শাবান-রমযান ১৪৪২ || মার্চ-এপ্রিল ২০২১

আলী হোসাইন - খুলনা

৫৩৪০. প্রশ্ন

গতকাল মাগরিবের নামাযে আমি কল্পনা থেকে ভুলে মুখে কিছু কথা বলে ফেলি। আমার জানার বিষয় হল, আমার নামায কি সহীহ হয়েছে? না হলে আমাকে কি সেই নামায আবার পড়তে হবে?

উত্তর

নামাযে কথা বললে নামায ফাসেদ হয়ে যায়। ইচ্ছাকৃত বা ভুল যেভাবেই কথা বলা হোক একই হুকুম। সুতরাং উক্ত নামায কাযা করে নিতে হবে।

হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম রা. বলেনÑ

كُنّا نَتَكَلّمُ فِي الصّلَاةِ يُكَلِّمُ الرّجُلُ صَاحِبَهُ وَهُوَ إِلَى جَنْبِهِ فِي الصّلَاةِ حَتّى نَزَلَتْ وَ قُوْمُوْا لِلهِ قٰنِتِیْنَ فَأُمِرْنَا بِالسّكُوتِ، وَنُهِينَا عَنِ الْكَلَامِ.

আমরা নামাযে কথা বলতাম। নামাযী ব্যক্তি তার পাশের ব্যক্তির সঙ্গে নামাযে কথা বলত, অতঃপর যখন وَ قُوْمُوْا لِلهِ قٰنِتِیْنَ এই আয়াত নাযিল হল তখন আমাদেরকে চুপ থাকার আদেশ দেওয়া হয় এবং কথা বলতে নিষেধ করা হয়। Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৩৯; সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৫৩৪

হযরত মুআবিয়া ইবনে হাকাম আসসুলামী রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনÑ

إِنّ هَذِهِ الصّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النّاسِ، إِنّمَا هُوَ التّسْبِيحُ وَالتّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ.

নামাযে কোনো ধরনের কথাবার্তা বলার সুযোগ নেই, এ তো হল তাসবীহ তাকবীর ও কুরআনের তিলাওয়াত। Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৩৭

হযরত ইবনে জুরাইজ রাহ. বলেনÑ

أَرَأَيْتَ لَوْ سَهَوْتُ فِي الْمَكْتُوبَةِ فَتَكَلّمْتُ؟ قَالَ: بِلَفْظَةٍ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: قَدِ انْقَطَعَتْ صَلَاتُكَ، فَعُدْ لَهَا جَدِيدًا.

আমি আতা রাহ.-কে জিজ্ঞেস করলাম, আমি যদি নামাযে ভুলে কথা বলে ফেলি (তাহলে এর কী হুকুম হবে?) তিনি বললেন, মুখে উচ্চারণ করে? আমি বললাম, হাঁ, তিনি বললেন, তাতে তোমার নামায ফাসেদ হয়ে গেছে, নতুন করে আবার পড়তে হবে। Ñমুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস ৩৫৬৬

ইবরাহীম নাখায়ী, কাতাদা ও হাম্মাদ রাহ. প্রমুখ তাবেঈ থেকেও অনুরূপ বক্তব্য বর্ণিত আছে। (মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক, হাদীস ৩৫৭১, ৩৫৭৩)

Ñআলমাবসূত, সারাখসী ১/১৭০; বাদায়েউস সানায়ে ১/৫৩৭; মুখতারাতুন নাওয়াযিল ১/৩১৯; আলমুহীতুল বুরহানী ২/১৪৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৩৬; ফাতহুল কাদীর ১/৩৪৪; আলবাহরুর রায়েক ২/২

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন