ইমাম হাসান - পিরোজপুর

৩৬৯৯. প্রশ্ন

একবার বটিতে লেগে আমার পা অনেকটা কেটে যায়। ডাক্তার সাহেব প্রথমে সেলাই করে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছেন। এবং ক্ষতির আশঙ্কা ব্যক্ত করে তিন চারদিন আগে খুলতে মানা করেছেন। তাই আমাকে ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করতে হচ্ছে। হুযুরের নিকট আমার জানার বিষয় হলো, ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করলে কি পুরো ব্যান্ডেজ মাসাহ করতে হবে নাকি অধিকাংশের উপর মাসাহ করলেও যথেষ্ট হবে?


উত্তর

সম্ভব হলে পুরো ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করাই উত্তম। তবে কিছু অংশ ছুটে গেলেও সমস্যা হবে না। কেননা ব্যান্ডেজের অধিকাংশ স্থান মাসাহ করাই যথেষ্ট।

Ñখুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৭; হালবাতুল মুজাল্লী ১/৩৪৭; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৮২

শেয়ার লিংক

হুসাইন আহমদ - ধানম-ি, ঢাকা

৩৭০০. প্রশ্ন

আমি একটি মসজিদের মুয়াযযিন। সাধারণত আযানের আগেই আমি নামাযের প্রস্তুতি সেরে নেই। তবে কখনো এমন হয় যে, অযু করার আগেই আযানের সময় হয়ে যায়। তাই জানতে চাই, অযু না থাকা অবস্থায় আযান দেওয়ার হুকুম কী? এটা কি গুনাহ।?


উত্তর

অযু অবস্থায় আযান দেওয়া মুস্তাহাব। তাই যথাসম্ভব অযুসহ আযান দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে অযু না থাকা অবস্থায় আযান দিলেও তা আদায় হয়ে যাবে এবং গুনাহ হবে না।

Ñজামে তিরমিযী, হাদীস ২০১; নাসবুর রায়াহ ১/২৯২; আততালখীসুল হাবীর ১/৫০৯; হেদায়া ১/২১৯; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩৭৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৭৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৯২

শেয়ার লিংক

আব্দুর রহমান - সাভার, ঢাকা

৩৭০১. প্রশ্ন

কোনো ব্যক্তি ঈদের নামাযে ইমাম সাহেবকে দ্বিতীয় রাকাতে পেলে সে ইমাম সাহেবের সালাম ফেরানোর পর প্রথম রাকাত আদায়ের সময় অতিরিক্ত তাকবীরগুলো কখন বলবে?

 


উত্তর

ঐ ব্যক্তি ছুটে যাওয়া রাকাত আদায়ের সময় রুকুর আগে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলবে। প্রখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী রাহ. বলেনযে ব্যক্তি ঈদের নামাযে এক রাকাতের মাসবূক হয়েছে সে যে রাকাত পেয়েছ তাতে ইমামের সাথে তাকবীর বলবে। আর যে রাকাত পায়নি তাতে ইমাম সাহেবের দ্বিতীয় রাকাতের ন্যায় (অর্থাৎ রুকুর আগে) অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলবে।

Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৫৮৬৩; মাবসূত, সারাখসী ২/৪০; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৯৪; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬১; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৪

শেয়ার লিংক

উম্মে হাফসা - মুন্সিগঞ্জ

৩৭০২. প্রশ্ন

কখনো দেখা যায়, নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর নামায আদায়ের পূর্বেই হায়েয আরম্ভ হয়। জানতে চাই, পরবর্তীতে ঐ ওয়াক্তের নামায কি কাযা করা জরুরি?


উত্তর

নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর নামায আদায়ের পূর্বে ওয়াক্তের মধ্যেই হায়েয আরম্ভ হলে এই ওয়াক্তের নামাযও মাফ হয়ে যায়। অতএব পরবর্তীতে এই ওয়াক্তের নামায কাযা করা লাগবে না।

Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৭৩১৩; মাবসূত, সারাখসী ২/১৪; ফাতহুল কাদীর ১/১৫২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৪৮৩; মাজমাউল আনহুর ১/৭৯; রদ্দুল মুহতার ১/২৯১

শেয়ার লিংক

মুনিরুল ইসলাম - মঙ্গলকোট, যশোর

৩৭০৩. প্রশ্ন

ক. যারা তাবলীগে লম্বা সময়ের জন্য সফরসম দূরত্বে বের হয় তারা মুসাফির কি না?

খ. চিল্লা চলাকালীন সময়ে কোনো কাজে কেউ যদি বাড়িতে যায় এবং বাড়িতে ১-২ দিন থাকে তাহলে ঐ ১-২ দিনের জন্য মুকীম হবে কি না?

 

 


উত্তর

ক. কেউ সফরসম দূরত্বের জন্য বের হলে নিজ এলাকা ত্যাগ করার পর থেকে পথিমধ্যে  সে মুসাফির থাকবে। আর গন্তব্যে পৌঁছে কোনো এক গ্রাম নির্দিষ্ট না করে একাধিক গ্রামের মসজিদে ১৫ দিন বা তার বেশি অবস্থানের নিয়ত করলে গন্তব্যস্থলেও সে মুসাফির থাকবে। তদ্রƒপ শহর ও শহরতলী মিলে ১৫ দিন বা তার বেশি অবস্থানের নিয়ত করলেও সে মুসাফির থাকবে। অবশ্য যদি এক গ্রাম বা এক শহরেরই মসজিদে মিলে এক নাগাড়ে ১৫ দিন বা তার বেশি থাকার নিয়ত করে তাহলে সেক্ষেত্রে ঐ গ্রাম বা শহরে সে মুকীম গণ্য হবে।

খ. চিল্লা চলাকালীন সময়ে কেউ মুসাফির থাকা অবস্থায় ১/২ দিন বা অল্প সময়ের জন্যও যদি বাড়িতে যায় তাহলে নিজ এলাকায় প্রবেশের সাথে সাথেই মুকীম হয়ে যাবে। এবং নিজ এলাকা ত্যাগ করা পর্যন্ত পূর্ণ নামায আদায় করবে। Ñআলআসল ১/২৩৩বাদায়েউস সানায়ে ১/২৭০৭৯আলবাহরুর রায়েক ২/১৩২রদ্দুল মুহতার ২/১২৪২৬

শেয়ার লিংক

জাকিয়া - ঢাকা

৩৭০৪. প্রশ্ন

আমার জন্ম সাল ২৭-১১-১৯৯১। সেই হিসেবে আমার বর্তমান বয়স ২৪ বছর ২ মাস। ১৩ বছর বয়সে আমি বালেগা হয়েছি। (অর্থাৎ ২০০৪-এ) ২২ বছর বয়স অর্থাৎ ২০১৩ সাল থেকে আমি নিয়মিত নামায, রোযা, বোরকা পরা শুরু করেছি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাকে কত বছরের নামায, রোযা কাযা করতে হবে। কেউ কেউ বলে, বালেগা হওয়ার সময় থেকে কাযার হিসাব শুরু হবে। আবার কেউ কেউ বলে, বালেগা হওয়ার পূর্বেই অনেকে নারী পুরুষের পার্থক্য বুঝতে পারে। এজন্যেই অনেকে ৯ বছর থেকে কাযার হিসাব করতে বলেন। এখন আমি সর্বমোট কয় ওয়াক্ত নামায ও কতগুলো রোযা কাযা আদায় করব? নামায রোযা ব্যতীত অন্য কোনো ইবাদাত আছে কি যা আমাকে এখন কাযা করতে হবে? কাযা নামাযের নিয়ত ও কাযা রোযার নিয়ত কিভাবে করতে হবে?

 

উত্তর

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী আপনি যেহেতু ২০০৪ সালেই প্রাপ্তবয়স্কা হয়েছেন তাই তখন থেকে যতদিন নামায পড়া হয়নি ততদিনের পাঁচ ওয়াক্ত ফরয এবং বিতর নামায হিসাব করে কাযা করতে হবে। তবে মাসিকের দিনগুলোর নামায যেহেতু মাফ তাই সেগুলোর কাযা করতে হবে না। আর বালেগা হওয়ার পর থেকে যতগুলো রমযানে রোযা রাখেননি ততদিনের রোযার কাযা করতে হবে। আর বালেগা হওয়ার পূর্বের নামায-রোযার কাযা করতে হবে না।

আর বিগত বছরগুলোতে আপনার উপর যাকাত ফরয হয়ে থাকলে এবং তা আদায় না করে থাকলে হিসাব করে তা আদায় করতে হবে। এছাড়া হজ্ব ফরয হয়ে থাকলে হজ্বও করে নিতে হবে।

কাযা নামাযের নিয়ত এভাবে করবেন (ফযরের ক্ষেত্রে) আমি অনাদায়ী প্রথম ফজরের নামায আদায় করছি। (যোহরের ক্ষেত্রে) আমি অনাদায়ী প্রথম যোহর নামায আদায় করছি।

এভাবে প্রত্যেক ওয়াক্তে প্রথম অনাদায়ী নামাযটি আদায়ের নিয়ত করবেন।

আর রোযার ক্ষেত্রেও এভাবে নিয়ত করবেন যেআমি অনাদায়ী প্রথম ফরয রোযা আদায় করছি।

Ñমুসনাদে আহমদ, হাদীস ৯৪০; সহীহ বুখারী, হাদীস ৩২১; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৫৮; আলবাহরুর রায়েক ২/৭৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১২১; আদ্দুররুল মুখতার ২/৭৬

শেয়ার লিংক

মুহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম - কমলাপুর, নগইল

৩৭০৫. প্রশ্ন

ক. কোন ব্যক্তি যদি ঈদের নামাযে প্রথম তিন তাকবির শেষ হওয়ার পর কেরাত অবস্থায় নামাযে শরীক হয় তাহলে তার তাকবীরের হুকুম কী?

খ. কোন ব্যক্তি যদি ঈদের নামাযের প্রথম বা দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর মধ্যে শরীক হয় তাহলে সে তাকবীর কখন বলবে?

গ. কোন ব্যক্তি ঈদের নামাযে দ্বিতীয় রাকাতে কেরাত অবস্থায় শরীক হলে তার তাকবীরের হুকুম কী?

ঘ. আর কেউ যদি ঈদের নামাযে ইমাম সাহেবকে  শেষ বৈঠকে পায় তাহলে তার তাকবীরের হুকুম কি?

দয়া করে জানারে উপকৃত হব।

 

 


উত্তর

ক. ঈদের নামাযে কোন ব্যক্তি যদি ইমামের সাথে প্রথম রাকাতে অতিরিক্ত তাকবীর না পায় বরং কিরাত অবস্থায় নামাযে শরীক হয় তাহলে সে তাকবীরে তাহরীমার পর নিজে নিজে অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলে নিবে। -ফাতাওয়া তাতরখানিয়া ২/৬১৯আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৩ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫১

খ. ঈদের নামাযে ইমামকে প্রথম বা দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর মধ্যে পেলে যদি তার প্রবল ধারণা হয় যেদাঁড়ানো অবস্থায় অতিরিক্ত তাকবীর বলে সে ইমামের সাথে রুকুতে শরীক হতে পারবেতাহলে তাকবীরে তাহরীমার পর দাঁড়ানো অবস্থায়ই অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলে রুকুতে ইমামের সাথে শরীক হবে। আর যদি দাঁড়িয়ে তাকবীর বললে ইমামকে রুকুতে না পাওয়ার প্রবল ধারণা হয় তাহলে তাকবীরে তাহরীমার পর রুকুতে চলে যাবে। এবং রুকুতেই হাত উঠানো ছাড়া অতিরিক্ত তাকবীরগুরো বলে নিবে। এ ক্ষেত্রে রুকুর তাসবীহ না বললেও চলবে।

প্রকাশ থাকে যেরুকুতে ইমামের সাথে শরীক হওয়ার পর অতিরিক্ত তাকবীর বলার মত সময় না পেলে সে ক্ষেত্রে আর তাকবীর বলতে হবে না। ইমামের সাথে রুকু পাওয়ার কারণে সে ঐ রাকাত পেয়েছে এবং সাথে সাথে তাকবীরও পেয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। -ফাতওয়া তাতরখানিয়া ২/৬১৮ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫১

গ. ইমামকে দ্বিতীয় রাকাতের কেরাত অবস্থায় পেলে যথারীতি ইমামের সাথে শরীক হয়ে যাবে। এবং ইমাম যখন রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবীর বলবে সেও ইমামের সাথে তাকবীর বলবে। আর ইমামের সালাম ফিরানোর পর ছুটে যাওয়া রাকাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে প্রথমে সূরা-কেরাত পড়বে তারপর রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলবে। -ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৬১৯৬২১আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৪

ঘ.  যে ব্যক্তি ঈদের নামাযে শেষ বৈঠকে শরীক হবে তার কর্তব্য হলসালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক নিয়মেই উভয় রাকাত আদায় করবে। অর্থাৎ প্রথম রাকাতের জন্য দাঁড়িয়েই কিরাতের পূর্বে অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলবে। আর দ্বিতীয় রাকাতে কিরাতের পর অতিরিক্ত তাকবীর বলবে। -ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৮৫

শেয়ার লিংক

ফেরদাউস - নেত্রকোণা

৩৭০৬. প্রশ্ন

শাবান মাসের ২৯ তারিখ অথবা মাস যদি ৩০ শে হয় তাহলে ৩০ তারিখে রোযা রাখতে কোন সমস্যা আছে কী?

 


উত্তর

হাদীস শরীফে এসেছেÑ আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিতনবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনতোমাদের কেউ যেন রমযান মাসে একদিন বা দুই দিন পূর্ব তেকে রোযা না রাখে। তবে কারো যদি আগে থেকে কোন নির্দিষ্ট দিন রোযা রাখার অভ্যাস থাকে এবং (ঘটনাক্রমে) সে দিনটি ২৯ বা ৩০ শে শাবান হয় তাহলে সে ঐ দিন রোযা রাখতে পারবে। (সহীহ বুখারীহাদীস:১৯১৪জামে তিরমিযীহাদীস: ৬৮৪)

সুতরাং বিশেষভাবে শুধু ২৯ বা ৩০ শে শাবান রোযা রাখা মাকরুহ। তবে যে ব্যক্তি পূর্ব থেকে কোন নির্দিষ্ট দিন রোযা রেখে আসছে ঘটনাক্রমে তার ঐ দিন যদি ২৯ ও ৩০ শে শাবান হয় তাহলে তার জন্য এ দিন রোযা রাখতে কোন অসুবিধা নেই।

-হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/৪৪৪, এলাউস সুনান ৯/১২৪-১২৭

শেয়ার লিংক

রিয়াজ শিব্বির - মানিকগঞ্জ

৩৭০৭. প্রশ্ন

 

রোযা অবস্থায় রক্ত দিলে কি রোযা নষ্ট হয়ে যাবে?

 


 

উত্তর

নারোযা অবস্থায় রক্ত দিলে রোযা ভাঙ্গে না। তাই টেস্ট বা পরীক্ষার জন্য রক্ত দেওয়া যাবে। তবে এ পরিমাণ রক্ত দেওয়া মাকরুহ যার কারণে শরীর অধিক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোযা রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই দুর্বল লোকদের জন্য রোযা অবস্থায় অন্য রোগীকে রক্ত দেওয়া ঠিক নয়। আর এমন সবল ব্যক্তি যে রোযা অবস্থায় অন্যকে রক্ত দিলে রোযা রাখা তার জন্য কষ্টকর হবে না সে রক্ত দিতে পারবে। এতে কোন অসুবিধা নেই।

-সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৩৬, ১৯৪০, আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৩; কিতাবুল আসল ২/১৬৮; মাজমাউল আনহুর ১/৩৬০

শেয়ার লিংক

মুনির - ওয়েব থেকে প্রাপ্ত

৩৭০৮. প্রশ্ন

গোসলের সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে নাকে পানি গেলে কি রোযা ভেঙ্গে যাবে?

 


উত্তর

রোযার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় অযু-গোসলের সময় অনিচ্ছাকৃতও যদি গলার ভিতর পানি চলে যায় তবে রোযা ভেঙ্গে যায়। তাই নাকের ভিতর পানি প্রবেশ করার পর যদি তা গলায় চলে যায় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তা কাযা করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কাফফারা লাগবে না।

ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেনরোযা অবস্থায় কুলি করার সময় অথবা নাকে পানি দেওয়ার সময় যদি পানি ভেতরে প্রবেশ করে এবং তা গলায় চলে যায় তবে সে ঐ দিনের রোযা পূর্ণ করবে এবং পরে তা কাযা করে নিবে। Ñকিতাবুল আসারহাদীস : ২৮৭

আর যদি শুধু নাকে পানি প্রবেশ করেগলায় না পৌঁছে তবে রোযা ভাঙ্গবে না।

Ñকিতাবুল আসল ২/১৫০, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১৮২৫৩; মাবসূত সারাখসী ৩/৬৬

শেয়ার লিংক

কাওসার - বাংলাবাজার, ঢাকা

৩৭০৯. প্রশ্ন

গীবত করলে রোযা নষ্ট হয়ে যায় কথাটি কি সঠিক?

 


উত্তর

রোযা অবস্থায় গীবত করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে না। তবে রোযার সাওয়াব ও গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাবে। গীবত কবীরা গুনাহ। কুরআন মাজীদ এবং হাদীস শরীফে এর ঘৃণ্যতা ও ভয়াবহতার কথা এসেছে। সাধারণ সময়ই এটি খুবই নিকৃষ্টতম কাজ।  আর রমযান মাসে রোযা অবস্থায় এর ভয়াবহতা আরো বেশি। হাদীস শরীফে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনÑ রোযা হল (জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার) ঢালযে পর্যন্ত না তাকে বিদীর্ণ করা হয়। জিজ্ঞাসা করা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হল কীভাবে রোযা বিদীর্ণ হয়ে যায়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনমিথ্যা বলার দ্বারা অথবা গীবত করার দ্বারা। (আলমুজামুল আওসাততাবারানী,হাদীস ৭৮১০সানানে নাসায়ীহাদীস ২২৩৫)

মুজাহিদ রহ. বলেনদুটি অভ্যাস এমন রয়েছেএ দুটি থেকে যে বেঁচে থাকবে তার রোযা নিরাপদ থাকবে: গীবত ও মিথ্যা।

Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৮৯৮০; ইমদাদুল ফাত্তাহ, পৃ. ৬৭৪; মাজমাউল আনহুর ১/৩৬০

শেয়ার লিংক

নুমান ফরিদ - কিশোরগঞ্জ

৩৭১০. প্রশ্ন

ধুমপান করলে রোযা নষ্ট হবে কী না?

 


উত্তর

জী হাঁরোযা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত ধুপমান করলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। এবং কাযা ও কাফফারা উভয়টি ওয়াজিব হবে। 

- ইমদাদুল ফাত্তাহ পৃ. ৩৮১; রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৫; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/৪৫০

শেয়ার লিংক

রাইসুল হাসান - সোনারগাঁ

৩৭১১. প্রশ্ন

আগরবাতি ও কয়েলের ধোঁয়া নাকে গেলে রোযার কোন ক্ষতি হবে কি?

 Ñকিতাবুল আসল ২/১৭২; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০৮; মাজমাউল আনহুর ১/৩৬১

 


উত্তর

আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া অনিচ্ছাকৃত নাকে বা গলার ভিতর চলে গেলে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। তবে আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া ইচ্ছাকৃত নাক দিয়ে টেনে ভিতরে নিলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। কিন্তু আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া ছাড়া শুধু ঘ্রাণ নিলে রোযা নষ্ট হবে না।

উল্লেখ্য যেরোযার দিনে আগরবাতি না জ্বালানোই উচিত।

শেয়ার লিংক

মাহমুদ - যশোর

৩৭১২. প্রশ্ন

রোযা অবস্থায় চোখে ড্রপ দেওয়া যাবে কি?

 


উত্তর

জীরোযা অবস্থায় চোখে ড্রপ দেওয়া যাবে। এতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। এমনকি ঔষধের স্বাদ বা তিক্ততা গলায় অনুভূত হলেও অসুবিধা নেই। হাদীস শরীফে এসেছে যেহযরত আনাস রা. রোযা অবস্থায় চোখে সুরমা ব্যবহার করতেন।

Ñসুনানে আবুদাউদ, হাদীস ২৩৭৮; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯৩৮৭; কিতাবুল আসল ২/১৭১; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৪৮; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৪৪

শেয়ার লিংক

মনিরুল ইসলাম - মাগুড়া

৩৭১৩. প্রশ্ন

রোযা রাখাবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে কী রোযা নষ্ট হয়?

 


উত্তর

নারোযা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলেও রোযা ভাঙ্গবে না। তবে ইচ্ছকৃত মুখ ভরে বমি করলে রোযা  ভেঙ্গে যাবে। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেÑ অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তাকে সে রোযা কাযা করতে হবে না (অর্থাৎ তার রোযা ভাঙ্গবে না)। আর যে ইচ্ছাকৃত বমি করবে সে যেন রোযার কাযা করে। 

-জামে তিরমিযী, হাদীস ৭২০) -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ৬/১৮০; আল বাহরুর রায়েক ২/২৪৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৪৬

শেয়ার লিংক

আবদুল কুদ্দুস - ঢাকা

৩৭১৪. প্রশ্ন

আমি একজন চাকুরিজীবী। পাশাপাশি আমার একটি ব্যবসাও আছে। বিগত জুন মাস থেকে আমার যাকাত-বর্ষ শুরু হয়েছে। তখন ব্যবসার পণ্য-মূল্য ও নগদ টাকা মিলিয়ে আমার কাছে সর্বমোট চার লক্ষ টাকা ছিল। ধীরে ধীরে আামর ব্যবসায় উন্নতি হয়েছে। বেতনের টাকা থেকেও কিছু কিছু জমা হয়েছে। এখন যাকাত-বর্ষ পূর্ণ হওয়ার সময় ক্যাশ টাকা ও পণ্য মূল্য মিলিয়ে প্রায় আট লক্ষ টাকার সম্পদ আমার মালিকানায় আছে। জানার বিষয় হল, বছরের মাঝখানে আমার যে আয় হয়েছে সেগুলোর হিসাব কীভাবে করব?

 


উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনাকে পূর্ণ আট লক্ষ টাকারই যাকাত দিতে হবে। কেননা যাকাত বর্ষের মাঝেও যা আয় হয় সব মিলে বছরের শেষ দিনে যা থাকে সবটার উপর যাকাত ফরয হয়।

Ñমুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৭০৪১; মাবসূত, সারাখসী ২/১৬৫; কিতাবুল আসল ২/৮৯; কিতাবুল হুজ্জাহ ১/৩০৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/৯৬; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ২/৩১৯-৩২৩; হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ২/১৪৭-১৪৮; ইলাউস সুনান ৯/৪৮-৫০

শেয়ার লিংক

মাকসুদুর রহমান - ঢাকা

৩৭১৫. প্রশ্ন

 আমার কয়েকটি গাড়ি আছে। যেগুলো একটি ‘‘রেন্ট এ কার’’-এর মাধ্যমে ভাড়ায় চালিত হয়। প্রতি মাসে এগুলোর ভাড়া বাবৎ আমার যে আয় হয় পরিবারের ব্যয় নির্বাহের পরও তার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমা থাকে। এভাবে অনেক টাকা জমা হলে তা দিয়ে আমি আরেকটি গাড়ি ক্রয় করি। এছাড়া কোনো গাড়ি পুরোনো হয়ে গেলে তা বিক্রি করে দেই। জানার বিষয় হল, আমার এই গাড়িগুলোর মূল্য ধরে যাকাত দিতে হবে কি না? আর নতুন গাড়ি ক্রয়ের জন্য যে টাকা জমা করি সেগুলোর ক্ষেত্রে কী বিধান?

 


উত্তর

রেন্ট এ কার বা ভাড়ায় চালিত গাড়ি যাকাতযোগ্য সম্পদের অন্তর্ভুক্ত নয়।  তাই আপনার ঐ গাড়িগুলোর মূল্যের উপর যাকাত দিতে হবে না। তবে সেগুলো থেকে ভাড়া বাবৎ অর্জিত আয়ের যে অংশ প্রয়োজনীয় খরচ নির্বাহের পর অতিরিক্ত থাকবে তা যাকাতযোগ্য সম্পদের মধ্যে গণ্য হবে। সুতরাং যাকাত-বর্ষ পূর্ণ হওয়ার সময় আপনার মালিকানায় প্রয়োজন অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ বা তার বেশি যত টাকা থাকবে সবগুলোর যাকাত দিতে হবে। এমনকি গাড়ি ক্রয়ের নিয়তে জমাকৃত টাকারও বছরান্তে যাকাত দিতে হবে।

অবশ্য যাকাত-বর্ষ পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই যদি গাড়ি কিনে ফেলেন তাহলে সে টাকার যাকাত দিতে হবে না। 

Ñকিতাবুল আসল ২/৯৭; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৭০৬১; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/১৬৭; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৫১; বাদায়েউস সানায়ে ২/৯১; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৭৩

শেয়ার লিংক

মাহদি হাসান - নওগাঁ

৩৭১৬. প্রশ্ন

আমি একজন ইয়াতিম ছেলের লেখা-পড়ার খরচ বহন করি। সে এখন এক হেফয খানায় পড়ে। অনেক সময় আমার সাথী সঙ্গীরা তার জন্য আমাকে যাকাতের টাকা দিয়ে থাকে। এখন জানার বিষয় হলো, আমি তো তার খরচ বহনের দায়িত্ব নিয়েছি, এ অবস্থায় তার খরচের জন্য অন্য কারো থেকে যাকাত নেওয়া জায়েয হবে কি না? দয়া করে জানাবেন।

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ছেলেটি যেহেতু যাকাত গ্রহণের যোগ্য আর তার দেখাশোনার দায়িত্ব আপনি নিয়েছেন। তাই তার জন্য নিজের যাকাত থেকে খরচ করা কিংবা অন্য থেকে যাকাত নিয়ে তার জন্য খরচ করা উভয়টিই জায়েয। আর তার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন বলে যাকাত থেকে খরচ করা যাবে নাÑ এ ধারণা ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে অন্য কেউ যাকাত দিলে ছেলেটির পক্ষ থেকে আপনি তা গ্রহণ করলেই যাকাত আদায় হয়ে যাবে। তাই এ ক্ষেত্রে আপনার দায়িত্ব হলো ঐ টাকা ছেলেটির জন্যই ব্যয় করা। আর ছেলেটিকে নিজের যাকাত দিতে চাইলে তাকে যাকাতের মালিক বানিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ যাকাতের টাকা বা তা দ্বারা ক্রয়কৃত আসবাব পত্র তার মালিকানায় দিয়ে দিতে হবে। নিজ ঘরে খানা খাওয়ালে তা দ্বারা যাকাত আদায় হবে না। অবশ্য যাকাত থেকে তার খানার টাকা বা মাদ্রাসার অন্যান্য ফি আদায় করতে পারবেন।

-আলবাহরুর রায়েক ২/২০১; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়্যা ১/১৭৭-১৭৯; রদ্দুল মুহতার ২/২৫৭

শেয়ার লিংক

মোহাম্মদ ইয়াকুব - ওয়েব থেকে প্রাপ্ত

৩৭১৭. প্রশ্ন

কী কী জিনিসের উপর যাকাত আসে? সবিস্তারে জানানোর অনুরোধ রইলো।

 


উত্তর

তিন ধরনের সম্পদ যাকাতযোগ্য সম্পদ। ১. দেশী বিদেশী মুদ্রা ও টাকা-পয়সা। তা নিজের কাছে জমা থাক কিংবা ব্যাংকের কোন একাউন্টে বা বন্ডসঞ্চয় পত্র ইত্যাদিতে থাকুক অথবা ব্যাংক গ্যারান্টি হিসাবে জমা থাক সবই যাকাতযোগ্য সম্পদ। এ ছাড়া ব্যবসার মূলধনপণ্যের বকেয়া মূল্য এবং কাউকে দেওয়া ঋণও এই প্রকারের অন্তর্ভুক্ত।

২. সোনা-রূপা। অলঙ্কার হোক বা অন্যান্য সামগ্রীব্যবহৃত হোক বা অব্যবহৃত সর্বাবস্থায় তা যাকাতযোগ্য সম্পদ।  (সোনা-রূপা ছাড়া অন্য কোন ধাতুর অলঙ্কার বা মূল্যবান পাথর ইত্যাদি ব্যবসার পণ্য না হলে তা যাকাতযোগ্য সম্পদ নয়।)

৩. ব্যবসার সম্পদ।  ব্যবসার মালামাল ও পণ্য। ব্যবহারের নিয়ত ছাড়া কেবল বিক্রির নিয়তে কোন কিছু ক্রয় করলে তা ব্যবসার পণ্য হিসেবে গণ্য হবেচাই তা স্থাবর সম্পত্তি হোক বা অস্থাবর কোন পণ্য এবং তা যাকাতযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। যেমনকেউ একটি জমি বিক্রির উদ্দেশ্যে ক্রয় করলো। তা ব্যবসা পণ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে। এমনিভাবে দোকান বা কারখানার বিক্রির মালামাল এবং মজুদকৃত কাঁচামাল সবই যাকাতযোগ্য সম্পদ। অবশ্য ব্যবসার উপকরণ সামগ্রী যাকাতযোগ্য সম্পদ নয়। যেমনঅফিস,কারখানামেশিনারিজঅফিস ও কারখানার কাজে ব্যবহৃত গাড়ী ও আসবাব পত্র। এছাড়া ভাড়ার জন্য বাড়ীগাড়ী ও এ প্রকারের অন্তর্ভুক্ত।

Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৯৯৭৪, ১০৫৫৭, ১০৫৬০; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৭০৫৪-৭০৬১; কিতাবুল আসল ২/৯২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৮০; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৬৭, ২৬২, ৩০০

শেয়ার লিংক

রমযান আলী - লাঙ্গলকোট

৩৭১৮. প্রশ্ন

যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তি কে? আত্মীয়কে কি যাকাত দেওয়া যায়? দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন।

 


উত্তর

যে ব্যাক্তির নিকট প্রয়োজনীয় সামান্য অর্থ সম্পদ আছে অথবা কিছুই নেই তাকে যাকাত দেওয়া যাবে। তদ্রƒপভাবে যার কাছে ৫২.৫ তোলা রূপার মূল্য সমপরিমাণ প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদ নেই তাকেও যাকাত দেওয়া যাবে। অনুরূপভাবে যার কাছে এ পরিমান সম্পদ আছে কিন্তু সে এমন  ঋণগ্রস্থ যেঋণ পরিশোধ করে দিলে তার কাছে এ পরিমাণ সম্পদ থাকে না তাকেও যাকাত দেওয়া যাবে। তবে শিল্পঋণের হুকুম এ থেকে ভিন্ন। অর্থাৎ কারো যদি ব্যক্তি মালিকানায় নেসাব পরিমাণ যাকাতযোগ্য সম্পদ থাকে এবং শিল্পঋণও থাকে তাহলে সে ব্যক্তিগত যাকাতযোগ্য সম্পদের যাকাত আদায় করবে। ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে শিল্পঋণ বাদ দিবে না।

আর ভাই বোন ভাতিজাভাগনেচাচামামাফুফুখালাশ্বশুড়-শাশুড়ী প্রমুখ আত্মীয় স্বজন গরীব অসহায় হলে তাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে। তবে নিজের পিতা-মাতা,দাদা-দাদীনানা-নানীপ্রমুখ ঊর্ধ্বতন আত্মীয় স্বজন এবং ছেলেমেয়েনাতিনাতনি প্রমুখ অধস্তন আত্মীয়-স্বজন গরীব হলেও তাদেরকে যাকাত দেওয়া জাযেয হবে না। তদ্রƒপ স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে যাকাত দিতে পারবে না।

প্রকাশ থাকে যেযাকাত গ্রহণ করতে পারে এমন আত্মীয়স্বজনকে যাকাত দিলে যাকাত দেওয়ার সওয়াবের পাশাপাশি আত্মিয়তার সম্পর্কের হক আদায়ের সাওয়াবও হবে।

Ñআলমাবসূত, সারাখসী ৩/৮, ১১; আলবাহরুর রায়েক ২/২৪০-২৪৩; রদ্দুল মুহতার ২/৩৩৯,৩৪৩, ৩৪৬

শেয়ার লিংক

তাবাসসুম আক্তার - ঢাকা

৩৭১৯. প্রশ্ন

আমার বয়স ১৮ বছর। আমি আম্মা ও বড় বোন এবার আমাদের বড় দুলাভাইয়ের সঙ্গে হজ্ব আদায় করেছি। হজ্ব থেকে ফেরার পর জানতে পারলাম যে, দুলাভাইয়ের সঙ্গে হজ্বে যাওয়া আমার জন্য বৈধ হয়নি। তাহলে কি আমার হজ্ব সহীহ হয়নি?

উত্তর

মাহরাম ব্যতীত হজ্বের সফরে যাওয়া জায়েয নয়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো মহিলা যেন মাহরাম ছাড়া হজ্বে না যায়। সুনানে দারাকুতনী, হাদীস : ২৪৪০

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো পুরুষ যেন কোনো মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে এবং কোনো মহিলা যেন মাহরাম ব্যতীত সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি অমুক যুদ্ধে নাম লিখিয়েছি আর আমার স্ত্রী হজ্বের জন্য বের হচ্ছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যাও। তুমিও তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্ব কর। সহীহ বুখারী, হাদীস ৩০০৬

সুতরাং মাহরাম ছাড়া হজ্বের সফরে যাওয়া আপনার জন্য নাজায়েয হয়েছে। এজন্য তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। তবে এভাবে যাওয়া নাজায়েয হলেও আপনার হজ্ব আদায় হয়ে গেছে।

Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৩৮; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৯৯; আললুবাব ১/১৬৫; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৬৫

শেয়ার লিংক

নেয়ামতুল্লাহ - কুমিল্লা

৩৭২০. প্রশ্ন

আমার আব্বার বদলি হজ্ব করার জন্য আমরা যাকে নির্ধারণ করেছি তিনি পূর্বে কখনো হজ্ব করেননি। এক লোক বলল, এমন ব্যক্তিকে দিয়ে বদলি হজ্ব করালে তা সহীহ হয় না। ঐ লোক কি ঠিক বলেছে?

 


উত্তর

যে ব্যক্তি নিজের হজ্ব আদায় করেনি তাকে দিয়ে বদলি হজ্ব করানো মাকরূহ। তবে এমন ব্যক্তিকে দিয়ে বদলি হজ্ব করালেও তা আদায় হয়ে যাবে। তাই প্রশ্নের ঐ কথা ঠিক নয়।

উল্লেখ্য যেবদলি হজ্ব এমন ব্যক্তিকে দিয়ে করানো উত্তম যে ইতিপূর্বে নিজের ফরয হজ্ব আদায় করেছে এবং হজ্বের মাসাইল সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে।

Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ১৫১৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৩৩৪; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ১৩৫৪৪; মাবসূত, সারাখসী ৪/১৫১; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৬; ফাতহুল কাদীর ৩/৭৯; আলবাহরুর রায়েক ৩/৬৯; রদ্দুল মুহতার ২/৬০৩

শেয়ার লিংক

এম. ডি. ইবরাহীম - ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত

৩৭২১. প্রশ্ন

এক মেয়ে ও এক ছেলের মাঝে সম্পর্ক ছিল। মা জানতে পেরে মেয়েকে বিবাহ দিয়েছে। জানার বিষয় হল,বাবা জীবিত থাকা সত্ত্বেও বাবার অনুমতি ছাড়া এই বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে কি না?


উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মেয়েটি বিবাহের সময় সাবালিকা হয়ে থাকলে তার ঐ বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে। কেননা সাবালিকা মেয়ের বিবাহ বাবার অনুমতি ছাড়াও হয়ে যায়। তবে বাবার সম্মতি ছাড়া বিয়ে দেওয়া অন্যায় হয়েছে। আর মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্কা না হলে বাবার সম্মতি ছাড়া বিবাহ সম্পন্ন হয় না।

প্রকাশ থাকে যেবেগানা নারী-পুরুষের পরস্পর সম্পর্ক সম্পূর্ণ অবৈধ ও গুনাহ। তাদের দেখা-সাক্ষাত ইত্যাদি সবই অবৈধ। বিবাহের উদ্দেশ্যেও কারো সাথে এমন সম্পর্ক গড়া বৈধ নয়। এটা দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য ক্ষতির কারণ আরো প্রকাশ থাকে যেসাবালিকা মেয়ের বিবাহ পিতার অনুমতি ছাড়া যদিও সহীহ হয়ে যায় তবে তা সঠিক পদ্ধতি নয়। এক্ষেত্রে শরীয়তের নির্দেশনা হলঅভিভাবকের অনুমতিক্রমেই বিবাহ করা এবং এব্যাপারে অভিভাবকের পরামর্শকে নিজের কল্যাণ মনে করে মেনে নেওয়া। আর অভিভাবকদেরও দায়িত্ব হলমেয়ের স্বতঃস্ফূর্ত অনুমতি ছাড়া এককভাবে নিজ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিবাহ না দিয়ে দেওয়া বরং এ ব্যাপারে মেয়ের মতামতের মূল্যায়ন করা।

Ñআলবাহরুর রায়েক ৩/১০৯; হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ৩/১৫৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৪/৫৬

শেয়ার লিংক

ইবরাহীম খলিল - আশুগঞ্জ, বি. বাড়িয়া

৩৭২২. প্রশ্ন

সালামবাদ জনাব, আমাদের গ্রামের এক মেয়ে তার পিতার সৎ চাচা অর্থাৎ সৎ দাদার সাথে বিবাহের কথাবার্তা চলছে। তাদের বয়সের পার্থক্যও খুব বেশি নয়। এখন আমার জানার বিষয় হলো, তাদের বিবাহ সহীহ হবে কি না?

 


উত্তর

নাতাদের পরস্পরের বিবাহ সহীহ নয়। কেননা সৎ দাদা অর্থাৎ বৈমাত্রেয় দাদা হোক বা বৈপিত্রেয় দাদা উভয়ই মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। আর মাহরামের সাথে বিবাহ সম্পূর্ণ হারাম। কুরআন মাজীদের সূরা নিসার ২৩ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন : (তরজমা) তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাতোমাদের কন্যাতোমাদের বোনতোমাদের ফুফুতোমাদের খালাভ্রাতৃকন্যাভগ্নি কন্যা...।

উক্ত মাহরামের আলোচনায় যে ভ্রাতৃকন্যা এসেছে তাতে ভাইয়ের ছেলের মেয়েমেয়ের মেয়েসহ তাদের অধস্তন সকলে অন্তর্ভুক্ত। এতে আপন ভাইয়ের মেয়ে এবং বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে এবং বৈমাত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে এবং এদের অধস্তন সকল কন্যার হুকুম সমান।

Ñআহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/১২৩; তাফসীরে মাযহারী ২/২৬৫; মাবসূত, সারাখসী ৪/১৯৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩৬০; ফাতহুল কাদীর ৩/১১৮

শেয়ার লিংক

শহীদুল ইসলাম - চাঁদপুর

৩৭২৩. প্রশ্ন

আমাদের দেশের বিবাহ-শাদীতে সাধারণত যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তা হল, প্রথমে কনে পক্ষের কোনো একজন মুরব্বী কনের কাছ থেকে ইয্ন (বিয়ের সম্মতি) নিয়ে আসে। এরপর (ভর মজলিসে) বরের কাছে তা পেশ করা হয় এবং বর কবুল করলে বিবাহ সম্পন্ন হয়। জানার বিষয় হল, কনের কাছ থেকে ইয্ন নেওয়ার সময় সাক্ষীদের উপস্থিতি জরুরী কি না?

 


উত্তর

পাত্রী থেকে বিবাহের সম্মতি নেওয়াকে ইযন (বিয়ের সম্মতি) বলে। এই ইযন তথা সম্মতি গ্রহণের জন্য সাক্ষী থাকা জরুরী নয়। তবে বিবাহের ইজাব-কবুলের সময় সাক্ষী থাকা জরুরি। সাক্ষী ছাড়া বিবাহ সহীহ হবে না। 

Ñবাদায়েউস সানায়ে ২/৫২৯; আলবাহরুর রায়েক ৩/৮৯; রদ্দুল মুহতার ৩/২১

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ মাকসুদুর রহমান - চাঁদপুর

৩৭২৪. প্রশ্ন

আমার এক সহপাঠী কিছুদিন আগে একটি বিষয়ে কসম করে পরে তা ভঙ্গ করেছে। কিন্তু বর্তমানে টাকা দিয়ে বা খানা খাইয়ে কসমের কাফ্ফারা আদায় করার মত সামর্থ্য তার নেই। এখন কি সে রোযার মাধ্যমে কাফ্ফারা দিতে পারবে নাকি টাকা হাতে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?

 


উত্তর

আপনার ঐ সহপাঠী বর্তমানে টাকা দিয়ে বা খানা খাইয়ে কাফ্ফারা আদায়ের সামর্থ্য না রাখলে সে রোযার মাধ্যমে কাফ্ফারা আদায় করতে পারবে। কেননা যখন কাফ্ফারা আদায় করছে তখন অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে কাফ্ফারা আদায়ের সামর্থ্য না থাকলেই রোযার মাধ্যমে কাফ্ফারা আদায় করা জায়েয। কাফ্ফারা আদায়ের জন্য টাকা হাতে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা জরুরি নয়। তবে রোযা রেখে কাফ্ফারা আদায় করা অবস্থায় সামর্থ্যবান হয়ে গেলে রোযার কাফ্ফারা যথেষ্ট হবে না। সেক্ষেত্রে টাকা দিয়ে বা খানা খাইয়েই নতুন করে কাফ্ফারা আদায় করা জরুরি হবে।

Ñফাতহুল কাদীর ৪/৩৬৭; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৯০; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৭২৭; ফাতাওয়া খানিয়া ২/১৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৬২

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ লুকমান - বারহাট্টা, নেত্রকোনা

৩৭২৫. প্রশ্ন

আমি একবার কুরআনের কসম খেয়ে বলি, আমি ... একাজটা অবশ্যই করবো। কিন্তু পরে আমি আর ঐ কাজটা করতে পারিনি। এখন জানার বিষয় হলো, আমার ঐ কথার কারণে কি কসম হয়েছিল? এখন আমার করণীয় কি?


 


উত্তর

হাঁপ্রশ্নোক্ত কথার কারণে আপনার কসম সংঘটিত হয়েছে। পরবর্তীতে ঐ কাজটি না করার কারণে আপনার কসমটি ভঙ্গ হয়েছে। এখন আপনার কর্তব্য হলোকসম ভঙ্গের কাফ্ফারা আদায় করা। কসমের কাফ্ফারা হলোদশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে দুইবেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়ানো বা এর মূল্য দিয়ে দেওয়া। অথবা দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে এক জোড়া করে পোশাক দেওয়া। তবে কেউ যদি এর কোনেটির সামর্থ্য না রাখে তাহলে সে লাগাতার তিনটি রোযা রাখবে। Ñসুরা মায়েদা : ৮৯ফাতহুল কাদীর ৪/৩৫৬;ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ২/৫৩২/৬১আলবাহরুর রায়েক ৪/২৮৬রদ্দুল মুহতার ৩/৭২৬

প্রকাশ থাকে যেআল্লাহ তাআলার নাম ব্যতীত কোনো কিছুর কসম করা নিষেধ। তাই কেউ কসম করতে চাইলে আল্লাহর নামেই কসম করা আবশ্যক।

শেয়ার লিংক

জুনাইদ হুসাইন - ফরিদপুর

৩৭২৬. প্রশ্ন

আমি দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরী তালাশ করছিলাম। কিন্তু কোথাও মনমত চাকুরী খুঁজে পাচ্ছিলাম না। একবার একটা ভাল চাকুরির ইন্টারভিউয়ে উত্তীর্ণ হই। কিন্তু চাকুরী হবে কি না তা নিয়ে অনেকটা অনিশ্চয়তায় ভুগছিলাম। তখন আমি এই বলে মান্নত করি যে, যদি আমার এই চাকুরিটা হয়ে যায় তাহলে আমি প্রতি জুমার দিন রোযা রাখবো। ঘটনাক্রমে আমার ঐ চাকুরিটা হয়ে যায়। তাই আমি প্রত্যেক জুমার দিন রোযা রেখে যাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে আমার সাংসারিক ঝামেলা অনেক বেড়ে গেছে। তাই মাঝেমধ্যে জুমআর দিনে রোযা রাখা আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। হুযুরের নিকট আমার জানার বিষয় হলো, রোযা না রাখতে পারলে আমার করণীয় কী? যে দিনগুরোর রোযা ছুটেছে সেগুলোর জন্য কী করতে হবে? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হবো।  

 


উত্তর

প্রশ্নোক্ত মান্নতের কারণে আপনার উপর প্রতি জুমাবার রোযা রাখা ওয়াজিব। কোনো কারণে জুমাবারে রোযা রাখা সম্ভব না হলে পরবর্তীতে অন্য কোনোদিন তা কাযা করে নিতে হবে। আর বিগত যে কয়দিনের রোযা ছুটেছে সেগুলোও কাযা করতে হবে। অবশ্য ভবিষ্যতে বার্ধক্য বা জটিল কোনো অসুস্থতার কারণে রোযা রাখা সম্ভব না হলে এবং পরবর্তীতে কাযা করার সামর্থ্যও ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে তখন প্রত্যেক রোযার জন্য একটি করে ফিদয়া দিতে হবে। ফিদয়া হলোএকজন দরিদ্রকে তৃপ্তি সহকারে দুইবেলা খাওয়ানো বা এর মূল্য দিয়ে দেওয়া।

Ñআলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৭৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৯; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৭৩৫

শেয়ার লিংক

ইবরাহীম খলিল - আশুগঞ্জ, বি. বাড়িয়া

৩৭২৭. প্রশ্ন

আমার চাচাত ভাই নাবালেগ বয়সে টেলিভিশন না দেখার কসম করেছিল। আবার নাবালেগ অবস্থায়ই টেলিভিশন দেখে ফেলে। এখন তার উপর কসমের কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে কি না। জানিয়ে বাধিত করবেন।

 


উত্তর

আপনার চাচাত ভাই যেহেতু নাবালেগ অবস্থায় কসম করেছে তাই তার উপর ঐ কসম ভঙ্গের কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। কিন্তু নাবালেগদের জন্যও নিজেদের অঙ্গিকার পুরা করা কাম্য। বিশেষ কসম করুক বা না করুক গুনাহের কাজ থেকে তো বেঁচে থাকা এমনিতেই জরুরী। 

Ñমুসনাদে আহমদ, হাদীস ৯৪০; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৪০৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৫১

শেয়ার লিংক

মুনীরুল ইসলাম - মুন্সিগঞ্জ

৩৭২৮. প্রশ্ন

আমাদের মহল্লায় একটি নতুন মসজিদ নির্মিত হয়েছে। আমি তাতে কিছু পাখা ওয়াকফ করতে চাচ্ছি। কেউ কেউ বলছে, পাখা যেহেতু স্থানান্তরযোগ্য জিনিস তাই তা ওয়াকফ হবে না; বরং সাধারণ দান বলেই বিবেচ্য হবে। দয়া করে শরীয়তের আলোকে বিষয়টির সমাধান জানাবেন।

 


উত্তর

আপনি যািদ মসজিদে পাখা দান করেন তাহলে সেগুলো ওয়াকফের মতোই স্থায়ীভাবে মসজিদের মালিকানায় চলে যাবে। এবং আপনিও স্থায়ীভাবে এগুলোর সওয়াব পেতে থাকবেন। সুতরাং এগুলো ওয়াকফ না সাধারণ দান এই প্রশ্ন করা অর্থহীন।

Ñআলমাবসূত সারাখসী ১২/৪৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৫০২; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/২৬৪; হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ৫/৪৩১

শেয়ার লিংক