জুমাদাল আখিরাহ ১৪৩৬ || এপ্রিল ২০১৫

খাইরুল ইসলাম - ওয়েব থেকে প্রাপ্ত

৩৩৫০. প্রশ্ন

 আমাদের এলাকার এক মসজিদের ইমাম আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক। তিনি সেখানে উপযুক্ত বয়সের ছেলে-মেয়েদেরকে পড়ান। জানার বিষয় হল,পর্দার বিধান লঙ্ঘনকারী ইমামের পিছনে নামায পড়ার বিধান কী? বিস্তারিত দলিল-প্রমাণসহ জানতে চাই।


উত্তর

সহশিক্ষার প্রচলিত পদ্ধতি শরীয়তের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী। পর্দার বয়স হয়ে যাওয়ার পর গায়রে মাহরাম মেয়েদেরকে সরাসরি পড়ানো নাজায়েয। এতে পর্দার হুকুম লঙ্ঘনের গুনাহ ছাড়াও আরো অনেক গুনাহর আশঙ্কা থাকে। নিয়মিত এমন গুনাহর কাজে লিপ্ত ব্যক্তি ইমাম হওয়ার যোগ্য নয়। শরীয়তের দৃষ্টিতে ইমামতি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সংশ্লিষ্ট মাসআলা-মাসাইল জানেন এবং সুন্নতের অনুসারী পরহেযগার ব্যক্তিই এ পদের যোগ্য।

সুতরাং প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি ঐ সহশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত অবস্থায় ইমাম হওয়ার যোগ্য নয়। এ ধরনের ব্যক্তির ইমামতি মাকরূহে তাহরীমী। তবে এমন ব্যক্তির পিছনে নামায আদায় করলেও তা আদায় হয়ে যাবে।

প্রকাশ থাকে যেমসজিদ কমিটির কর্তব্য হলযথাসম্ভব উপযুক্ত ব্যক্তিকে ইমাম হিসেবে নির্বাচন করা,প্রকাশ্যে গুনাহয় লিপ্ত কিংবা শরীয়তের বিধানের প্রতি উদাসীন ব্যক্তিকে এ পদে নিয়োগ না দেওয়া।

-আলমুহীতুল বুরহানী ২/১৭; রদ্দুল মুহতার ১/৫৬০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৯২; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৪৮; শরহুল মুনইয়াহ ৫১৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন