জুমাদাল উলা ১৪৩৮ || ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সোহেল আহমদ - কলাবাগান, ঢাকা

৩৯৮৮. প্রশ্ন

 

আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। রাত ৮টা পর্যন্ত ডিউটি করে বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় দশটা বেজে যায়। এরপর খাবার-দাবার অন্যান্য কাজ শেষ করে ইশার নামায পড়তে পড়তে প্রায় বারোটা, সাড়ে বারোটা বেজে যায়। এর আগে পড়াটা একটু কঠিন হয়। জানতে চাই, আমার জন্য এত দেরি করে নামায আদায় করায় কোনো সমস্যা আছে কি?

 


 

উত্তর

বিনা ওজরে ইশার নামায আদায়ে এত বিলম্ব করা মাকরূহ। ইশার নামায রাতের প্রথম একতৃতীয়াংশের মধ্যে আদায় করে নেওয়া উত্তম। অবশ্য মধ্যরাত পর্যন্ত পড়ে নিলে মাকরূহ হবে না।আমাদের দেশে মওসুমভেদে মধ্যরাত শুরু হয় কখনো এগারোটা থেকেকখনো সাড়ে এগারোটাথেকে বা এর কয়েক মিনিট আগে-পরে (ঢাকার সময়ানুযায়ী) তাই ওজর ছাড়া এর চেয়ে বিলম্বকরা মাকরূহে তানযীহী। সময়মতো নামায আদায়ের ব্যাপারে আরো যত্নশীল হওয়া কর্তব্য।

উল্লেখ্যযে সকল দপ্তরে মুসলমান কর্মচারীগণ কাজ করে সেখানের কর্তৃপক্ষের উচিত নামাযেরনির্ধারিত সময়ে কর্মচারীদেরকে জামাতের সাথে নামায আদায়ের সুযোগ করে দেওয়া। তবেসেখানে যদি জামাতের সুযোগ নাও থাকে তবে ছুটির পর অফিসে কিংবা বাইরে কোথাও নামাযপড়ে নেওয়াই বাঞ্ছনীয় হবে। 

-তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/২২৬; মাবসূত, সারাখসী ১/১৪৭; শরহুল মুনইয়াহ ২৩৪; হালবাতুল মুজাল্লী ১/৬৪৬; রদ্দুল মুহতার ১/৩৬৮; কিতাবুল আছল ১/১২৩; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ১/৫২২

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন