যিলহজ্ব ১৪৩৪ || অক্টোবর ২০১৩

খালেদ যামান - খতীব, কদমরসূল জামে মসজিদ, ঢাকা

প্রশ্ন

দালায়েলুল খায়রাত কিতাবের মুসান্নিফ কে? উক্ত কিতাব কত সালে লিখিত? কিতাবটি পড়ার ফযীলত কী? পড়ার পদ্ধতি কী? মুয়াল্লিমীনদের নিকট কতটুকু গ্রহণযোগ্য? মুসান্নিফ কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলেন? এ ছাড়াও কিতাবটির সম্পর্কে আরো কোনো তথ্য থাকলে অনুগ্রহপূর্বক জানাবেন।


উত্তর

কিতাবটির পূর্ণ নাম দালাইলুল খায়রাত ওয়া শাওয়ারিকুল আনওয়ার ফী যিকরিস সালাতি আলান্নাবিয়্যীল মুখতার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কিতাবের মুসান্নিফ হলেন আবূ আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনু সুলায়মান আলজুযূলী (জন্ম ৮০৭ হি., মৃত্যু : ৮৭০ হি.)। তিনি বর্তমান আফ্রিকা মহাদেশের মরক্কোর অধিবাসী ছিলেন। মরক্কোর জুযূলাহ নামক অঞ্চলে বা গোত্রে জন্মগ্রহণের কারণে জুযূলী নিসবতে পরিচিত। তিনি ছিলেন মালিকী মাযহাবের একজন আলেম এবং তৎকালীন প্রসিদ্ধ ওলি ও বুযুর্গ। আরো বিস্তারিত জানার জন্য নিম্নের কিতাবগুলো দ্রষ্টব্য : আযযওয়ুল লামে, হাফেয সাখাবী ৭/২৫৮-২৫৯; কাশফুয যুনূন ১/৭৫৯; আলআলাম, যিরিকলী ৬/১৫১

তাঁর আলোচ্য কিতাবটি হল সালাত ও সালাম তথা দরূদ শরীফের সংক্ষিপ্ত কিতাব। এতে তিনি দরূদের ফযীলত ও দরূদের বিভিন্ন পাঠ উল্লেখ করেছেন। হাদীসে বর্ণিত দরূদের মাছূর শব্দের পাশাপাশি পরবর্তী বুযুর্গদের নিজস্ব শব্দে পঠিত দরূদকে এ কিতাবে সংকলন করা হয়েছে। এতে দরূদের ফাযায়েল সম্পর্কে যেসব হাদীস ও রেওয়ায়েত উল্লেখ রয়েছে তাতে সহীহ, যয়ীফ, মুনকার ও মওযূ সবধরনের রেওয়ায়েতই স্থান পেয়েছে।

যাহোক, দরূদ শরীফ পাঠ যে স্বতন্ত্র একটি ইবাদত এবং অনেক ছওয়াব ও বরকতপূর্ণ আমল তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে উক্ত কিতাবে সহীহ হাদীস থেকে নেওয়া দরূদের যেসব শব্দ উল্লেখ রয়েছে সেগুলো অগ্রগণ্য এবং অধিক নূর ও বরকতপূর্ণ। কারণ তা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শেখানো এবং ওহীর মাধ্যমে প্রাপ্ত। আর পরবর্তী কোনো ব্যক্তির নিজস্ব শব্দের যেসব দরূদ এতে উল্লেখ রয়েছে সেগুলোতে কোনো মুনকার ও আপত্তিকর শব্দ না থাকলে পড়তে নিষেধ নেই। এতেও দরূদ পাঠের ফযীলত লাভ হবে। কিন্তু এগুলোকে মাছূর ও হাদীসের দরূদের সমপর্যায়ের মনে করা উচিত নয়। 

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন