রজব ১৪৩০ || জুলাই ২০০৯

মুহাম্মাদ হাবীবুল্লাহ - গোপালগঞ্জ

প্রশ্ন

আর কদিন পরেই পরীক্ষার পর কওমী মাদরাসাগুলোতে দীর্ঘ ছুটি আরম্ভ হবে। এই সময় ছাত্রদের জন্য কী কী করণীয় তার একটি তালিকা দিলে ভালো হত। বিশেষ করে মুতালাআর ব্যাপারে রাহনুমায়ী অবশ্যই দিবেন।


উত্তর

এ বিষয়ে আমি বিগত বছরগুলোতে কয়েকবার লিখেছি। মৌলিক কথা এই যে, প্রত্যেক তালিবে ইলম স্বীয় তা’লীমী মুরববীর মশওয়ারা অনুযায়ী ছুটির সময়গুলো কাজে লাগাবে। এ সময়ে পিতা-মাতার খেদমত করবে, তাঁদের সান্নিধ্যে থাকবে। দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করবে। ইলমী ত্রুটি-অপূর্ণতাগুলো দূর করার চেষ্টা করবে কিংবা অধিক তারাক্কীর জন্য মুতালাআর কোনো তারতীব তৈরি করবে। সুলূক ও ইহসানের জন্য শায়খের সোহবতে থাকবে। মোটকথা, বিভিন্নভাবে ছুটিকে কাজে লাগানো যায়। যার জন্য যেটা অধিক উপযুক্ত তার সেটাই করা উচিত। বিশেষ কোনো কাজের পরিকল্পনা না থাকলে রমযানের ছুটির সর্বোত্তম আমল হল, তেলাওয়াতে কুরআন, তাদাববুরে কুরআন এবং পিতা-মাতার খেদমত। নেযামুল আওকাত (রুটিন) তৈরি করে কিছুটা সময় মুতালাআর জন্য রাখা ভালো। এক্ষেত্রে পরবর্তী তা’লীমী সালের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক মুতালাআ সবচেয়ে উপকারী।

প্রস্ত্ততিমূলক মুতালাআ বলতে পরবর্তী বছরের নেসাবভুক্ত কিতাবাদি, সেগুলোর মুসান্নিফ, শরাহ-হাশিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে অবগতি লাভ করা। কোন কিতাবটি আদ্যোপান্ত মুতালাআ করার মতো, কোনটা মূল কিতাব হল করার জন্য অধিক উপযোগী তা নির্ধারণ করা। নতুন কোনো ফন আসলে তার সাথে পরিচিত হওয়া। কোনো কিতাবের শুরুতে মুসান্নিফ বা শারেহের পক্ষ থেকে লেখা বিস্তারিত মুকাদ্দিমা মুতালাআ করা। 

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন