মুহাররম ১৪৪০ || অক্টোবর ২০১৮

মুহাম্মাদ শাহাদত হোসেন - মিরপুর, ঢাকা

৪৫৬৪. প্রশ্ন

দীর্ঘদিন পূর্বে আমার গ্রামের বাড়ীতে প্রায় ১৬০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছিলাম। উক্ত জমি ক্রয় করার পর জনৈক ব্যক্তি আমাকে কিছু টাকা পয়সার বিনিময়ে আমার ক্রয় করা জমিতে যাতায়াত অর্থাৎ চলাচলের জন্য রাস্তা দিবে বলেছিল। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন আমাকে ঘুরিয়ে এখন আর রাস্তার জমি আমাকে দিতে বা বিক্রি করতে অস্বীকার করছে। এছাড়াও আমার জমিতে যাতায়াতের জন্য আমি অন্যান্য জমির মালিকের সাথেও দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তার জায়গা ক্রয় করার জন্য অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। ফলে আমি আমার জমিতে যাতায়াত করতে পারছি না।

বর্তমানে আমার জমির পশ্চিম পাশ দিয়ে রাস্তার জন্য একটা জমি ক্রয় করা যায়। কিন্তু উক্ত অংশে ২ বছরের পুরনো বয়স্ক ব্যক্তির একটা কবর আছে। যদি আমি ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে উক্ত ব্যক্তির কবর ১০ বা ২০ ফুট দূরে স্থানান্তর করার অনুমতি পাই তবে আমি উক্ত জমি ক্রয় করে আমার জমিতে যাতায়াত বা বাড়ী-ঘর নির্মাণ বা অন্যান্য প্রয়োজন পুরো করতে পারি অথবা বিক্রি করতে পারি।

অতএব, উপরোক্ত বিষয়টি ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করে আমাকে কবর স্থানান্তরের বিষয়ে লিখিত ফতোয়া প্রদান করে একজন সাধারণ মুসলমানকে সহযোগিতা করার জন্য  বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

উত্তর

শরীয়তসম্মত ওজর ছাড়া মুসলমানের কবর স্থানান্তর করা জায়েয নয়। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রেও আপনাদের জন্য কবরটি স্থানান্তর করা জায়েয হবে না। যতদিন লাশ একেবারে মাটি না হবে ততদিন কবরের সম্মান বাকি থাকে। অবশ্য জায়গাটি যদি ব্যক্তি মালিকানাধীন হয়, কবরের জন্য ওয়াকফকৃত না হয় তাহলে সেটি আপনি মালিকদের থেকে খরিদ করে নিতে পারেন। এবং ভবিষ্যতে যখন লাশ মাটির সাথে মিশে যাওয়ার প্রবল ধারণা হবে তখন কবর সমতল করে দিয়ে সে জায়গা রাস্তা বা অন্য কোন কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন।

-তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৫৮৯; ফাতহুল কাদীর ২/১০১; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী পৃ. ৩৩৬; শরহুল মুনয়া পৃ. ৬০৭; আলবাহরুর রায়েক ২/১৯৫; রদ্দুল মুহতার ২/২৩৭; ইমদাদুল আহকাম ৩/২৮৬

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন