রুকনুদ্দীন - কানাইঘাট, সিলেট
৬৭৫৭. প্রশ্ন
আমাদের এলাকার জনসাধারণের ধর্মীয় শিক্ষার অবস্থা খুবই নাজুক। অনেক দ্বীনদার পরিবারের যুবক ছেলেরাও নিত্য প্রয়োজনীয় সূরা-কেরাতও শুদ্ধভাবে পড়তে পারে না। এই অবস্থা কাটিয়ে তুলতে মসজিদের ইমাম ও মুতাওয়াল্লী সাহেব কিছু উদ্যোগ নিতে চাচ্ছেন।
১. ইমাম সাহেবের দুইজন সহকারী নিয়োগ দিয়ে সাবাহী মক্তব চাঙ্গা করা।
২. মসজিদে বয়স্ক কুরআন শিক্ষা চালু করা।
৩. সন্ধ্যাকালীন কুরআনের দরস চালু করা।
কিন্তু শিক্ষকদের বেতনসহ এ সংক্রান্ত খরচাদির বিষয়টি নিয়ে তারা চিন্তিত। তা তারা জোগান দিতে অক্ষম। প্রতি মাসেই মসজিদ মার্কেট থেকে প্রাপ্ত আয় দিয়ে মসজিদের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহের পরেও পর্যাপ্ত টাকা থেকে যায়।
জানার বিষয় হল, এমতাবস্থায় মসজিদ ফান্ডের টাকা দিয়ে দ্বীনী তালীমের উপরোক্ত কার্যক্রমের ব্যয় নির্বাহ করা যাবে কি না?
উত্তর
কুরআন ও দ্বীনী বিষয়াদি শিক্ষা দেওয়া মসজিদের কাজ ও উদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত। তাই দ্বীনী তালীমের উপরোক্ত কার্যক্রমের ব্যয় নির্বাহের জন্য মসজিদ মার্কেটের আয় থেকে খরচ করা যাবে এবং অনুদানকারীগণের মাঝে ব্যাপকভাবে জানাজানি হলে মসজিদের সাধারণ ফান্ডের টাকা থেকেও খরচ করা যাবে।
প্রকাশ থাকে যে, মসজিদভিত্তিক দ্বীনী তালীম-তরবিয়তের ধারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে চলে আসছে। তাই আপনাদের মসজিদের প্রশ্নোক্ত উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং অন্যদের জন্য অনুসরণীয়ও বটে।
–শরহু মুসলিম, নববী ৫/৫৫; আলবাহরুর রায়েক ২/৩৪; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৩৩০; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৩৬৭