তাওসীফ মাহমুদ - সাভার, ঢাকা

৬৮১১. প্রশ্ন

আমি বাসায় কবুতর পালি মাঝে মাঝে নামায আদায়ের পর জামায় কবুতরের বিষ্ঠা দেখতে পাই

জানার বিষয় হল, জামায় কবুতরের বিষ্ঠা থাকলে কি নামায সহীহ হবে?

উত্তর

জামায় কবুতরের বিষ্ঠা থাকলেও তা নিয়ে নামায সহীহ হয়ে যাবে কেননা কবুতর অন্যান্য হালাল পাখির বিষ্ঠা নাপাক নয় এসব পাখির বিষ্ঠা কাপড়ে লাগলে তা নাপাক হয় না তবে এসব বিষ্ঠা নাপাক না হলেও যেহেতু তা ময়লা আবর্জনা, আর নামায পরিপূর্ণ পরিষ্কার কাপড়ে আদায় করা কাম্য, তাই যথাসম্ভব তা দূর করেই নামায পড়া উচিত

* >المبسوط< للسرخسي /৫৬ : قال: ولا يفسد خرء الحمام والعصفور الماء؛ فإنه طاهر عندنا.

কিতাবুল আছল /৪৭; আহকামুল কুরআন, জাস্সাস /৩২; খিযানাতুল আকমাল /৩০; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া /৪২; আলমুহীতুর রাযাবী /১৩৭; মাজমাউল আনহুর /৫৩

শেয়ার লিংক

উম্মে মুরতাযা - চান্দিনা, কুমিল্লা

৬৮১২. প্রশ্ন

কিছুদিন আগে আমার স্বামী বাজার থেকে বেশ কিছু মাছ আনেন আসরের নামায না পড়েই মাছ কাটতে বসি মাছ কাটা শেষে আসরের ওয়াক্ত শেষ দিকে ছিল তাই দ্রুত ওযু করে আসরের নামায আদায় করি নামায শেষ করার পর পায়ের পাতায় চোখ যায়, দেখি সেখানে মাছের একটি আঁশ লেগে আছে তখন তো মাত্রই ওযু করে নামায পড়েছি পা তখনো কিছু ভেজাই ছিল কিন্তু মাছের আঁশটি তখনো সেখানে যেভাবে শক্ত হয়ে লেগে ছিল, এতে এটাই স্বাভাবিক মনে হয় যে, ওযুর আগে এটা এখানে লেগে ছিল

জানার বিষয় হল, মাছের এই আঁশটি লেগে থাকার কারণে কি আমার ওযু সহীহ হয়েছে এবং আমার নামায কি আদায় হয়েছে, নাকি তা পুনরায় পড়া জরুরি?

উত্তর

সাধারণত মাছের আঁশের নিচে পানি পৌঁছে যায় তাই আপনার ওযু নামায আদায় হয়ে যাওয়ার কথা তবে যদি আপনার ওই ওযুতে আঁশের নিচে চামড়ায় পানি পৌঁছেনি বলে প্রবল ধারণা হয়, তাহলে আপনার ওই ওযু সহীহ হয়নি এবং সেক্ষেত্রে আপনার ওই আসরের নামাযও আদায় হয়নি তাই এক্ষেত্রে আপনাকে আঁশ সরিয়ে নিয়ে জায়গাটি ধুয়ে ফেলতে হবে এবং ওই নামায পুনরায় আদায় করে নিতে হবে

* >المحيط البرهاني< /১৬৮ : ولو كان جلد سمك أو خبز ممضوغ قد جف، وتوضأ، ولم يصل الماء إلى ما تحته، لم يجز؛ لأن التحرز عنه ممكن.

খিযানাতুল আকমাল /১৯৪; আযযাখীরাতুল বুরহানিয়া /৩৩৫; আলমুজতাবা, যাহেদী /১৭; আলজাওহারাতুন নাইয়িরা /১২; আদ্দুররুল মুখতার /১৫৪

শেয়ার লিংক

মানযূর - কচুয়া, চাঁদপুর

৬৮১৩. প্রশ্ন

আমি ডেকোরেশনের দোকানে কাজ করি গত ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে প্যান্ডেল করার কাজ আমাদের ওপর আসে ঈদের আগের দিন কাজে যাওয়ার সময় আমার ওপর গোসল ফরয ছিল নিয়ত ছিল কাজ শেষ করে গোসল করে নেব পরে প্রশ্ন জাগে, মসজিদে তো অবস্থায় প্রবেশ করা যায় না ঈদগাহে কি কাজের জন্য অবস্থায় প্রবেশ করা যাবে?

হুজুরের কাছে মাসআলাটি জানতে চাই

 

উত্তর

গোসল ফরয অবস্থায় ঈদগাহে প্রবেশ করা জায়েয আছে তাতে অসুবিধা নেই এক্ষেত্রে ঈদগাহের হুকুম মসজিদের মতো নয়

* >الفتاوى السراجية< ص : ولا بأس لهما بزيارة القبور والدخول في مصلى العيد.

ফাতাওয়া তাতারখানিয়া /৪৮১; উমদাতুল কারী /৩০৫; আননাহরুল ফায়েক /১৩১; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর /১৪৯

শেয়ার লিংক

শুয়াইব রেজওয়ান - নাসিরনগর, বি. বাড়িয়া

৬৮১৪. প্রশ্ন

আমি এক মসজিদের মুআযযিন কিছুদিন আগে ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বেই ফজরের আযান দিয়ে দিই

জানার বিষয় হল, ওয়াক্তের আগে আযান দেওয়া কি শুদ্ধ হয়েছে? এক্ষেত্রে কি পুনরায় আযান দেওয়া জরুরি ছিল?

উত্তর

ওয়াক্তের আগে আযান দিলে সহীহ হয় না তাই ওই আযান শুদ্ধ হয়নি সেক্ষেত্রে ওয়াক্ত হওয়ার পর পুনরায় আযান দেওয়া জরুরি ছিল

উল্লেখ্য, ওয়াক্তের আগে আযান দিলে তখনই কেউ ফরয নামায পড়ে নিতে পারে রমযানে মাগরিবের আযান সময়ের আগে দিলে মানুষের রোযা না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এজন্য মুআযযিন সাহেবের খুব সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি আর ভুলে সময়ের পূর্বে আযান দিয়ে দিলে তৎক্ষণাৎ ঘোষণা দেওয়া এবং ওয়াক্ত হওয়ার পর পুনরায় আযান দেওয়া কর্তব্য

* كتاب >الأصل< للشيباني /১১০: قلت: أرأيت رجلا أذن قبل وقت الصلاة؟ قال: لا يجزيه. قلت: فإن فعل ذلك؟ قال: فعليه أن يعيد أذانه إذا دخل الوقت. قلت: فإن لم يفعل وصلى بهم؟ قال: صلاتهم تامة.

সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫৩৫; মুখতাসারু ইখতিলাফিল উলামা, জাস্সাস /১৮৭; আলমাবসূত, সারাখসী /১৩৪; ৫৬; তুহফাতুল ফুকাহা /১১৬; মাজমাউল আনহুর /১১৩; রদ্দুুল মুহতার /৩৮৫

শেয়ার লিংক

যায়েদ - কচুয়া, চাঁদপুর

৬৮১৫. প্রশ্ন

গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে গ্রামের মসজিদে ফজরের নামায পড়াচ্ছিলাম হঠাৎ কেরাতে আটকে যাই তখন পেছন থেকে একটি ছেলে লোকমা দেয় তার লোকমা আমি গ্রহণ করি নামায শেষে ছেলেটিকে দেখে চিনতে পারি ছেলেটি হেফজখানায় পড়ে; নাবালেগ

মুহতারামের কাছে জানার বিষয় হল, নাবালেগ ছেলের লোকমা গ্রহণ করার কারণে আমাদের নামাযে কি কোনো সমস্যা হয়েছে?

উত্তর

না, প্রশ্নোক্ত কারণে আপনাদের নামাযে কোনো সমস্যা হয়নি তা আদায় হয়ে গেছে নামাযে নাবালেগের লোকমা গ্রহণ করতে কোনো অসুবিধা নেই

* >الغاية شرح الهداية< /৮৭ : وفتح المراهق كالبالغ، وعن عبد الله: وفتح الصغار.

ফাতাওয়া তাতারখানিয়া /২২৬; আলবাহরুর রায়েক /; হাশিয়াতুশ শিলবী আলাততাবয়ীন /৩৯৩; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃ. ১৮৩

শেয়ার লিংক

ইসমাঈল - ডিগম্বরিতলা, কুমিল্লা

৬৮১৬. প্রশ্ন

আমি কয়েক বছর মাদরাসায় পড়েছি এখন ঢাকায় থেকে ব্যবসা করি বাড়িতে গেলে মাঝেমধ্যে আমাকে নামায পড়াতে হয় নামাযে কখনো এমন হয় যে, রুকুতে থাকা অবস্থায় কেউ নামাযে আসছেন বুঝতে পেরে রুকুর তাসবীহ দুইবার বেশি পড়ে রুকু লম্বা করি যাতে যিনি আসছেন তিনি রাকাতটি পেয়ে যান

এমনটি করা কি আমার জন্য ঠিক হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন

উত্তর

মুসল্লীদের প্রতি খেয়াল করে ইমামের জন্য রুকুর তাসবীহ দুয়েকবার বেশি পড়ে কিংবা তাসবীহ ধীরে ধীরে পড়ে রুকু কিছুটা দীর্ঘায়িত করা জায়েয আছে তা দূষণীয় নয় তবে কোনো ব্যক্তিবিশেষের মর্যাদা বা কাউকে বিশেষ সম্মান দিতে গিয়ে এভাবে রুকু লম্বা করা জায়েয নয় এছাড়া অন্য কোনো ওজর না থাকলে ইমাম রুকুর তাসবীহ সব সময়ই অন্তত পাঁচ বার পড়তে পারেন যেন মুসল্লীগণের ন্যূনতম তাসবীহ শেষ করা এবং দেরিতে যোগ দেওয়া মুসল্লীদের জন্য রাকাত পাওয়া সহজ হয়

* >المحيط الرضوي< /২৫৬ : (وفي النوادر) عن أبي حنيفة رحمه الله: الإمام إذا سمع خفق النعال في الركوع، فطوله ليدرك الجائي الصلاة، أكره له ذلك. ... وفي الفتاوى: إن كان الإمام عرف الجائي يكره؛ لأنه يشبه الميل إليه، وإن لم يعرف لا بأس به مقدار ما لا يثقل على من خلفه؛ لأن فيه إعانة على الطاعة.

আলফাতাওয়া মিন আকাবীলিল মাশায়েখ, পৃ. ৬২; খিযানাতুল আকমাল /১৯৭; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া /১০৮; আলমুহীতুল বুরহানী /১১৫; আলবাহরুর রায়েক /৩৫১; আদ্দুররুল মুখতার /৪৯৪

শেয়ার লিংক

আসাদুজ্জামান - মনিরামপুর, যশোর

৬৮১৭. প্রশ্ন

হুজুরের কাছে একটি মাসআলা জানতে চাই মায়্যিতের নখ, চুল এবং কর্তনযোগ্য পশম কি কেটে দেওয়া যাবে? অনেক মায়্যিতের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে থাকে সেক্ষেত্রে গোসল দেওয়ার সময় তা কেটে দিতে কোনো অসুবিধা আছে?

উত্তর

কোনো ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার নখ, চুল, অবাঞ্ছিত পশম কাটা যাবে না নখ, চুল বড় থাকলে পরিবারের লোকদের উচিত হল, জীবদ্দশায়ই তা কেটে দেওয়া

আইয়ূব রাহ. বর্ণনা করেন

عَنْ مُحَمَّدٍ، أَنَّهُ كَانَ يَكْرَهُ أَنْ يُؤْخَذَ مِنْ عَانَةٍ أَوْ ظُفْرٍ بَعْدَ الْمَوْتِ، وَكَانَ يَقُولُ: يَنْبَغِي لأَهْلِ الْمَرِيضِ أَنْ يَفْعَلُوا ذَلِكَ فِي ثِقَلِهِ.

মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন রাহ. মৃত ব্যক্তির নাভির নিচের পশম অথবা নখ কেটে দেওয়া অপছন্দ করতেন এবং তিনি বলতেন, অসুস্থ ব্যক্তির পরিবারের জন্য উচিত হল, অসুস্থ থাকা অবস্থায়ই (মৃত্যুর আগেই) এসব কিছু পরিষ্কার করে দেওয়া (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১১০৫৪)

ইবনে জুরাইজ রাহ. বর্ণনা করেন

قَالَ إِنْسَانٌ لِعَطَاءٍ: الْمَيِّتُ يَمُوتُ وَشَعْرُهُ طَوِيلٌ، أَيُؤْخَذُ مِنْهُ شَيْءٌ؟ قَالَ: لَا، إِذَا مَاتَ فَلَا.

এক লোক হযরত আতা রাহ.-কে প্রশ্ন করল, মায়্যিতের চুল বড় থাকলে তা কি কেটে দেওয়া যাবে?

তিনি বললেন, না, মারা যাওয়ার পর তা কাটা যাবে না (মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক, বর্ণনা ৬২২৯)

* >المبسوط< للسرخسي /৫৯ : والسنة دفنه على ما مات عليه؛ ولهذا لا تقص أظفاره ولا شاربه، ولا ينتف إبطه، ولا تحلق عانته.

কিতাবুল আসার, ইমাম মুহাম্মাদ, বর্ণনা ২২৬; আলমুহীতুর রাযাবী /৪৪৪; আলগায়া, সারুজী /৪৯৩; মিরাজুদ দিরায়া /৪৩৪; গুনইয়াতুল মুতামাল্লী, পৃ. ৫৭৯; আদ্দুররুল মুখতার /১৯৮

শেয়ার লিংক

জহীরুল হক ফরহাদ - মালিবাগ, ঢাকা

৬৮১৮. প্রশ্ন

আল্লাহর রহমতে কিছু দিন পর আমার উমরায় যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে তো আমি শরীরে নিয়মিত তেল ব্যবহার করে অভ্যস্ত বিশেষ করে শীতকালে তা ব্যবহার না করলে খারাপ লাগে

জানতে চাই, ইহরাম অবস্থায় কি গায়ে (সুগন্ধিমুক্ত) তেল ব্যবহার করতে পারব?

উত্তর

ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধিমুক্ত তেলও ব্যবহার করবেন না সময় সর্বপ্রকারের তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হয় বেশি কষ্ট হলে ঘ্রাণমুক্ত পেট্রোলিয়াম জেলি জাতীয় জিনিস লাগাতে পারবেন

* >شرح مختصر الطحاوي< للجصاص /৫৫৮ : (ولا يدهن بدهن مطيب ولا غيره)؛ لأن الدهن في نفسه طيب.

আলমাবসূত, সারাখসী /১২২; আলমুহীতুল বুরহানী /৪৩৭; মাজমাউল বাহরাইন, পৃ. ২২২; জামিউর রুমূয /৪২৫; মাজমাউল আনহুর /৪৩১

শেয়ার লিংক

বারীরাহ - বরিশাল

৬৮১৯. প্রশ্ন

হুজুর, আমি বছর আমার স্বামীর সঙ্গে হজ্বে যাই তাওয়াফে যিয়ারত সম্পন্ন করার পর আমার পিরিয়ড শুরু হয়ে যায় তথাপি আমি অবস্থায় সায়ী করে ফেলি পরে নিয়ে খুবই পেরেশানী অনুভব হয় আমার স্বামী ব্যাপারটি বুঝতে পেরে বলেন, এতে কোনো সমস্যা নেই সায়ী করার জন্য পবিত্রতা শর্ত নয়

হুজুরের কাছে জানতে চাই, আমার স্বামীর কথা কি ঠিক? এক্ষেত্রে আমার ওপর কি কোনো দম বা সদকা ওয়াজিব হয়েছে?

উত্তর

সায়ী পবিত্র অবস্থায় করা সুন্নত তবে হায়েয অবস্থায় সায়ী করলেও তা আদায় হয়ে যায় তাই আপনার উক্ত সায়ী আদায় হয়ে গেছে কারণে আপনার ওপর কোনো জরিমানা ওয়াজিব হয়নি তবে তাওয়াফের জন্য পবিত্র হওয়া শর্ত

আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন

إذَا طَافَتْ بِالْبَيْتِ، ثُمَّ حَاضَتْ قَبْلَ أَنْ تَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَلْتَسْعَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ.

বাইতুল্লাহর তাওয়াফ সম্পন্ন করার পর সায়ী করার পূর্বে যদি কারো হায়েয এসে যায়, তাহলে সে উক্ত অবস্থায় সায়ী করে নিতে পারবে (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১৪৫৮৩)

* >المحيط الرضوي< /১৯৮ : والحيض والجنابة لا تمنع صحة السعي؛ لقولهلعائشة رضي الله عنها: >اصنعي ما يصنع الحاج، غير أنك لا تطوفي بالبيت<. ولأن السعي ليس بصلاة حقيقة ولا حكما، فإنه لا تعلق له بالبيت، فلم تكن الطهارة شرطا لصحته، كالوقوف بعرفة.

সহীহ বুখারী, হাদীস ৩০৫; আলমাবসূত, সারাখসী /৫১; বাদায়েউস সানায়ে /৩১৯; আলমাসালিক ফিল মানাসিক /৪৭০; গুনইয়াতুন নাসিক, পৃ. ১৩৫

শেয়ার লিংক

রাশেদ - মালিবাগ, ঢাকা

৬৮২০. প্রশ্ন

আমি আমার খালাতো বোন একই কলেজে পড়াশোনা করি মাস তিনেক আগে এক লক্ষ আশি হাজার টাকা মহর ধার্য করে আমি তাকে বিবাহ করি তবে বিবাহ সম্পর্কে আমরা কেউই নিজ অভিভাবকদের অবগত করিনি ইচ্ছা ছিল, যখন পারিবারিকভাবে বিবাহের কথা উঠবে তখন জানাব কিন্তু এর আগেই আমাদের উভয়ের পরিবার কীভাবে যেন তা জেনে যান ফলে তারা বিবাহ কোনোভাবেই মেনে নেননি তাই আমি তাকে এক তালাক দিয়ে দিই সে আমার বিবাহে থাকা অবস্থায় তার সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক না হলেও কলেজ বন্ধের দিনগুলোতে আমরা একসাথে বিভিন্ন পার্কে ঘোরাফেরা করেছি, রেস্তোরাঁতে খাবার খেয়েছি

জানার বিষয় হল, এমতাবস্থায় সে কি আমার থেকে ধার্যকৃত পুরো মহরের হকদার হবে?

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিবাহের পর আপনাদের মাঝে যদি বাস্তবেই শারীরিক সম্পর্ক না হয়ে থাকে, তদ্রƒ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধা নেই এমন কোনো স্থানে নির্জনবাসও না হয়ে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে মেয়েটি আপনার থেকে ধার্যকৃত মহরের অর্ধেক (অর্থাৎ নব্বই হাজার টাকা) পাবে মহর বাবদ ওই পরিমাণ টাকা তাকে দিয়ে দিতে হবে এক্ষেত্রে বিবাহের সময় ধার্যকৃত পূর্ণ মহর দিতে হবে না

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন

وَاِنْ طَلَّقْتُمُوْهُنَّ مِنْ قَبْلِ اَنْ تَمَسُّوْهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِیْضَةً فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ.

তোমরা তাদেরকে (অর্থাৎ স্ত্রীদেরকে) স্পর্শ করার আগেই যদি তালাক দাও এবং তোমরা তাদের জন্য মহর ধার্য করে থাক, তবে যে পরিমাণ মহর ধার্য করেছিলে তার অর্ধেক (দেওয়া জরুরি) সূরা বাকারা (০২) : ২৩৭

* كتاب >الأصل< للشيباني /৪৩৬ : وإذا طلق الرجل امرأته وقد خلا بها أو أغلق عليها بابا أو أرخى عليها حجابا قضي عليه بالمهر كاملا. ... وإذا طلق الرجل امرأته قبل أن يدخل بها فلها نصف المهر إن كان سمى لها مهرا.

আলমাবসূত, সারাখসী /১৪৮-১৫০; বাদায়েউস সানায়ে /৫৯২; আলমুজতাবা, যাহেদী /১১১; আলগায়া, সারুজী ১১/২৭; আননাহরুল ফায়েক /২৩০, ২৩৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া /৩০৪

শেয়ার লিংক

মাহফুযুল হক - ওয়েব থেকে প্রাপ্ত

৬৮২১. প্রশ্ন

কিছুদিন আগে হঠাৎ করে আমার ছোট ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন আমি মনে মনে মান্নত করি, আমার ছেলে যদি পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে, তাহলে আমি দুই হাজার টাকা সদকা করব তবে আমি মুখে কিছুই বলিনি; শুধু নিয়ত করেছি এখন আলহামদু লিল্লাহ আমার ছেলে পূর্ণ সুস্থ হয়েছে

জানার বিষয় হল, এখন কি পরিমাণ টাকা সদকা করা আমার জন্য আবশ্যক?

উত্তর

মান্নত সংঘটিত হওয়ার জন্য মুখে উচ্চারণ করা শর্ত মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে নিয়ত করলে তা মান্নত হয় না সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যেহেতু মুখে বলেননি, তাই সেটি মান্নত হয়নি

অতএব মান্নত হিসেবে ওই পরিমাণ টাকা সদকা করা আপনার জন্য আবশ্যক নয় তবে মান্নত না হলেও আপনি যেহেতু একটি ভালো কাজের নিয়ত করেছেন, তাই সম্ভব হলে তা পূরণ করাই উচিত হবে

* >الأشباه والنظائر< لابن نجيم، ص: ৫১ : النذر لا تكفي في إيجابه النية، بل لا بد من التلفظ به، صرحوا به في باب الاعتكاف.

কিতাবুল আছল /১৮৬; আহকামুল কুরআন, জাস্সাস /৪৪২; আলমাবসূত, সারাখসী /১৩৮; বাদায়েউস সানায়ে /২২৬; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর /৪৭৩; ইমদাদুল ফাত্তাহ, পৃ. ২৩৬

শেয়ার লিংক

জাবের হুসাইন - বরিশাল

৬৮২২. প্রশ্ন

আমাদের মাদরাসার টিওবওয়েল, ওযুখানা, গোসলখানার পানি এলাকার মানুষ মুসল্লীরা পান করার জন্য অনেক সময় বোতল ভরে নিয়ে যায় পানি নিতে আসলে মাদরাসার কর্তৃপক্ষ কাউকে বাধা দেয় না

হুজুরের কাছে জানতে চাই, এলাকার মানুষ বা সাধারণ মুসল্লীদের এভাবে মাদরাসা থেকে কি পানি নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে?

উত্তর

মাদরাসার ব্যবস্থাপনাগত কোনো সমস্যা না হলে মাদরাসার টিওবওয়েল থেকে এলাকার লোকদের পানি নেওয়া জায়েয হবে কেননা টিওবওয়েল কোনো ওয়াকফিয়া প্রতিষ্ঠানের হলেও এর থেকে অন্যদের পানি নেওয়ার বিষয়টির এদেশে ব্যাপক প্রচলন রয়েছে সাধারণত দাতাগণেরও বিষয়টি জানা থাকে

তবে মসজিদ-মাদরাসার ওযুখানা, গোসলখানা থেকে বাইরের লোকজন পানি নিতে পারবে কি না তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকদের নীতির ওপর যদি তারা বিষয়টি ছাড়ের চোখে দেখেন এবং এর দ্বারা প্রতিষ্ঠানের তেমন কোনো ক্ষতি না হয় এবং এলাকাবাসীরও পানির প্রয়োজন হয়, তাহলে শরীয়তের দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা নেই অবশ্য কোনো প্রতিষ্ঠান-কর্তৃপক্ষ এভাবে পানি নিতে অনুমতি না দিলে সেক্ষেত্রে তা থেকে বিরত থাকতে হবে

ফাতাওয়া খানিয়া /৩১১; গায়াতুল বায়ান /৩২৯; ফাতহুল কাদীর /৪৪৯; আলফাতাওয়াল কুবরা আলফিকহিয়্যাহ, ইবনে হাজার হাইতামী /২৬৬; আদ্দুররুল মুখতার /৪২৭

শেয়ার লিংক

এ. আর. রায়হান - ওয়েব থেকে প্রাপ্ত

৬৮২৩. প্রশ্ন

এক. আমার কিছু জমানো টাকা আছে, যেগুলো আমি ব্যবসায় খাটাই এই পদ্ধতিতে যে, আমাদের বাজারে একজন কাপড় ব্যবসায়ী আছেন তাকে আমি নগদ পাঁচ লক্ষ টাকার কাপড় কিনে দিই তবে সেই ব্যবসায়ী ঢাকা, বাবুবাজার, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোনের মাধ্যমে কাপড় অর্ডার করে থাকেন এক্ষেত্রে তার সাথে প্রথম আলোচনা হয়, তিনি আবার আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, লাখে আপনাকে কত টাকা ব্যবসা দিতে হবে? তখন আমি বলি, চার হাজার পাঁচ টাকা দিতে হবে

তাতে তিনি রাজি হয়ে যান এরপর আমি তাকে আমার টাকার উকিল (প্রতিনিধি) বানিয়ে দিই তখন সে কাপড় ব্যবসায়ী তার পছন্দমতো মাল অর্ডার করেন মালের চোতা (মেমো) তার দোকানের নামে আসে তার পাশে চোতার মধ্যে আমার নামও থাকে যখন মাল আসে তখন আমাকে আমার সম্পূর্ণ পাঁচ লক্ষ টাকার মাল বুঝিয়ে দেয় এরপর আমি তার সাথে বেচাকেনা করি অর্থাৎ পাঁচ লক্ষ টাকার মাল এক মাসের মেয়াদে পাঁচ লক্ষ বাইশ হাজার পাঁচ টাকায় বাকিতে বিক্রি করি এরপর সে নির্দিষ্ট তারিখে পাঁচ লক্ষ বাইশ হাজার পাঁচ টাকা দিয়ে দেয়

এখন আমার প্রশ্ন হল, আমার এই বেচাকেনা শরীয়তসম্মত হয়েছে কি না?

দুই. উল্লিখিত পদ্ধতিতেই বেচাকেনা করি তবে ক্রেতা যখন আমার ভাই অথবা মুসল্লী হন, সেক্ষেত্রে আমার নাম গোপন রেখে অন্য কাউকে আমার টাকার মালিক বানিয়ে তথা উকিল বানিয়ে তার মাধ্যমে বেচাকেনা করি এটি শরীয়তসম্মত কি না?

কারণ, ক্রেতা যদি জানতে পারে, বিক্রেতা তার ভাই বা তার ইমাম সাহেব, তখন ক্রেতা লেনদেনে ঝামেলা করতে পারে

উত্তর

এক. প্রশ্নোক্ত কারবারটি যথাযথ শর্ত পালন করে করা হলে তা জায়েয হয়ে যাবে শর্তগুলো হল

. যেহেতু আপনার কাছে কোনো পণ্য থাকে না; বরং আপনি প্রথমে পণ্য কিনে লাভে বিক্রি করবেন তাই এক্ষেত্রে আপনার কর্তব্য হল, প্রথমে আপনি নিজে বা অন্য কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে তা কিনে হস্তগত করবেন এরপর আগ্রহী ব্যক্তির কাছে তা বিক্রি করবেন পণ্য কেনার আগে বা কেনার পর তা হস্তগত করার আগেই বিক্রি করে দিলে ক্রয়-বিক্রয় বৈধ হবে না

. গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রি করে তাকে বুঝিয়ে দেওয়ার পূর্বে পণ্যের সকল ঝুঁকি দায় আপনার ওপর থাকবে সময় পণ্যগুলো নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় আপনাকে নিতে হবে

. পণ্যগুলো গ্রাহকের কাছে বিক্রি করার সময় এর মূল্য এবং তা পরিশোধের সময় নির্ধারিত করে নিতে হবে ক্রেতার দায়িত্ব হল, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মূল্য পরিশোধ করে দেওয়া তবে যদি ক্রেতা কোনো কারণে সময়মতো মূল্য পরিশোধ করতে না পারে, তাহলে সে কারণে মূল্য বাড়িয়ে নেওয়া যাবে না এক্ষেত্রে কোনো কিছু অতিরিক্ত নিলে তা সুদ হবে

উল্লেখ্য, পণ্য কেনার জন্য স্বয়ং গ্রাহককেই প্রতিনিধি বানাবেন না কারণ গ্রাহককেই ক্রয়-প্রতিনিধি বানানো হলে এক্ষেত্রে এক বা একাধিক শর্ত লঙ্ঘনের আশঙ্কা থেকে যায় ফলে লেনদেনটি অনেক সময় নাজায়েযের পর্যায়ে চলে যায় তাই গ্রাহককে পণ্য কেনার জন্য প্রতিনিধি বানানো থেকে বিরত থাকতে হবে হয়তো নিজে অথবা তৃতীয় কারো মাধ্যমে পণ্য কিনবে অতঃপর পণ্য হস্তগত করে বুঝে নেওয়ার পর তা বিক্রি করবে

দুই. আপনি যদি অন্য কারো মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করেন, আর সে আপনার প্রতিনিধি হিসেবে তা কিনে বুঝে নিয়ে অন্য কারো নিকট বিক্রি করে, তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই প্রতিনিধির জন্য ক্রেতার কাছে আপনার নাম উল্লেখ করার দরকার নেই

উল্লেখ্য, উপরোক্ত কারবারটি হচ্ছে পণ্য বেচাকেনার এখানে মালামাল কিনে নিজের দায়িত্বে এনে তা বিক্রি করে এর থেকে লাভ করা হয়ে থাকে কখনো কখনো লোকসানও হতে পারে কিন্তু মালামাল কেনার আগেই আমাকে লাখে চার হাজার পাঁচ টাকা দিতে হবে এমন কথা বলা ঠিক নয় কথাটি সুদী কারবারের মতো শোনা যায় তাই এমন কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে এভাবে বলতে পারে, আমি এক লাখ টাকার কাপড় আপনার নিকট বাকিতে এক লাখ এত টাকায় বিক্রি করতে পারব

সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫২৬; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ২০৮৩২; শরহু মুখতাসারিত তাহাবী, জাস্সাস /৫৫; আলমাবসূত, সারাখসী ১৩/৮০৭; বাদায়েউস সানায়ে /৩৭৭, ৩৯১; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়া, মাদ্দাহ ২৪৫, ২৪৬; মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী //১০৮১, //১৫৩৯, //১৫৪৪

শেয়ার লিংক

জসীম হায়দার - চট্টগ্রাম

৬৮২৪. প্রশ্ন

প্রায় তিন বছর আগে একজন অপরজনের কাছে জমি বিক্রি করার জন্য বায়নাপত্রে চুক্তি করে অগ্রিম তিন লক্ষ টাকা গ্রহণ করে কথা ছিল, বায়না করার ছয় মাসের মধ্যে বিক্রেতা ক্রেতাকে জমি রেজিস্ট্রি করে বুঝিয়ে দেবে কিন্তু বিক্রেতা তা করে দেয় না বর্তমানে বিক্রেতা তার ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে জায়গাটি আর বিক্রি করতে চাচ্ছে না তাই সে ক্রেতার কাছ থেকে বায়না বাবদ অগ্রিম যে অল্প টাকা নিয়েছিল, তা ফেরত দিয়ে চুক্তিটি বাতিল করতে চাইলে ক্রেতা বলে, তার টাকা প্রায় তিন বছর বিক্রেতার কাছে আটকে ছিল বিক্রেতার সমস্যার কারণে জায়গাটি সে বুঝে নিতে পারেনি ক্রেতা এই চুক্তি না করলে এই টাকা সে ব্যবসায় খাটাতে পারত তাই সে সমপরিমাণ টাকা নেবে না চুক্তি বাতিল করতে হলে তাকে তিন লক্ষ ষাট হাজার টাকা দিতে হবে নয়তো সে আইনগত ব্যবস্থা নেবে

বিক্রেতার এখন কী করণীয়? বিক্রেতা কি এই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে চুক্তি বাতিল করতে পারবে? এই লেনদেনে কি শরয়ীভাবে কোনো সমস্যা আছে?

উত্তর

বর্তমানে যে ধরনের বায়না চুক্তি সম্পাদন করা হয়, এর দ্বারা শরীয়তের দৃষ্টিতে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়ে যায় এবং এর মাধ্যমে ক্রেতা জমির মালিকানা লাভ করে সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে চুক্তিটি সেভাবে সম্পাদিত হয়ে থাকলে ক্রেতা ওই জমির মালিক হয়ে গেছে

পর্যায়ে বিক্রেতার কর্তব্য ছিল, চুক্তিমতো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রেতাকে জমির দখল রেজিস্ট্রি বুঝিয়ে দেওয়া যেহেতু বায়না চুক্তির মাধ্যমে ক্রেতা উক্ত জমির মালিকানা লাভ করেছে, তাই বিক্রেতা এখন চাইলেই এককভাবে বিক্রি চুক্তি বাতিল করতে পারবে না; বরং বিক্রি চুক্তি বাতিল করতে হলে ক্রেতার সুস্পষ্ট সম্মতি লাগবে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তি বাতিল করা হলে সেক্ষেত্রে ক্রেতা কেবল উক্ত জমির মূল্য বাবদ প্রদত্ত টাকাই ফেরত পাবে এর অতিরিক্ত দাবি করা জায়েয হবে না

সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ক্রেতা যেহেতু বিক্রেতাকে জমির মূল্য বাবদ তিন লক্ষ টাকা প্রদান করেছে, তাই চুক্তি বাতিল করলে বিক্রেতা থেকে তিন লক্ষ টাকাই ফেরত পাবে অতিরিক্ত আরো ষাট হাজার টাকা নেওয়া জায়েয হবে না আর যদি ক্রেতা উক্ত বিক্রি চুক্তি বাতিল করতে সম্মত না হয়, তাহলে বিক্রেতার দায়িত্ব হবে ক্রেতার জমিটি রেজিস্ট্রি দিয়ে দেওয়া যেন সে চাইলে অন্যত্র তা বিক্রিও করতে পারে

* >الحجة على أهل المدينة< /৭২৮ : محمد قال: قال أبو حنيفة: إذا تبايع الرجلان، ولم يذكرا فيه خيارا، فقد وجب البيع حين عقداه، وإن لم يفترقا، ولا خيار لهما.

বাদায়েউস সানায়ে /৪৮২, ৫৯৭; গায়াতুল বায়ান ১০/১৮৫; আলইনায়া শরহুল হিদায়া /১১৪; আলবাহরুর রায়েক /২৬২, /১০১; রদ্দুল মুহতার /৫০৬, /১২১

শেয়ার লিংক

আবদুল কারীম - রাজশাহী

৬৮২৫. প্রশ্ন

মুরগি জবাইয়ের পর তা নিস্তেজ হওয়ার আগেই অনেকে মুরগির পা, পাখনা কেটে ফেলে

প্রশ্ন হল, নিস্তেজ হওয়ার আগে কোনো অঙ্গ কেটে নিলে ওই অংশ কি খাওয়া জায়েয হবে?

উত্তর

পশু-পাখির জবাই সম্পন্ন হওয়ার পর তা পুরোপুরি নিস্তেজ হওয়ার আগেই এর কোনো অঙ্গ কেটে ফেললে তা খাওয়া জায়েয আছে

তবে উল্লেখ্য যে, পুরোপুরি নিস্তেজ হওয়ার আগে জবাইকৃত পশু-পাখির কোনো অঙ্গ কাটা মাকরূহ তাহরীমী কেননা এতে তাদের অহেতুক কষ্ট দেওয়া হয় তাই এমন কাজ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক

* >المحيط البرهاني< /৪৪২ : رجل ذبح الشاة، وقطع الحلقوم والأوداج، إلا أن الحياة باقية فيها، فقطع إنسان بضعة منها، يحل أكل تلك البضعة منها؛ لأن هذا ليس بمبان من الحي؛ لأن ما بقي منها من الحياة غير معتبر أصلا.

আলমুজতাবা, যাহেদী /১৮; মিরাজুদ দিরায়া /২৩৭; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া /৩০৮; আদ্দুররুল মুখতার /২৯৬

শেয়ার লিংক

সফিউল্লাহ - কিশোরগঞ্জ

৬৮২৬. প্রশ্ন

কিছুদিন আগে আমাদের এক প্রতিবেশী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন ইন্তেকালের সময় তিনি বাবা, মা, স্ত্রী, এক ছেলে এক ভাই রেখে যান তার ছেলের বয়স এক বছর সাত মাস

এমতাবস্থায় হুজুরের নিকট আমাদের জানার বিষয় হল,

. শরীয়তের দৃষ্টিতে উক্ত নাবালেগ সন্তানের সম্পদের অভিভাবক কে হবে?

. উক্ত সন্তানের লালনপালনের কে বেশি হকদার হবে?

উত্তর

. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তি যদি শিশু-সন্তানের সহায়-সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ হেফাজতের দায়-দায়িত্ব গ্রহণের জন্য বিশেষ কাউকে (ওসী) অভিভাবক হিসেবে নিযুক্ত না করে গিয়ে থাকেন, তাহলে এক্ষেত্রে যেহেতু শিশুটির দাদা জীবিত আছেন, তাই তিনি তার সম্পদের অভিভাবক (দায়িত্বশীল) হবেন অভিভাবক ওসী হোক বা দাদা তাদের দায়িত্ব হল, তার সম্পদের হেফাজত করা; অপব্যয়-অপচয় রোধ করা শিশুর উপকারে আসে না এমন কোনো কাজে ব্যবহার হতে না দেওয়া

আলমুহীতুল বুরহানী ১৯/৪৩৬; জামিউ আহকামিস সিগার /২৯০; জামিউল ফুসূলাইন /১৫; জামিউর রুমূয /৬৭৩; রদ্দুল মুহতার /১৭৪

. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শিশুটির লালন-পালনের হকদার তার মা অবশ্য মায়ের যদি শিশুটির মাহরাম নয় এমন কারো সাথে বিবাহ হয়, তাহলে তখন লালনপালনের অধিকার মায়ের থাকবে না তখন অধিকার লাভ করবে শিশুটির নানি অতঃপর তার দাদি তাদের পর তার খালা, অতঃপর তার ফুফু

* >الجامع الصغير< ص ২৩৭ : والأم أحق بالولد، ثم الجدة التي من قبل الأم، ثم الجدة من قبل الأب، ثم الخالة، ثم العمة.

বাদায়েউস সানায়ে /৪৫৬-৪৬০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া /৭২; আদ্দুররুল মুখতার /৫৬৬

শেয়ার লিংক