রবিউল আওয়াল-১৪৩৩ || ফেব্রুয়ারি-২০১২

মুহাম্মাদ মাহবুবুর রশীদ - ৩৬ পূর্ব কাজীপাড়া, মিরপুর

২৩৯৯. প্রশ্ন

বেশিরভাগ আন্তনগর ট্রেনে বেশিরভাগ নামাযের কক্ষ আছে। তবে ট্রেন চলা অবস্থায় দাঁড়িয়ে নামায পড়া কঠিন হয়। কারণ ঝাঁকুনির দরুণ পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয় বা পড়েও যাই। আবার নামায অবস্থায় ট্রেন দিক পরিবর্তন করলে কেবলা ঠিক রাখা মুশকিল হয়। এমতাবস্থায় কিভাবে নামায আদায় করব জানা প্রয়োজন।


উত্তর

সম্ভব হলে ফরয নামায দাঁড়িয়ে আদায় করা ফরয। তাই ট্রেনেও ভ্রমণকালে যথাসম্ভব দাঁড়িয়ে নামায পড়তে চেষ্টা করবে। প্রয়োজনে কিছু ধরেও দাঁড়াতে পারবে। অবশ্য যদি দাঁড়িয়ে নামায পড়া সম্ভব না হয় তবে সেক্ষেত্রে বসে নামায পড়তে পারবে।

আর ট্রেনেও নামায শুরু করার সময় কেবলার দিক নিশ্চিত করে সেদিকে ফিরে নামায পড়তে হবে। অতপর নামায অবস্থায় ট্রেন ঘুরে যাওয়ার কারণে কিবলার দিক পরিবর্তন হয়ে গেলে নামাযী তা বুঝামাত্র কিবলার দিকে ঘুরে যাবে। কিবলার দিক পরিবর্তন হয়ে গেছে জানা সত্ত্বেও নামাযে কিবলার দিকে না ঘুরলে ঐ নামায পুনরায় পড়ে নিতে হবে। তবে শুরুতে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানোর পর নামাযের ভিতর কিবলা পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে না পারার কারণে যদি ঐভাবেই নামায শেষ করে তার নামায আদায় হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য যে, চলন্ত ট্রেনে ঐ সময় নামাযে দাঁড়ানো উচিত যখন ট্রেনটি একদিকে চলতে থাকে তাহলে নামাযের ভিতর কিবলা পরিবর্তন করতে হবে না।

-মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ২/৮১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৫৪১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৪৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৭৬ বাদায়েউস সানায়ে ১/২৯১; রদ্দুল মুহতার ২/১০২

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন