আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। আশা করি, ভাল আছেন। আমি নাহবেমীর জামাতে পড়ি। আমার একটি জানার বিষয় ছিল। আরবী লিখতে কোন্ শব্দের মাঝে নুকতা সহ ‘ياء’ আসে আর কোন্ শব্দে নুকতা ছাড়া ‘ياء’ আসে? জানালে উপকৃত হব ইনশাআল্লাহ ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। আশা করি, ভাল আছেন। আমি নাহবেমীর জামাতে পড়ি। আমার একটি জানার বিষয় ছিল। আরবী লিখতে কোন্ শব্দের মাঝে নুকতা সহ ‘ياء’ আসে আর কোন্ শব্দে নুকতা ছাড়া ‘ياء’ আসে? জানালে উপকৃত হব ইনশাআল্লাহ ।
‘ياء’ হরফটি শব্দের শুরুতে মাঝে শেষে যেখানেই থাকবে, কাওয়ায়িদুল ইমলা বা আরবী লিখন-রীতি অনুযায়ী তাতে নুকতা হবে। তবে শব্দের শেষে অনেক সময় ‘أَلِف’ -কে ‘ياء’-এর সুরতে লেখা হয়। শুধু এক্ষেত্রে ‘ياء’ তে নুকতা হয় না। এ ধরনের ‘ياء’ উচ্চারণে আসে না এবং তার আগের হরফে ফাতহা হয়। যেমন-
مُوسى، عِيسى، بُخَارى، مَتى، إِلى، عَلى، أَعْطى، الْفَتى، سَعى، يَسْعى
সে হিসেবে على -এ নুকতা হবে না তবে علَيَّ ও عَلِيٌّ -এ নুকতা হবে। إلى -এ হবে না কিন্তু إلَيَّ -এ হবে। তেমনিভাবে মাজহুলের সীগা يُعْطَى -এ নুকতা হবে না, তবে মারুফের সীগা يُعطِيْ -এ নুকতা হবে। في হরফটি আলাদা পড়া হোক কিংবা পরের শব্দের সঙ্গে মিলিয়ে পড়া হোক (যেমন في المسجد) সর্বাবস্থায় তাতে নুকতা হবে। লেখার সময় এ ধরনের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
قواعد الإملاء বিষয়ে ধারণা লাভ করার জন্য আপনি সহজ ভাষায় লিখিত এই কিতাবদুটি পড়তে পারেন-
১- قواعد في الإملاء، للشيخ محمد بن صالح العُثَيْمِيْن رحمه الله تعالى (১৩৪৭-১৪২১ هـ)، مكتبة عِباد الرحمن، مصر.
২- الخلاصة في قواعد الإملاء وعلامات الترقيم، لعبد العزيز بن محمد الفنتوخ، إدارة الثقافة والنشر في جامعة الإمام محمد بن سعود الإسلامية، المملكة العربية السعودية.
শেয়ার লিংক
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। হুযুর! আমি ‘কানযুদ দাকায়িক’ পড়ি। আমাদের মাদরাসায় ‘কানযুদ দাকায়িক’-এর শরাহ ‘আলবাহ্রুর রায়িক’ আছে। এর ভূমিকায় মুসান্নিফ রাহ. লেখেন-
وقد وَضَعوا له شُروحا، وأحسنُها "التبيين" للإمام الزَيْلَعِيّ.
আমাদের মাদরাসায় আরেকটি কিতাব আছে। নাম-
نَصْبُ الرَّايَة لأحاديثِ الهداية
এই কিতাবের মুসান্নিফও যায়লায়ী। প্রশ্ন হল, দুইজন কি একই ব্যক্তি?
না, দুইজন একই ব্যক্তি নন।
নাসবুর রায়াহ কিতাবের মুসান্নিফ হলেন ইমাম জামালুদ্দীন আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ যায়লায়ী রাহ.। ওফাত ৭৬২ হি.। আর তাবয়ীনুল হাকায়িক কিতাবের মুসান্নিফ হলেন ইমাম ফখরুদ্দীন উসমান ইবনে আলী যায়লায়ী রাহ.। ওফাত ৭৪৩ হি.।
জামালুদ্দীন যায়লায়ী রাহ. হলেন ফখরুদ্দীন যায়লায়ী রাহ.-এর শাগরিদ। আল্লামা আবদুল হাই লখনবী (১৩০৪ হি.) রাহ.
الفوائد البَهِيَّة في تراجِمِ الحنفيّة
কিতাবে লেখেন-
جمال الدين الزيلعي : يوسفُ بن عبدِ الله، والصحيحُ أنه عبد الله بن يوسف، وهو المُخَرِّج لأحاديثِ "الهداية" وأحاديثِ "الكشاف"، وهو غيرُ الزيلعىِّ شارحِ "الكنز"، فإنه فخر الدين عثمانُ بن علي، والأول تلميذ للثانى، وكثيراً ما يَشتَبِه أحدُهما بالآخر.
-আলফাওয়াইদুল বাহিয়্যা, আবদুল হাই লখনবী, ফাসলুন ফী তা‘য়ীনিল মুবহামাত, পৃ. ২৩৭
সুতরাং কোথাও শুধু ‘যায়লায়ী’ বলে হাওয়ালা পেলে নিশ্চিত হতে হবে, এখানে কোন্ ‘যায়লায়ী’ উদ্দেশ্য।
শেয়ার লিংক