জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৩ || জানুয়ারি ২০২২

মুহাম্মাদ নুরুদ্দীন - ফেনী

প্রশ্ন

আমি হেদায়া জামাতের ছাত্র, আমার প্রশ্ন হল, সূরা আম্বিয়ার ৪৭ নং আয়াতের অংশবিশেষ وَ كَفٰی بِنَا حٰسِبِیْنَ -এর মধ্যে   كفى ফেয়েল, ب যায়েদা, আর نا ফায়েল। إعراب القرآن বিষয়ক কিতাবগুলোর মধ্যে এভাবে তারকীব করা হয়েছে। আমার জানার বিষয় হল, এখানে ফেয়েল-ফায়েলের تطابق কোথায়? وكفى بهم قدوة -এর মধ্যেও একই প্রশ্ন।

উত্তর

كَفى (التي بمعنى حسب، والتي هي فعل لازم)

ফেয়েলের ফায়েলের শুরুতে কখনো باء زائدة আসে। এক্ষেত্রে كفى ফেয়েল সর্বদা واحد مذكر غائب সিগার রূপে থাকে। ফেয়েলের মধ্যে কোনো যমীর থাকে না এবং ফায়েল মুআন্নাছ, তাছনিয়া বা জমা যা-ই হোক ফেয়েল অপরিবর্তিতই থাকে। ইমাম ইবনে সীদাহ (৪৫৮ হি.) রাহ. كفى শব্দের ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রসিদ্ধ ভাষাবিদ ইমাম ইবনুল আরাবী রাহ. (২৩১ হি.)-এর বক্তব্য উদ্বৃত করে বলেন-

وحكى ابن الأعرابي: كفاك بفلان، وكَفْيُك به، وكِفاك مكسور مقصور، وكُفاك مضموم مقصور أيضا. قال: ولا يثنى ولا يجمع ولا يؤنث.(المحكم والمحيط الأعظم لابن سيده //৮৪ )

আর كفى به ফেয়েলের এরাব মূলত    أكْرِمْ بزيدٍْ ,اَسْمِعْ بِهِمْ  ফেয়েলে তাআজ্জুবের এরাবের মত।  যেখানে (ইমাম সীবাওয়াই রাহ.-এর মতে) বা’-এর মাজরুরটাই ফায়েল। أكرم ফেয়েলে যমীর উহ্য থাকে না এবং ফায়েল মুয়ান্নাছ বা জমা হলেও ফেল একই রূপে থাকে। 

ইমাম ইবনে সীদাহ (৪৫৮ হি.) রাহ. বলেন-

وأما زيادتها (الباء) في الفاعل فنحو قولهم: كفى بالله، وقوله تعالى: (وَ كَفٰی بِنَا حٰسِبِیْنَ) إنما هو كفى الله، وكفينا.

فالباء وما عمِلتْ فيه في موضع مرفوع بفعله،ونحوه قولُهم في التعجب: أحسن بزيد! فالباء وما بعدها في موضع مرفوع بفعله، ولا ضمير في الفعل.

দেখুন, আলমুহকাম ওয়াল মুহীতুল আযম ফিল লুগাহ ৭/৮৪-৮৫; লিসানুল আরব ১৩/ ৯৩ (মাদ্দা كفى)

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন