মুহাররম ১৪৪৭ || জুলাই ২০২৫

সাইফুর রহমান - চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা

৬৭৫৫. প্রশ্ন

ইমাম সাহেব সিজদায় থাকাবস্থায় অনেক মুসল্লী মসজিদে এসে উপস্থিত হন কেউ কেউ তাকবীর বলে ঐ অবস্থাতেই ইমামের সঙ্গে শরীক হয়ে যান আর কেউ দাঁড়িয়ে থেকে ইমাম পরবর্তী রাকাত শুরু করার অপেক্ষা করতে থাকেন এরপর তাকবীর বলে ইমামের সঙ্গে নামাযে শরীক হন এক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি কোন্টি? জানালে কৃতজ্ঞ হব

উত্তর

ইমামকে সিজদায় পেলে ইমামের দাঁড়ানোর অপেক্ষা না করে তখনই ইমামের সঙ্গে সিজদায় শরীক হয়ে যাবে

হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন

إِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الصَّلَاةَ وَالإِمَامُ عَلَى حَالٍ فَلْيَصْنَعْ كَمَا يَصْنَعُ الإِمَامُ.

তোমাদের কেউ যখন নামাযে উপস্থিত হবে, তখন ইমামকে যে অবস্থায় পাবে, সেও যেন সেই অবস্থায়ই ইমামের সাথে শরীক হয়ে যায় (জামে তিরমিযী, হাদীস ৫৯১)

আরেক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন

إِذَا جِئْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ وَنَحْنُ سُجُودٌ فَاسْجُدُوا، وَلَا تَعُدُّوهَا شَيْئًا، وَمَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ، فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ.

অর্থাৎ, তোমরা যখন নামাযে এসে আমাদেরকে সিজদায় পাবে তখন তোমরাও সিজদায় শামিল হয়ে যাবে তবে উক্ত সিজদাকে নামাযের রাকাত হিসেবে গণ্য করবে না; বরং যে ব্যক্তি রুকু পাবে সে-ই নামায পেয়েছে (অর্থাৎ ঐ রাকাত পেয়েছে) (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৮৮৫)

হিশাম ইবনে উরওয়া তার পিতা উরওয়া রাহ. থেকে বর্ণনা করেন

أَنَّهُ كَانَ يَكْرَهُ لِلرَّجُلِ إذَا جَاءَ وَالإِمَامُ سَاجِدٌ أَنْ يَتَمَثَّلَ قَائِمًا حَتَّى يَتْبَعَهُ.

কেউ ইমামকে সিজদায় পেলে (তখনই নামাযে শরীক না হয়ে) ইমামের দাঁড়ানো পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকাকে তিনি অপছন্দ করতেন (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ২৬২৮)

 

* >الحاوي القدسي< /১৮৫ : وفي أي حال أدرك الإمام دخل معه. ويستحب للرجل إذا دخل المسجد والإمام راكع أن يأتي الصف بالسكينة والوقار، ولا يكبر ولا يركع حتى يصل إلى الصف، فإن أدركه في الركوع، افتتح الصلاة قائما، ثم يكبر أخرى للركوع، ويشارك الإمام فيه، ... وإن أدركه في السجود أو القعود، شاركه فيه مع الذكر المسنون.

সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩৬; উমদাতুল কারী ৫/১৫২; আলমাবসূত, সারাখসী ১/৩৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৮৮; হালবাতুল মুজাল্লী ২/১২৫

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন