্রশ্ন

সূরা তাহরীমের প্রথম আয়াতে مرضات শব্দটি জমা মুআন্নাছ সালিম হওয়া সত্ত্বেও তাতে ফাতহা হল কেন?

উত্তর

গত জুমাদাল উলা ১৪৪৪ হি./ ডিসেম্বর ২০২২ সংখ্যায় আনওয়ারুল কুরআন বিভাগের প্রশ্নোত্তর দেখুন।

শেয়ার লিংক