মুহাররাম ১৪৩২ || ডিসেম্বর ২০১০

মুহাম্মাদ আমীনুল ইসলাম - ডেমরা, ঢাকা

২০৮৭. প্রশ্ন

(ক) মুহাররম মাস সম্মানিত এবং এই মাসে যেহেতু হযরত হুসাইন রা. শহীদ হয়েছেন তাই এই মাসে বিবাহ-শাদি করাকে কুলক্ষুণে মনে করা হয়। এ কথা কি ঠিক?

(খ) ১০ মুহাররম এক শ্রেণীর লোক হযরত হুসাইন রা.-এর শাহাদাতের শোক পালনার্থে তাজিয়া মিছিল বের করে। ধারণা করা হয়, এই টং-এ হযরত হুসাইন রা.-এর রূহ সমাসীন থাকেন। তার কবরের আকৃতি থাকে। শোক মিছিলের সামনে তাজিয়া টং থাকে। এর পাদদেশে নযর-নিয়ায পেশ করা হয় এবং এর সামনে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকে ইত্যাদি। এসব কর্মকাণ্ড শরীয়তের দৃষ্টিতে কেমন?

উত্তর

(ক) নাএকথা ঠিক নয়। এই বিশ্বাস রাখা এক ধরনের শিরক। হাদীস শরীফে এসেছেকুলক্ষুণে বিশ্বাসের কোনো বাস্তবতা নেই। অপর এক হাদীসে আছেকুলক্ষুণে শিরক।-সুনানে আবু দাউদহা. ৩৯০৪;মুসনাদে আহমাদ ১/৩৮৯

সুতরাং মুহাররম মাসে বিয়েশাদি করতে কোনো অসুবিধা নেই। উপরন্তু বহু হাদীসের ভাষ্যমতে এই মাস বরকতপূর্ণ ও মহিমান্বিত।

সহীহ মুসলিম ১/৩৬৮জামে তিরমিযী ১/১২৫৭

 

(খ) তাজিয়া’ সম্পূর্ণ শিরকী কাজ। হযরত হুসাইন রা.-এর রূহকে হাযির মনে করাসেখানে নযর-নিয়ায পেশ করাহাত জোড় করে দাঁড়ানো প্রত্যেকটি কাজই শিরক। এছাড়া এই দিনে শোক মিছিল বের করা,হাইহুতাশ করাবুক চাপড়ানো ইত্যাদিও সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভিত্তিহীনযা বিদআত।

ইমদাদুল ফাতাওয়া ৫/৩৩২৩৩৬আহসানুল ফাতাওয়া ১/৩৯৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন