যিলকদ ১৪৩৭ || আগস্ট ২০১৬

ইয়াহইয়া - নোয়াখালী

৩৭৮১. প্রশ্ন

মুয়াযযিন সাহেব ঘড়ি দেখে সূর্য ডোবার সময় হয়েছে মনে করে মাগরিবের আযান দিয়েছেন। তার আযান শুনে মহল্লার অনেক লোক ইফতার করে ফেলেছেন। পরে মহল্ল­ার অন্যান্য মসজিদের আযান, রেডিওর আযান ও রোযার চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে দেখা গেল যে, বাস্তবে তারা সূর্য ডোবার আগেই ইফতার করেছিলেন। জানতে চাই, যারা ইফতার করে ফেলেছেন তাদের রোযা কি ভেঙ্গে গেছে? যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে কাযা করলেই যথেষ্ট হবে নাকি কাফফারাও দিতে হবে?


উত্তর

প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী যারা সূর্যাস্তের আগেই ইফতার করেছেন তাদের রোযা নষ্ট হয়ে গেছে। তারা রোযাটি কাযা করবেনকাফফারা দেওয়া লাগবে না। হাদীস শরীফে আছেহযরত আসমা রা. বলেন, ‘রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় এক মেঘলা দিনে আমরা সূর্য ডুবে গেছে নিশ্চিত জেনে ইফতার করলাম। পরক্ষণেই মেঘ সরে গিয়ে সূর্য প্রকাশিত হল।’ হাদীসের রাবী হিশামকে জিজ্ঞাসা করা হলতাদেরকে কি রোযা কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলতিনি বললেনকাযা ছাড়া তো উপায় নেই।-সহীহ বুখারীহাদীস ১৯৫৯সুনানে আবু দাউদহাদীস ২৩৫৯

হযরত বিশর ইবনে কায়েস থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমি এক রমযানে বিকেল বেলা উমর রা.-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। উমর রা. সূর্য ডুবে গেছে মনে করে নিজেও পানি পান করলেন এবং আমাকেও পান করালেন। পরক্ষণেই সূর্য দেখা গেল। উমর রা. বললেন, ‘সমস্যা নেই। এর পরিবর্তে একটি রোযা কাযা করাই যথেষ্ট হবে।’ -সুনানে কুবরাবায়হাকী ৪/৫৬৬মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহাদীস ৯১৩৮

হযরত ইবনে জুরাইজ রাহ. বলেনআমি আতা রাহ.-কে জিজ্ঞেস করলামরমযানের এক মেঘাচ্ছন্ন দিনে সময় হয়েছে মনে করে ইফতার করেছি। এরপর সূর্য দেখা গেল। এখন আমি কি শুধু ঐ দিনের রোযার কাযা করবনা আমাকে কাফফারাও আদায় করতে হবেআতা রাহ. বললেনহাঁ, (শুধু কাযা করবে) (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহাদীস ৯১৪৭)

-বাদায়েউস সানায়ে ২/২৫৭; আলবাহরুর রায়েক ২/২৯১; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪০৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৩৬; হাশিয়াতুত তহতাবী আলালমারাকী ৩৬৯

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন