মুহাররম ১৪৪৪ || আগস্ট ২০২২

মুহা. শামীম - বনানী, ঢাকা

৫৭৭৫. প্রশ্ন

গত রমযানের শুরুর দিকে আমি ওমরায় যাই। যেদিন আমার বিমানের ফ্লাইট ছিল সেদিন আমি রোযা রেখেই বাসা থেকে বের হই। বিমানে আরোহণের পর মনে হল, যেহেতু সফর অবস্থায় রোযা ভাঙার সুযোগ আছে আর দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে ক্লান্তিও বোধ হবে তাই আমি বিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর রোযা ভেঙে ফেলি। তখন আমাদের কাফেলার একজন আলেম বললেন যে, আপনার জন্য আজকের রোযা ভাঙা উচিত হয়নি। কেননা আপনি মুকীম অবস্থায় রোযা রেখেছিলেন।

মুহতারামের কাছে জানার বিষয় হল যে, ওই আলেমের কথা কি ঠিক? তাহলে সফরে রোযা ভাঙার সুযোগ থাকার কী ব্যাখ্যা?

উত্তর

ওই আলেম ঠিকই বলেছেন। আপনার জন্য ঐদিন রোযা ভাঙা ঠিক হয়নি। কেননা মুকীম অবস্থায় রোযা রেখে সুবহে সাদিকের পর সফর করলে শরয়ী কোনো ওযর ছাড়া রোযা ভেঙে ফেলা জায়েয নেই। তাই শুধু সফরের অযুহাতে ওই দিনের রোযা ভাঙা ঠিক হয়নি।

আর সফরে রোযা ভাঙার সুযোগ থাকার অর্থ হল, সুবহে সাদিকের আগে মুসাফির হলে তার জন্য রোযা না রাখার অনুমতি আছে। কিন্তু সফর অবস্থায় রোযা রাখলে বিনা কারণে রোযা ভেঙে ফেলা জায়েয নয়। তবে সফরের রোযা পূর্ণ করতে অনেক বেশি কষ্ট হলে তখন ভাঙার অনুমতি আছে।

-বাদায়েউস সানায়ে ২/২৪৬; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৮; আলমুহীতুর রাযাবী ২/৩১; ফাতহুল কাদীর ২/২৮৪; আলবাহরুর রায়েক ২/২৯০

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন