রবিউল আখির ১৪৪৭ || অক্টোবর ২০২৫

মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ - বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ

৬৮০৭. প্রশ্ন

শীতকালে আমাদের অঞ্চলে খেজুর গাছের মালিকরা গাছিদের সাথে এভাবে চুক্তি করে যে, গাছি খেজুর গাছ কাটবে ও ছিলবে এর বিনিময়ে মালিকের সাথে পালা বদল করে খেজুরের রস নেবে অর্থাৎ গাছের মালিক এক দিন রস নেবে আর গাছি তার পারিশ্রমিক হিসেবে এক দিন রস নেবে নিয়মটি আমাদের এলাকায় বহু বছর যাবৎ চলে আসছিল কিন্তু এ বছর আমাদের মসজিদের নতুন ইমাম সাহেব বললেন, এ ধরনের চুক্তি শরীয়তসম্মত নয় সহীহ পন্থায় এভাবে চুক্তি করা যেতে পারে যে, মালিক গাছির কাছে নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে খেজুর গাছ ভাড়া দেবে এরপর মালিক ভাড়াস্বরূপ সে অর্থ গ্রহণ করবে আর খেজুরের রস পুরোটাই গাছি নেবে

জানতে চাই, ইমাম সাহেব যে পদ্ধতির কথা বলেছেন সেটি কি সঠিক? এ পন্থা অবলম্বন করা কি শরীয়তসম্মত হবে?

উত্তর

না, গাছির জন্য মালিক থেকে খেজুর গাছ ভাড়া নেওয়ার প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিও শরীয়তসম্মত নয় কেননা গাছ থেকে রস গ্রহণ বা গাছের ফল লাভের জন্য গাছ ভাড়া নেওয়া জায়েয নয় এটি শরীয়তের عقد إجارة (ইজারা) নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়

এক্ষেত্রে শরীয়তসম্মত পন্থা হল, গাছি রসের জন্য গাছ প্রস্তুত করে দেওয়া এবং নিয়মিত তা পরিচর্যার বিনিময়ে গাছ-মালিকের সাথে নির্ধারিত পারিশ্রমিক গ্রহণের চুক্তি করবে এভাবে চুক্তি করার পর তার কাজের বিনিময়ে সে নির্ধারিত পারিশ্রমিক পাবে আর পুরো রস এককভাবে গাছের মালিকের হবে এভাবে চুক্তির পর কখনো গাছি ও মালিক সম্মত হলে পাওনা পারিশ্রমিকের টাকার বিপরীতে গাছের রসও তারা কেনা-বেচা করতে পারবে

* كتاب >الأصل< للشيباني /১২ : وقال أبو حنيفة: لا تجوز إجارة النخل والشجر والكرم، يقول الرجل للرجل: أستأجر منك هذا النخل والشجر والكرم عشر سنين بكذا كذا درهما، فما أثمر فهو لي. وكذلك قال أبو يوسف ومحمد.

আলমাবসূত, সারাখসী ১৬/৩২; বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৬; শরহুল জামিউস সগীর, কাযীখান ৩/৯০৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/১৪৫; ফাতাওয়া খাইরিয়া ২/২১০; দুরারুল হুক্কাম ১/৪৫১

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন