হুজুর, আমি শরহে বেকায়া জামাতে পড়ি। নূরুল আনওয়ার কিতাবটি কীভাবে পড়তে পারি এবং কীভাবে আয়ত্ত করতে পারি? আর এই কিতাবের সাথে মুতালাআ করার সবচেয়ে ভালো শরাহ কোন্টি? জানালে অত্যন্ত উপকৃত হব।
হুজুর, আমি শরহে বেকায়া জামাতে পড়ি। নূরুল আনওয়ার কিতাবটি কীভাবে পড়তে পারি এবং কীভাবে আয়ত্ত করতে পারি? আর এই কিতাবের সাথে মুতালাআ করার সবচেয়ে ভালো শরাহ কোন্টি? জানালে অত্যন্ত উপকৃত হব।
প্রথমে আলমানারে পেশকৃত কায়েদা বা মাসআলাটি আত্মস্থ করার চেষ্টা করতে হবে এবং সবকে উস্তাযের তাকরীর মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে এবং তা কিতাবের সঙ্গে মিলিয়ে বুঝতে হবে। অতঃপর বহসের খোলাসা বা সারসংক্ষেপ খাতায় নোট করবেন। সম্ভব হলে সেটা উস্তাযকে দেখিয়ে তাসহীহ করে নেবেন।
খোদ আলমানারের মুসান্নিফও ‘কাশফুল আসরার’ নামে আলমানারের একটি শরাহ লিখেছেন। কিতাব হল্ করার জন্য প্রয়োজনে সেখান থেকেও ইস্তেফাদা করতে পারেন।
শেয়ার লিংক
আমি উর্দু ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে চাই। যদিও উর্দুতে আল্লাহর রহমতে কিতাব পড়তে পারি, তবে বলতে গেলে ব্যাকরণ তেমন জানিই না। তাই উর্দু ভাষার ব্যাকরণের কিছু কিতাবের নাম জানিয়ে বাধিত করবেন।
উর্দু ভাষা শেখার জন্য সায়্যেদ শওকত আলী রচিত ‘হামারী কিতাব’ (১-৮ খণ্ড) ও মওলবী ইসমাঈল মিরাঠী সাহেব লিখিত উর্দু কী পেহলী, দুসরী, তেসরী, চৌথী বেশ উপকারী। আর উর্দু ব্যাকরণ জানার জন্য নিচের কয়েকটি কিতাব অধ্যয়ন করা যেতে পারে–
১- قواعد اردو، بابائے اردو مولوی عبدالحق، انجمن ترقی اردو بورڈ، نئی دہلی
২- اردو صرف و نحو، بابائے اردو مولوی عبدالحق، انجمن ترقی اردو بورڈ، نئی دہلی
৩- دریائے لطافت، مصنف : سید انشا، مرتب : بابائے اردو مولوی عبدالحق، انجمن ترقی اردو بورڈ، نئی دہلی
অবশ্য আপনি যদি এসো আরবী শিখি নিয়মিত পড়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য উর্দু শেখার সহজ উপায় হল, আদীব হুজুরের কিতাব الطریق الی الاردیۃ -এর পাঠ গ্রহণ করা এবং এ কিতাবের ভূমিকায় নির্দেশিত পন্থা অবলম্বন করা।
(আপনার অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর সরাসরি সাক্ষাতে জেনে নেবেন।)
শেয়ার লিংক
মুহতারাম! আমি হেদায়াতুন্নাহু জামাতের একজন তালিবুল ইলম। আমার জানার বিষয় হল, মানুষ যখন ‘বড়’ হওয়ার স্বপ্ন দেখে তখন বড় কোনো ব্যক্তিত্বের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে। যেমন হযরত আদীব হুযুর দামাত বারাকাতুহুম হযরত মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.-কে একান্তভাবে নিজের জীবনের আলোকবর্তিকা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
হযরত! আমি জানতে চাই, আমার বয়স, পড়াশোনা ও সার্বিক অবস্থার বিবেচনায় আমি কি হযরত নদভী রাহ.-কে আমার জীবনের সকল বিষয়ে একান্তভাবে অনুসরণ করতে পারি? যদি পারি, তাহলে এমন মহান ব্যক্তিত্বের অনুসরণ ঠিক কীভাবে ও কোন্ পদ্ধতিতে করতে হয়? জানিয়ে বাধিত করবেন।
এই বিষয়টি নিয়ে আপনি আরও পরেও ভাবতে পারেন। এখন আসাতিযায়ে কেরামের নেগরানীতে মেহনত করতে থাকুন। উসূল মোতাবেক সীমিত পর্যায়ে ইযাফী মুতালাআর চেষ্টা করুন। ‘ইসলাম কেয়া হ্যায়’ এবং ‘হায়াতুল মুসলিমীন’ মুতালাআ করতে পারেন। দৈনিক কুরআন মাজীদের তিলাওয়াত এবং দরূদ শরীফের আমল গুরুত্বের সঙ্গে করার চেষ্টা করুন।
শেয়ার লিংক
আমি মেশকাত জামাতে পড়ি। দাওরায়ে হাদীসের পর উলূমুল কুরআন বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করতে চাই। তাই বিরতির সময়গুলোতে কীভাবে এ পথে অগ্রসর হতে পারি?
মেশকাত ও দওরায়ে হাদীস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি জামাত। এই দুই জামাতে যেসব বিষয় ও কিতাব পাঠ্য, তার সবগুলোই গুরুত্বের সঙ্গে হক আদায় করে পড়া উচিত। আসলে যে তালিবে ইলম মেশকাত ও দাওরায়ে হাদীসের জামাতে সঠিক অর্থে দাখেলার উপযুক্ত, সে দিরাসাতে উল্ইয়ার যে কোনো বিভাগেই দাখেলা পাওয়ার উপযুক্ত হওয়ার কথা। তাই আপনি যদি দরসিয়াতের বিষয়গুলো হক আদায় করে পড়ে থাকেন এবং এখনো পড়েন, তাহলে উলূমুল কুরআন বিভাগের জন্য আমরা মনে করি না যে, আলাদা করে কোনো প্রস্তুতি নিতে হবে। এর পরও আপনি চাইলে হযরত শায়খুল ইসলাম দামাত বারাকাতুহুম রচিত উলূমুল কুরআন এবং শায়েখ নূরুদ্দীন ইত্র রাহ. লিখিত উলূমুল কুরআনিল কারীম অধ্যয়ন করতে পারেন। পাশাপাশি রূহুল মাআনী, তাফসীরে কুরতুবী ও তাফসীরে আবুস সাঊদ থেকে একটু একটু পড়তে পারেন, যাতে এগুলোর উসলুবের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন।
শেয়ার লিংক