রবিউল আউয়াল-রবিউল আখির ১৪৩৭ || জানুয়ারি ২০১৬

মুহাম্মাদ আবু বকর - যশোর

৩৫৫৫. প্রশ্ন

হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী নামক কিতাবে সিজদায়ে তিলাওয়াতের আয়াতসমূহ উল্লেখ করতে গিয়ে কোনো জায়গায় তিন আয়াত আবার কোথাও চার আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে।  যেমন সূরা নজমে চার আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। তো প্রশ্ন হল, এখানে উদ্দেশ্য কি এই যে, চার আয়াতের যেকোনো এক আয়াত পড়লে সিজদা করতে হবে, আর যেখানে তিন আয়াত, যেমন সূরা নাহল-এ সেখানে তিন আয়াতের যেকোনো এক আয়াত পড়লে সিজদা করতে হবে? নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে? দয়া করে জানাবেন।


উত্তর

সূরা নাহল বা নাজম-এর উল্লিখিত তিন/চার আয়াতের যে কোনো আয়াত পড়লে সিজদায়ে তিলাওয়াত ওয়াজিব হবে নাবরং সিজদার শব্দ সম্বলিত আয়াত পাঠ করলেই তিলাওয়াতে সিজদা ওয়াজিব হবে। আর  সিজদা ওয়াজিব হওয়ার জন্য তিলাওয়াতে সিজদার পূর্ণ আয়াত পাঠ করা আবশ্যক নয়বরং যেমনিভাবে সিজদার পূর্ণ আয়াত পাঠ করলে সিজদা ওয়াজিব হয় তদ্রƒপ সিজদার আয়াত থেকে সিজদা সম্বলিত শব্দসহ তার আগে বা পরের শব্দ মিলিয়ে পড়লেও সিজদা ওয়াজিব হয়ে যায়।

সুতরাং সূরা নাজম থেকে সিজদার পূর্ণ চার আয়াত পাঠ করা হোক বা শুধু فَاسْجُدُوْا لِلّٰهِ وَ اعْبُدُوْا পড়াহোক উভয় ক্ষেত্রে সিজদা ওয়াজিব হবে। অনুরূপ সূরা নাহল থেকে কেউ যদি তিন আয়াত পড়ে বা শুধুমাত্র

وَ لِلّٰهِ یَسْجُدُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ

পর্যন্ত পড়ে তার উপর সিজদা তিলাওয়াত ওয়াজিব হবে।

প্রকাশ থাকে যেহাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকীসহ ফিকহের কিতাবাদিতে যে কোনো কোনো সিজদার আয়াতের পরিমাণ তিন/চার আয়াত পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে তা মূলত সিজদা সংশ্লিষ্ট মাযমূনের প্রতি লক্ষ্য রেখে বলা হয়েছে। অর্থাৎ এ সবজায়গায় বিষয়বস্তুটা তিন/চার আয়াত মিলে পূর্ণ হয়েছে।

এর অর্থ এ নয় যেসিজদা ওয়াজিব হওয়ার জন্য পূর্ণ তিন/চার আয়াতই পড়া আবশ্যক।

-রদ্দুল মুহতার ২/১০৩; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী পৃ. ২৬১; ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৩৭২

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন