সফর ১৪২৯ || ফেব্রুয়ারি ২০০৮

হাসান তারিক - বীরগঞ্জ, দিনাজপুর

১১৮১. প্রশ্ন

আমরা জানি কোন মাল নগদ বিক্রি করলে যে মূল্য ধরা হয় বাকিতে বিক্রি করলে নগদ মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য ধরা জায়েয আছে। কিন্তু আমাদের এলাকায় কিছু মানুষ এই সুযোগ গ্রহণ করে এলাকার অভাবী মানুষদের কাছে চাউল এভাবে বিক্রি করতে শুরু করেছে যে, আশ্বিন মাস থেকে এক বস্তা চাউলের বাজার মূল্য ১৮০০ টাকা কিন্তু তারা এই এক বস্তা চাউল বাকিতে অগ্রহায়ণ মাসে মূল্য দেওয়ার ভিত্তিতে বিক্রি করছে ২৭০০ থেকে ৩২০০ টাকা পর্যন্ত। আগে সুদের মাধ্যমে যেভাবে গরীবদের রক্ত চোষা হতো, এখন তারা চড়া মূল্যে বাকিতে বিক্রি করে গরীবদের রক্ত চুষে খাচ্ছে, শুধু রক্ত চোষার স্টাইল পাল্টে ফেলেছে। কেননা, সুদখোরদের কাছ থেকে ১৮০০ টাকা নিলে দিতে হতো ২৩০০ থেকে ২৫০০ টাকা। আর এভাবে পণ্য (চাউল) বাকিতে ক্রয় করলে ১৮০০ টাকার বস্তা প্রতি দিতে হচ্ছে ২৭০০ থেকে ৩২০০ টাকা পর্যন্ত। এখন আমাদের জানার বিষয় হলো এরকম চড়া মূল্যে বাকিতে পণ্য বিক্রি করা জায়েয হবে কি না? যদি জায়েয হয় তবে এলাকার দীন-দরিদ্র মানুষের কী অবস্থা হবে? তারা সুদের অভিনব নতুন স্টাইল থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাবে? শ্রদ্ধেয় মুফতী সাহেবের প্রতি সবিশেষ অনুরোধ- এ বিষয়ে আলকাউসারে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।

উত্তর

না, এত চড়া মূল্যে বিক্রি করা জায়েয নয়। আর গরীবদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়ার এ প্রবণতা শরীয়ত-বিরোধী।

-রদ্দুল মুহতার ৫/১৪২, তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/২৮, হাশিয়াতুত তাহতাবী ৪/২০১, তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ১/৩১২-৩১৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন