জুমাদাল উলা ১৪৩৯ || ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আলী মুরতাযা - তালুক দুলালী, লালমনিরহাট

৪৩৫৭. প্রশ্ন

আমার এক আত্মীয়ের একটি রাইসমিল আছে। তাতে নতুন কিছু মেশিনারিজ কেনার জন্য ১,৩০,০০০/- টাকার প্রয়োজন। সে আমার সাথে এভাবে চুক্তি করতে চাচ্ছে যে, আমি তাকে ঐ টাকা দিলে সে প্রতি মাসে আমাকে ১৭০০/- টাকা লাভ দিবে। এর পর বাকি লাভ যা থাকবে ছয়মাস পর পর হিসাব করে বণ্টন হবে। তখন লাভের পরিমাণ দেখে ইনসাফের ভিত্তিতে শতকরা হারে একটি পরিমাণ নির্ধারণ করে বাকি লাভ নেওয়া হবে।

একজন বললেন, এভাবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট আকারে লাভ নেওয়া হলে বাকি বিনিয়োগটি জায়েয হবে না। কিন্তু আমার আত্মীয়ের কথা হল প্রতি মাসে একটি অংক নিলেও ৬ মাস পর বাকি লাভ যেহেতু শতকরা হারে বণ্টিত হচ্ছে তাই কোনো সমস্যা নেই।

মুফতী সাহেবের নিকট জানতে চাচ্ছি, উপরে বর্ণিত নিয়মে কি আমি  বিনিয়োগটি করতে পারব?

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী মাসে ১৭০০ টাকা নির্দিষ্ট করে নিবে এ শর্ত করলে উক্ত চুক্তি নাজায়েয হয়ে যাবে। পরবর্তীতে বাকি লাভ শতকরা হারে বণ্টিত হলেও তা জায়েয হবে না। কারণ লাভের একটা অংক কোনো পক্ষের জন্য নির্দিষ্ট করা হলেই সেই লেনদেন নাজায়েয হয়ে যায়।

অতএব বিনিয়োগটি সহীহভাবে করতে চাইলে কারো জন্য কোনো অংক নির্ধারণ না করে শুরু থেকেই চুক্তির সময়ই লভ্যাংশের হার নির্ধারণ করে নিতে হবে। যেমন বিনিয়োগকারী ৬০% মিলমালিকের ৪০%। অথবা এ ধরনের অন্য কোনো পরিমাণ।

উল্লেখ্য, উপরোক্ত সহীহ পন্থায় চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর ব্যবসার চূড়ান্ত হিসাব হওয়ার পূর্বে অন্তর্বর্তিকালীন কিছু টাকা অগ্রিম লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীকে দেয়া যাবে। যা চূড়ান্ত হিসাবের পর সমন্বয় করে নিতে হবে।

-আলমুহীতুল বুরহানী ১৮/১২৬; মাজাল্লতুল আহকামিল আদলিয়্যা, মাদ্দা : ১৪১১; আলমাবসূত, সারাখসী ২২/২৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/২৮৭; আলমাআয়ীরুশ শারইয়্যাহ পৃ. ২৪০

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন