মুহাররম ১৪৩১ || জানুয়ারী ২০১০

মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান - বাগেরহাট

প্রশ্ন

তাফসীর ও তরজমায়ে কুরআনের কিতাব সব ভাষাতেই এত বিপুল পরিমাণে লিখিত হয়েছে যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে নির্বাচন করা অত্যন্ত কঠিন। হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উছমানী দামাত বারাকাতুহুম ‘উলূমুল কুরআন’-এ কয়েকটি কিতাব নির্বাচন করে দিয়েছেন, কিন্তু তার সংখ্যাও কম নয়। আপনি আমাকে শুধু চারটি কিতাবের নাম বলুন এবং উর্দূ ভাষায় লিখিত একটি বা দুটি কিতাবের নাম। যেন আমি কুরআন হাকীম বুঝতে পারি এবং কুরআনী পয়গাম অনুধাবন করতে পারি। কোনোটির নির্ভরযোগ্য বাংলা অনুবাদ হয়ে থাকলে তা-ও জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর

আপনি নিম্নোক্ত কিতাবগুলি অধ্যয়ন করতে পারেন :

  • ১. তাফসীরে ইবনে কাছীর
  • ২. তাফসীরে আবুস সাউদ, বা মুখতাসারু তাফসীরিত তাহরীরি ওয়াত তানবীর
  • ৩. মুফরাদাতুল কুরআন, রাগিব আসফাহানী
  • ৪. তাইসীরুল কারীমির রহমান, আবদুর রহমান আসসা’দী বা আইসারুত তাফসীর, আবু বকর জাবির আলজাযাইরী

উর্দূতে আপনি ‘তাফসীরে উছমানী’ হযরত শায়খুল ইসলাম শাব্বীর আহমদ উছমানী রাহ. এবং ‘আসান তরজমায়ে কুরআন’ হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উছমানী (দামাত বারাকাতুহুম) শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বারবার পাঠ করতে পারেন। ইসলামিক ফাউণ্ডেশন থেকে তাফসীরে উছমানীর বাংলা অনুবাদ চার খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম দুই খণ্ড জামেয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া ঢাকা-এর শায়খ জনাব মাওলানা আবুল বাশার ছাহেব (আ.ব.ম. সাইফুল ইসলাম) করেছেন। ‘আসান তরজমায়ে কুরআন’-এর অনুবাদও তিনিই করছেন। আশা করি, তা একটি প্রাঞ্জল ও নির্ভরযোগ্য অনুবাদ হবে এবং ইনশাআল্লাহ অচিরেই মুদ্রিত হয়ে পাঠকের সামনে এসে যাবে।

আসলে শুধু কিতাবের নাম জেনে নেওয়াতে বিশেষ কোনো ফায়েদা নেই। মূল কাজ হচ্ছে প্রতিদিন অল্প করে হলেও নিয়মিত মুতালাআ করা। এতে জাহেরী ও বাতেনী অনেক বরকত হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন