মুহাররম ১৪৩৯ || অক্টোবর ২০১৭

আফনান কবির - চাকলা, লালমনিরহাট

৪১৯৮. প্রশ্ন

আমাদের বাড়ি একটি নদীর পাশে অবস্থিত। নদীর পানি কমে গেলে নদীর পাশে অবস্থিত খালগুলোতে প্রচুর মাছ আটকা পড়ে। মাছ শিকার করার জন্য এলাকার যুবকরা খালের মালিকদের সাথে বিভিন্নভাবে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। তন্মধ্যে একটি হল, খালের মালিকরা মাছের একটি পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়। খালে মাছ যে পরিমাণই পাওয়া যাক, মালিকের জন্য ঐ পরিমাণ বরাদ্দ থাকবে। আর ঐ পরিমাণ থেকে বেশি যা পাওয়া যাবে তা মাছ শিকারীদের। সাধারণত প্রতি বছরই মালিকদের নির্ধারণ করে দেওয়া পরিমাণ থেকে অনেক বেশি মাছ পাওয়া যায়।

মুহতারামের নিকট জানতে চাচ্ছি, মালিকদের সাথে এভাবে চুক্তি করে মাছ ধরা কি বৈধ হবে?

 

উত্তর

না, এভাবে চুক্তি করা বৈধ নয়। কেননা যারা মাছ ধরবে তাদের পাওনা এক্ষেত্রে নির্ধারিত নয়। অথচ শরীয়তের দৃষ্টিতে শ্রমিকদের কাজের পারিশ্রমিক সুনির্ধারিত ও সুনিশ্চিত হওয়া জরুরি। প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে মাছ শিকার করলে জেলে বা মাছ শিকারীদের পাওনা অনিশ্চিত হয়ে যায়। এছাড়া পুকুরওয়ালাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ দেওয়ার চুক্তিও অবৈধ। কারণ যদি ঐ পরিমাণ মাছ না হয় তাহলে কীভাবে দিবে। অতএব, খালের মালিকদের সাথে মাছ শিকারীদের প্রশ্নোক্ত চুক্তি সম্পূর্ণ নাজায়েয। জায়েয পদ্ধতিতে চুক্তি করতে চাইলে জেলেদের সাথে নির্ধারিত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে চুক্তি করতে হবে। এক্ষেত্রে যত মাছ পাওয়া যাবে তা খালের মালিকরা পাবে।

-মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যা, মাদ্দা : ৪৬৪; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৪৭; রদ্দুল মুহতার ৫/৪৬

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন