শাবান-রমযান ১৪৪৪ || মার্চ-এপ্রিল ২০২৩

ইহতিশাম - কুমিল্লা

৬১১৯. প্রশ্ন

আমি গত রমযানে কোনো কারণ ছাড়া একটি রোযা ভেঙ্গে ফেলি এবং শাওয়ালের আঠার তারিখ থেকে কাফফারার রোযা রাখা শুরু করি। কুরবানীর ঈদ যখন ঘনিয়ে আসে তখন আমার কিছু রোযা বাকি ছিল। আমি জানতাম, কাফফারার রোযা লাগাতার রাখতে হয়। মাঝখানে বাদ দিলে আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। তাই আমি যিলহজ্বের ১০, ১১, ১২, ১৩ তারিখেও রোযা রাখি এবং ষাটটি রোযা পূর্ণ করি। মুহতারামের নিকট জানার বিষয় হল, আমার কাফফারার রোযাগুলো কি সঠিকভাবে আদায় হয়েছে? জানালে উপকৃত হব।

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার রোযার কাফফারাটি আদায় হয়নি। কেননা ঈদের দিনসহ আইয়ামে তাশরীকে সব ধরনের রোযা রাখা নাজায়েয। এ দিনগুলোতে কাফফারার নিয়তে রোযা রাখলেও তা কাফফারার রোযা হিসাবে আদায় হয় না। সুতরাং যিলহজ্বের দশ থেকে তের তারিখে রোযা রেখে থাকলে তা নাজায়েয হয়েছে এবং এর দ্বারা কাফফারার ধারাবাহিকতা বাতিল হয়ে গেছে।

প্রকাশ থাকে যে, যিলহজ্বের এ দিনগুলোতে যেহেতু রোযা রাখা নিষেধ তাই এ মাসে কাফফারার রোযা রাখা যাবে না। এ সময়ের আগে বা পরে ধারাবাহিক ষাটটি রোযা রাখতে হবে।

কিতাবুল আছল ২/১৫৮; আলমাবসূত, সারাখসী ৩/৮১; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২৭৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫১২; আলবাহরুর রায়েক ৪/১০০

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন