শাবান-রমযান ১৪৩৯ || মে-জুন ২০১৮

আবদুল্লাহ আল মামুন - চাটখিল, নোয়াখালী

৪৪৩৯. প্রশ্ন

আমাদের সমাজে সাধারণত ধার্মিক পরিবারগুলোতে পিতা-মাতা তাদের সন্তানকে ৭/৮ বছর বয়স থেকেই নামাযের প্রতি উৎসাহ দিতে শুরু করেন এবং এ ব্যাপারে তাদেরকে খুব সচেতন বলেই মনে হয়। কিন্তু রমযানের রোযার ব্যাপারে কখনো কখনো এর বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হয়। এমনকি কেউ কেউ তো সন্তানের বয়স ১১/১২ হওয়া সত্ত্বেও তাকে রোযা থেকে বিরত রাখেন। এ ব্যাপারে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, সন্তানের এখনও রোযার বয়স হয়নি।

এখন মুহতারামের নিকট জানার বিষয় হল, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালকের রোযার ক্ষেত্রে শরীয়তের নির্দেশনা কী?

নামাযের ক্ষেত্রে যেমন বলা হয়েছে, সাত বছর বয়সে সন্তানকে নামাযের নির্দেশ দাও। আর দশ বছর বয়সে নামায ছেড়ে দিলে শাস্তি দাও। রোযার বিষয়টি কি এমন, নাকি পার্থক্য আছে?

উত্তর

সাত বছর বয়সী বাচ্চাদেরকে রোযা রাখার প্রতি চাপাচাপি করা যাবে না। তবে যখন থেকে দু-একটি  করে রোযা রাখতে পারে এবং শারীরিকভাবে রোযা রাখতে সক্ষম হয় তখন থেকে কিছু কিছু রোযা রাখতে উৎসাহিত করবে। আর বালেগ হওয়ার পরই যেহেতু তার উপর পুরো রমযান রোযা রাখা আবশ্যক হয়ে যায় তাই সে বিষয়টি লক্ষ রেখে বালেগ হওয়ার কাছাকাছি বয়সে ছেলে-মেয়েদেরকে রোযার প্রতি অভ্যস্ত করে তুলবে।

-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ৭২৯৩, ৭২৯৪; মুখতাসারু ইখতিলাফিল উলামা ২/১৫; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/৪৫৬; রদ্দুল মুহতার ২/৪০৯

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন