মুহাররম ১৪৩৯ || অক্টোবর ২০১৭

হাফসা - মোহাম্মাদপুর, ঢাকা

৪১৯৪. প্রশ্ন

আমি আমার স্বামীর সাথে হজ্বে যাই। ওখানে পৌঁছার পর উমরার তাওয়াফ করার আগেই আমার মাসিক স্রাব শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তখন তা আমি পুরো বুঝতে পারিনি। তাওয়াফ সায়ী শেষ করার পর পুরোপুরি নিশ্চিত হলাম যে, তাওয়াফের আগেই আমার মাসিক শুরু হয়েছিল। এরপর আমি আমার মাথার চুল ছোট করে হালাল হয়ে যাই। পরে একজন আলেমকে ব্যাপারটি জানালে তিনি বলেন, এখন পবিত্র অবস্থায় তাওয়াফটি করে নিতে। তাহলে আর কোনো জরিমানা দিতে হবে না। নতুবা একটি দম দিতে হবে। কিন্তু একজন সন্দেহ পোষণ করছেন যে, এখন তো আমি উমরার সব কাজ শেষ করে হালাল হয়ে গেছি। এখনো আমার এ সুযোগ আছে কি না? তাই এক্ষেত্রে সঠিক মাসআলা কী তা জানতে চাই। এখন ওই তাওয়াফ পুনরায় আদায় করলে কি জরিমানা মাফ হয়ে যাবে এবং এক্ষেত্রে সায়ীও কি আবার আদায় করতে হবে? বিস্তারিত জানতে চাই।

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উমরার ইহরাম থেকে হালাল হয়ে গেলেও আপনি এখনো যদি উমরার তাওয়াফ ও সায়ী পুনরায় আদায় করে নেন তাহলে অপবিত্র অবস্থায় তাওয়াফটি করার কারণে যে দম ওয়াজিব হয়েছিল তা মওকুফ হয়ে যাবে।

প্রকাশ থাকে যে, এক্ষেত্রে সায়ী পুনরায় আদায় করতে হবে কি না এ ব্যাপারে দুরকম মতই আছে। এক্ষেত্রে পুনরায় সায়ী আদায় না করলে কোনো কোনো ফকীহের মতে দম ওয়াজিব হবে। তাই সায়ী আবার আদায় করে নেওয়াই অধিক সতর্কতা।

-আলজামেউস সগীর, ইমাম মুহাম্মাদ পৃ. ১৬২; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪৫৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৪৭; আলবাহরুর রায়েক ৩/২২; মানাসিক, মোল্লা আলী আলকারী পৃ. ৩৫৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন