জুমাদাল উলা-জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪২ || জানুয়ারি ২০২১

মুহাম্মাদ আহমাদ - খালিশপুর, খুলনা

৫২৯২. প্রশ্ন

(ক) আমাদের এলাকার ঈদগাহ ময়দানটি বেশ বড়। চারদিকে দেয়ালে ঘেরা। গ্রামের লোকেরা সেখানে ধান, চাল, ডাল, সরিষা ইত্যাদি শুকাতে দেয়। জানার বিষয় হল, ঈদগাহে ধান, চাল শুকানো যাবে কি?

(খ) একবার ধানের মওসুমে বৃষ্টি হয়। লোকজন ধান শুকানোর কোনো জায়গা না পেয়ে মসজিদের ছাদে ধান শুকায়। এতে খতীব সাহেব খুবই নারায হয়। এবং তিনি মসজিদের ছাদে ধান শুকানো থেকে কঠিনভাবে বারণ করেন। এলাকার লোকজন বলে, জরুরতের সময় মসজিদের ছাদে ধান শুকাতে কী সমস্যা? এ নিয়ে খতীব সাহেবের সাথে মনোমালিন্য হয় এবং খতীব সাহেব খেতাবাত ছেড়ে দেন। এখন আমার জানার বিষয় হল, প্রয়োজনের মুহূর্তে মসজিদের ছাদে ধান শুকানো জায়েয আছে কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর

(ক) ঈদগাহের জায়গা নামাযের মত মর্যাদাপূর্ণ কাজের জন্য নির্ধারিত। তা ধান, চাল ইত্যাদি শুকানোর কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। -ফাতাওয়া খানিয়া ৩/২৯১; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৪৮; আলইসআফ পৃ. ৭২; রদ্দুল মুহতার ৪/৩৫৬

(খ) আর মসজিদের ছাদে ধান শুকানো যাবে না-খতীব সাহেবের এ কথা সঠিক। কেননা মসজিদের ছাদও মসজিদের হুকুমে। আর মসজিদ ইবাদত-বন্দেগীর জন্য বানানো হয়েছে, দুনিয়াবী কাজের জন্য নয়। সুতরাং যারা মসজিদের ছাদে ধান শুকিয়েছে, তাদের উচিত আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা-ইস্তেগফার করা এবং ভবিষ্যতে এ থেকে বিরত থাকা।

প্রকাশ থাকে যে, মুসল্লিদের জন্য এ বিষয় না জেনে খতীব সাহেবের সাথে বির্তকে জড়ানো খুব অন্যায় হয়েছে। -তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৪১৮; ফাতহুল কাদীর ১/৩৬৭; মাজমাউল আনহুর ১/১৯০; আননাহরুল ফায়েক ১/২৮৮; রদ্দুল মুহতার ১/৬৫৬

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন