রজব ১৪৪৩ || ফেব্রুয়ারি ২০২২

জহিরুল ইসলাম - উত্তরা, ঢাকা

৫৬৪৩. প্রশ্ন

আমার একটি মুরগির ফার্ম আছে। সেখান থেকে প্রতিদিন শতশত ডিম সাপ্লাই হয়। নির্দিষ্ট কিছু ব্যবসায়ী আমার থেকে ডিম নেয়। তারা সাধারণত নগদ টাকা দিয়েই ডিম নেয়। তবে মাঝেমধ্যে টাকা দিতে একটু বিলম্ব করে। সে লক্ষ্যে আমি তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা জামানত রাখি। যাতে কখনো টাকা দিতে দেরি করলে আমি ওই টাকা থেকে আমার পাওনা উসুল করে নিতে পারি। হুজুরের কাছে জানতে চাই, আমার জন্য জামানত রাখা সহীহ কি না? এবং ওই টাকা আমি নিজ প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারব কি না?

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার জন্য ডিম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে টাকা নেওয়া বৈধ। তবে এ টাকা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। কেননা এ টাকা বন্ধকী বস্তুর হুকুমে। আর বন্ধকি বস্তু ব্যবহার করা নাজায়েয। তা ব্যবহার করা সুদের অন্তর্ভুক্ত। মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন রাহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ: إِنّ رَجُلًا رَهَنَنِي فَرَسًا فَرَكِبْتُهَا قَالَ: مَا أَصَبْتَ مِنْ ظَهْرِهَا فَهُوَ رِبًا.

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, আমার নিকট এক ব্যক্তি একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে। আমি তাতে আরোহণ করেছি। (এর হুকুম কী?) তখন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বললেন, তুমি এতে আরোহণ করে যে উপকার লাভ করেছ তা সুদের  অন্তর্ভুক্ত। (মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক, বর্ণনা ১৫০৭১)

সুতরাং আপনার জন্য তা ব্যবহার করা জায়েয নয়। তা হেফাজত করে রেখে দিতে হবে। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী মূল্য পরিশোধে বিলম্ব করলে ওই টাকা থেকে আপনি আপনার পাওনা নিয়ে নিতে পারবেন।

-তাবয়ীনুল হাকায়েক ৭/১৫৫; আলইনায়া শরহুল হেদায়া ৯/৮৭; আলবাহরুর রায়েক ৮/২৪৪; মাজমাউল আনহুর ৪/২৮২; রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮২; শরহুল মাজাল্লাহ, আতাসী ৩/১৪৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন