জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৭ || ডিসেম্বর ২০২৫

আবরার - লক্ষ্মীপুর

৬৮৪০. প্রশ্ন

কখনো অমুসলিমদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ হয় এবং তাদের সাথে লেনদেন করতে হয় এক্ষেত্রে তাদের সাথে কি সালাম বিনিময় বা মুসাফাহা করা যাবে? আর সাক্ষাৎকালে তাদেরকে নমস্কার বলার কী হুকুম?

উত্তর

বিধর্মীকে সালাম দেওয়া নিষেধ হাদীস শরীফে এসেছে, আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন

لَا تَبْدَؤُوْا الْيَهُوْدَ وَلَا النَّصَارَى بِالسَّلَامِ.

তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে সালাম দিয়ো না (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২১৬৭)

তাই অমুসলিমকে সালাম দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে

বিশেষ ক্ষেত্রে অমুসলিমকে অভিবাদন করার প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে সৌজন্যমূলক সামাজিক কোনো অভিবাদনসূচক বাক্য ব্যবহার করবে অথবা সালামের স্থলে

السَّلَامُ عَلٰى مَنْ اتَّبَعَ الْهُدٰى.

(শান্তি বর্ষিত হোক তার প্রতি, যে সৎপথের অনুসরণ করে)

বাক্যটি বলা যেতে পারে

আর কোনো অমুসলিম সালাম দিলে উত্তরে শুধু ‘ওয়া আলাইকুম’ বলবে পুরো উত্তর দেওয়া যাবে না

হাদীস শরীফে এসেছে, আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন

إذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أهْلُ الكِتَابِ فَقُوْلُوْا: وَعَلَيْكُمْ.

যখন কোনো কিতাবী (ইহুদী, খ্রিস্টান) তোমাদের সালাম দেয়, তখন তোমরা বলবে ‘ওয়া আলাইকুম’ (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬২৫৮)

আর অমুসলিমদের সাথে মুসাফাহা করাও মাকরূহ তাই তাদের সাথে মুসাফাহা করবে না তবে কখনো তাদের সাথে মুসাফাহা করার বিশেষ প্রয়োজন হলে তার সাথে মুসলমানদের ন্যায় মুসাফাহা না করে কোনো দুআ পড়া ছাড়া হ্যান্ডশেক করে নেবে

আর নমস্কার সম্পূর্ণ হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি এবং হিন্দুদের ধর্মীয় প্রণাম তাই মুসলমানদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় হিন্দুরা নমস্কার বললেও মুসলমানদের এটি বলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক

* >المحيط البرهاني< /১৯-২০ : وأما التسليم على أهل الذمة فقد اختلفوا فيه أيضا، قال بعضهم: لا بأس به؛ ... وقال بعضهم: لا يسلم عليهم؛ ... وهذا إذا لم يكن للمسلم حاجة إلى الذمي، فإن كانت للمسلم حاجة، فلا بأس بالتسليم عليه؛ لأن النهي عن السلام لتوقيره، ولا توقير للذمي إذا كان السلام لحاجة. ويكره مصافحة الذمي؛ لأن فيه توقير الذمي. ولا بأس برد السلام على أهل الذمة، ولكن لا يزاد على قوله: وعليكم.

* >رد المحتار< /৪১২: (قوله كما كره للمسلم مصافحة الذمي) أي بلا حاجة؛ لما في القنية: لا بأس بمصافحة المسلم جاره النصراني إذا رجع بعد الغيبة، ويتأذى بترك المصافحة اهـ. تأمل.

বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩০৬; উয়ূনুল মাসায়েল, পৃ. ১৮১; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৪২৩; আয্যাখীরাতুল বুরহানিয়া ৭/২৬৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩২৫, ৩৪৮; মিরকাতুল মাফাতীহ ৮/৪৭০; ফাতাওয়া রহীমিয়া ১০/১২৬ 

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন