যিলহজ্ব ১৪৩৯ || সেপ্টেম্বর ২০১৮

মইনুল ইসলাম - সদর, রাজশাহী

৪৫৩৪. প্রশ্ন

আমি চাকরির সুবাদে রাজশাহীর একটি আহলে হাদীস অধ্যুষিত এলাকায় থাকি এবং তাদের মতাদর্শী এক ইমামের পিছনে জুমাসহ পাঁচ ওয়াক্তের নামায আদায় করি। তিনি আরবীর পরিবর্তে বাংলায় জুমার খুতবা প্রদান করেন। অথচ আমরা জানি, আরবী ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় খুতবা দেওয়া জায়েয নয়। জানার বিষয় হল, বাংলাতে খুতবাদাতা ঐ ইমামের পিছনে আমার জুমার নামায সহীহ হবে কি না? সহীহ না হলে এখন কি আমাকে এতদিনের আদায়কৃত নামাযগুলোর কাযা করতে হবে?

উত্তর

জুমার খুতবা আরবী ভাষায় হওয়া সুন্নাতে মুতাওয়ারাছা তথা যুগ পরম্পরায় চলে আসা অনুসৃত আমল। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, খোলাফায়ে রাশেদীন, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন ও আইম্মায়ে মুজতাহিদীনের যুগে আরবীতেই খুতবা প্রদান করা হত। অনারবি ভাষায় খুতবা দেওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। তাই আরবীতে খুতবা দেওয়া হয় এমন কোনো মসজিদেই জুমার নামায পড়া উচিত। অবশ্য বাংলা ভাষায় যে খুতবা দেওয়া হয় তার শুরুতে বা মাঝে হামদ-সানা ও আয়াত তিলাওয়াতের কারণে খুতবার ফরয আদায় হয়ে যায়। তাই বিগত দিনের নামাযগুলোর কাযা করতে হবে না। তবে ভবিষ্যতে এমন ইমামের পিছনে নামায আদায়ের চেষ্টা করতে হবে, যিনি সুন্নাহ অনুযায়ী নামায পড়ান। তবে কোথাও যদি এরকম ব্যবস্থা  না থাকে তাহলে এমন খতীবের পিছনে জুমা পড়লেও নামায আদায় হয়ে যাবে।

-আলবাহরুর রায়েক ২/৩০৭; রদ্দুল মুহতার ১/৪৮৫; মুসাফফা শরহুল মুআত্তা ১/১৫৪; আহকামুন নাফাহিস ৪৩-৪৯

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন