রবিউল আখির ১৪৪৭ || অক্টোবর ২০২৫

তামীম হাসান - ওয়েব থেকে প্রাপ্ত

৬৮০৮. প্রশ্ন

আমি কোনো ব্যক্তি থেকে ব্যবসার জন্য টাকা নিব ব্যবসার শর্ত অনুযায়ী সে লাভ বা ক্ষতি মেনে নেবে আমি সেই টাকা দিয়ে বিদেশ যাব চাকরি করতে বিদেশ গিয়ে চাকরি করে যদি বেতন উঠাতে পারি তখন ব্যবসায়িক লাভ হিসেবে তার টাকার অনুপাতে তাকে পার্সেন্ট দেব যতদিন পর্যন্ত তার টাকা ফিরিয়ে না দেব ততদিন তার পার্সেন্ট সক্রিয় থাকবে আর যদি বিদেশ গিয়ে কোনো কারণে চাকরি কনফার্ম না হয় কিংবা যদি যে কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে বিদেশ যাওয়া না হয় অথবা অন্য কোনো কারণে যদি বিদেশ যাওয়া না হয়, যেমন ভিসা রিজেক্ট, মেডিকেল আনফিট, তাহলে যে টাকা ক্ষতি হবে তার ভার সে বহন করবে তার টাকার অনুপাতে

উপরোক্ত চুক্তিটি মুশারাকা বা মুদারাবা হিসেবে গণ্য হবে, নাকি সুদী কারবার হবে?

উত্তর

না, প্রশ্নোক্ত চুক্তিটি মুশারাকা বা মুদারাবার কোনোটিই নয় কেননা মুশারাকা এবং মুদারাবা হল ব্যবসা তথা পণ্য ক্রয়-বিক্রয় নির্ভর চুক্তি যেখানে বিনিয়োগের অর্থ ব্যবসায় খাটানো হয় সে ব্যবসা থেকে মুনাফা আসলে তা উভয় পক্ষের মধ্যে বণ্টিত হয় কিন্তু প্রশ্নের প্রস্তাবিত চুক্তির মধ্যে এর কোনো কিছুই নেই এখানে যা আছে তা হল, ব্যক্তির শ্রম ও পরিশ্রম এবং তার প্রাপ্ত বেতন-ভাতা

সুতরাং এ চুক্তিতে কারো থেকে টাকা নেওয়া হলে শরীয়তের দৃষ্টিতে তা হবে মূলত ঋণ চুক্তি ঋণ বাবদ নেওয়া ওই টাকার ওপর অতিরিক্ত যা কিছুই দেওয়া হোক এবং যে নামেই দেওয়া হোক, তা সম্পূর্ণ সুদ হবে তাই এ শর্তে কারো থেকে ঋণ গ্রহণ করা বৈধ হবে না

* >المحيط البرهاني< ১৮/৩৩৬ : ومن دفع إلى آخر ألف درهم مضاربة، على أن يشتري بها الثياب ويقطعها ويخيطها بيده، على أن ما رزقه الله تعالى من شيء فهو بينهما نصفان، أو على أن يشتري بها الجلود والأدم ويخرزها خفا، فهو جائز على ما شرطا؛ لأن في المضاربة معنى الشركة ومعنى الإجارة، وأي ذلك اعتبرنا أمكن تجويزها على هذه الأعمال، وهذا بخلاف ما لو دفع إليه ألف درهم، على أن يحتطب أو يحتش، على أن ما رزق الله من شيء فهو بينهما نصفان، فإن المضاربة لا تجوز، وإن كانت الإجارة على الاحتطاب أو الاحتشاش جائزة؛ لبطلان الشركة فيهما.

কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মাদ, বর্ণনা ৭৬০; আলমুহীতুর রাযাবী ৬/১৬১; বিদায়াতুল মুজতাহিদ ৪/২১

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন