যিলকদ ১৪৪০ || জুলাই ২০১৯

মুহাম্মাদ নাজমুল কারীম - মনিপুরি পাড়া, ঢাকা

৪৮২০. প্রশ্ন

দুই শতাংশ জায়গার উপর একশ বছরের পুরনো একটি মসজিদ রয়েছে। সঙ্গে মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত আরো পাঁচ শতাংশ জমি ছিল। কালক্রমে যা বেদখল হয়ে গিয়েছে। তা আর উদ্ধার করা সম্ভব নয়। এখন মসজিদটি সম্প্রসারিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। যা এখানে সম্ভব নয়। তাই মুতাওয়াল্লী চাচ্ছেন, অদূরে চার শতাংশের উপর বড় আকারে মসজিদ করতে। এখন আমার জানার বিষয় হল, আগের মসজিদ ও তার জায়গাটা কোন্ কাজে ব্যবহার করা হবে? উল্লেখ্য, অতি নিকটে হওয়ার কারণে উভয়টাকে মসজিদ হিসাবে ব্যবহার করা সমীচীন মনে হচ্ছে না। দয়া করে মাসআলাটির সমাধান প্রদান করে বাধিত করবেন।

উত্তর

পুরাতন মসজিদের পাশে জায়গা ক্রয় করে হলেও সেখানেই সম্প্রসারণের চেষ্টা করা উচিত। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে নতুন স্থানে মসজিদ বানানো যাবে। সেক্ষেত্রে পুরাতন মসজিদকেও আবাদ রাখার চেষ্টা করবে। পুরাতন মসজিদে শুধু পাঞ্জেগানা আর নতুন মসজিদে পাঞ্জেগানাসহ জুমা আদায় করা যেতে পারে। কিন্তু পুরাতন মসজিদকে একেবারে বিলীন করে দেওয়া যাবে না। কেননা কোনো স্থানে একবার মসজিদ হলে কিয়ামত পর্যন্ত তা মসজিদের জন্য নির্ধারিত হয়ে যায়। ওই জায়গায় মসজিদ সংক্রান্ত কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজ করার সুযোগ থাকে না।

আর উভয় মসজিদে একত্রে নামায চালু রাখা যদি সম্ভব না হয় বা কষ্টকর হয় তবে তাতে অন্য কোনো দ্বীনী কাজও করা যেতে পারে। যেমন শিশুদের সকালের মক্তবের ব্যবস্থা হতে পারে। ইতেকাফের সময় মুসল্লিগণ সেখানে ইতেকাফও করতে পারবেন।

মোটকথা, মসজিদটি পরিপূর্ণভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এলাকাবাসী চাইলে এটিকে যেন পুনরায় নিয়মিত জামাতে নামাযের জন্য চালু করতে পারে সেভাবে ঐ জায়গা হেফাযত করতে হবে।

উল্লেখ্য যে, পুরাতন মসজিদের বেদখল হয়ে যাওয়া জায়গা উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা করা মসজিদের মুসল্লি ও কমিটির লোকদের কর্তব্য। আর যারা দখল করেছে তাদের কর্তব্য হল অবিলম্বে তা ফেরত দেওয়া এবং আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা করা।

-আলবাহরুর রায়েক ৫/২৫১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৮/১৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৪৫৮; রদ্দুল মুহতার ৪/৩৫৮; ইমদাদুল আহকাম ৩/২০০

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন