ইসমাঈল - ডিগম্বরিতলা, কুমিল্লা
৬৮১৬. প্রশ্ন
আমি কয়েক বছর মাদরাসায় পড়েছি। এখন ঢাকায় থেকে ব্যবসা করি। বাড়িতে গেলে মাঝেমধ্যে আমাকে নামায পড়াতে হয়। নামাযে কখনো এমন হয় যে, রুকুতে থাকা অবস্থায় কেউ নামাযে আসছেন বুঝতে পেরে রুকুর তাসবীহ দুইবার বেশি পড়ে রুকু লম্বা করি। যাতে যিনি আসছেন তিনি রাকাতটি পেয়ে যান।
এমনটি করা কি আমার জন্য ঠিক হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
মুসল্লীদের প্রতি খেয়াল করে ইমামের জন্য রুকুর তাসবীহ দুয়েকবার বেশি পড়ে কিংবা তাসবীহ ধীরে ধীরে পড়ে রুকু কিছুটা দীর্ঘায়িত করা জায়েয আছে। তা দূষণীয় নয়। তবে কোনো ব্যক্তিবিশেষের মর্যাদা বা কাউকে বিশেষ সম্মান দিতে গিয়ে এভাবে রুকু লম্বা করা জায়েয নয়। এছাড়া অন্য কোনো ওজর না থাকলে ইমাম রুকুর তাসবীহ সব সময়ই অন্তত পাঁচ বার পড়তে পারেন। যেন মুসল্লীগণের ন্যূনতম তাসবীহ শেষ করা এবং দেরিতে যোগ দেওয়া মুসল্লীদের জন্য রাকাত পাওয়া সহজ হয়।
* >المحيط الرضوي< ১/২৫৬ : (وفي النوادر) عن أبي حنيفة رحمه الله: الإمام إذا سمع خفق النعال في الركوع، فطوله ليدرك الجائي الصلاة، أكره له ذلك. ... وفي الفتاوى: إن كان الإمام عرف الجائي يكره؛ لأنه يشبه الميل إليه، وإن لم يعرف لا بأس به مقدار ما لا يثقل على من خلفه؛ لأن فيه إعانة على الطاعة.
–আলফাতাওয়া মিন আকাবীলিল মাশায়েখ, পৃ. ৬২; খিযানাতুল আকমাল ১/১৯৭; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/১০৮; আলমুহীতুল বুরহানী ২/১১৫; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৫১; আদ্দুররুল মুখতার ১/৪৯৪