মুহাররম ১৪৪১ || সেপ্টেম্বর ২০১৯

শফিকুল ইসলাম - নওগাঁ

৪৮৮৫. প্রশ্ন

কিছুদিন আগে আমি এক মাছ বিক্রেতার কাছে একটি মাছের দাম জিজ্ঞাসা করলে সে তিন শত টাকা মূল্যের মাছের দাম এক হাজার টাকা বলে। বিষয়টি টের না পেয়ে আমি সাতশত টাকা বলে ফেলি। সে এতেও রাজি হয়নি। তাই আমি সেখান থেকে চলে আসি। কিছু দূর চলে আসার পর ঐ দামেই মাছটি নেয়ার জন্য সে আমাকে ডাকতে থাকে। এতক্ষণে চড়া দামের বিষয়টি আমার বুঝে আসে। তাই আমি আর তার ডাকে সাড়া দেইনি। সে আমার পিছু নেয় এবং আমাকে ধরে বলে- দরদাম করে এখন নিবেন না কেন? তার চিল্লাচিল্লিতে আশপাশের কিছু লোক জমা হলে তারাও একই কথা বলে। অবশেষে চড়া দামে মাছটি নিতে আমি বাধ্য হই। জানার বিষয় হল, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আমার জন্য মাছটি নেয়া কি আবশ্যক ছিল? এক্ষেত্রে মাছ কিনতে আমাকে বাধ্য করা কি ঠিক হয়েছে?

 

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি মূল্য বলার পর মাছ বিক্রেতা যেহেতু আপনার প্রস্তাবে রাজি হয়নি এবং আপনি সেখান থেকে চলেও এসেছিলেন তাই ঐ প্রস্তাব বাতিল হয়ে গেছে। সুতরাং পরে সে ঐ দামে মাছ দিতে চাইলেও তা আপনার জন্য নেওয়া আবশ্যক ছিল না। এক্ষেত্রে মাছ বিক্রেতা আপনাকে তা নিতে বাধ্য করা অন্যায় হয়েছে। এক্ষেত্রে বিক্রেতা যেহেতু চাপ সৃষ্টি করে কিছুটা প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত চড়া দামে মাছটি বিক্রি করেছে তাই মাছটির ন্যায্য দামই শুধু সে রাখতে পারবে। এর অতিরিক্ত যে মূল্য সে নিয়েছে তা ফেরত দেওয়া আবশ্যক। তা তার জন্য ভোগ করা জায়েয হবে না।

-মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়া, মাদ্দা ১৮৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/৭; রদ্দুল মুহতার ৪/৫২৭

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন