শেহজাদ - ধুনট, বগুড়া
৬৮৩০. প্রশ্ন
আমার দাদু মারা যাওয়ার আগে এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে, বিছানায় শুয়ে শুয়ে মাথা দ্বারা ইশারা করে নামায পড়ার সক্ষমতাও তার ছিল না। প্রায় এক বছর তার এ অবস্থা ছিল। এর আগে অসুস্থতা কম থাকায় নামায পড়তেন। কিন্তু কেরাত, রুকু-সিজদা এবং রাকাতে ভুল করতেন। তখন পাশ থেকে একজন সূরা পড়া, রুকু-সিজদা করার কথা বলে দিত। আর তিনি এগুলো শুনে শুনে আদায় করতেন।
এখন জানার বিষয় হল, তিনি যে বছর খানেক ধরে নামায পড়তেই পারেননি, সেজন্য তার পক্ষ থেকে তার ওয়ারিশদের কী করতে হবে? আর এর আগে কিছুদিন অন্যের সহযোগিতা নিয়ে যে নামাযগুলো পড়েছেন, ঐ নামাযের কী হুকুম? তা কি আদায় হয়েছে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার দাদু যেহেতু ঐ সময়গুলোতে শুয়ে মাথা দ্বারা ইশারা করে নামায পড়তেও সক্ষম ছিলেন না, তাই ঐ সময়গুলোর নামায তার যিম্মা থেকে মাফ হয়ে গেছে। অতএব আপনাদেরকে ঐ নামাযগুলোর ফিদইয়া দিতে হবে না।
আর অসুস্থতা কম থাকা অবস্থায় তিনি যে নামাযগুলো অন্যের সহযোগিতা নিয়ে পড়েছেন, তা আদায় হয়ে গেছে। পাশ থেকে অন্যের নির্দেশনামতে তার নামায আদায় করাতে কোনো সমস্যা হয়নি। অতএব সে নামাযগুলোরও ফিদইয়া আদায় করতে হবে না।
রুকাইন রাহ. বলেন–
دَخَلْتُ عَلَى أَسْمَاءَ وَهِيَ تُصَلِّي وَهِيَ عَجُوْزٌ، وَامْرَأَةٌ تَقُوْلُ لَهَا: ارْكَعِيْ وَاسْجُدِيْ.
আসমা রা.-এর বার্ধক্যের সময় আমি তার কাছে গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি নামায পড়ছেন আর এক মহিলা (পাশ থেকে নামাযের পদ্ধতি বাতলে দিয়ে) বলছেন, আপনি এখন রুকু করুন, এখন সিজদা করুন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৩৪৯৭)
* >الفتاوى من أقاويل المشايخ< للسمرقندي، ص ৯৮ : وقال أبو بكر: إذا صار المريض بحال لا يستطيع أن يصلي على حالة من الأحوال، يعني لا بالإيماء ولا بغيره حتى مات، فإنه لا تجب عليه شيء من كفارة الصلاة، ولا يكون مأخوذا، وإن برئ وصح فإنه يكون مأمورا، بأن يقضي تلك الصلاة. قال الفقيه: يعني إذا كان ذلك أقل من يوم وليلة، وأما إذا كان أكثر من يوم وليلة، لا يجب عليه القضاء وإن برأ، كما قالوا في المغمى عليه.
–কিতাবুল আছল ১/১৯০; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/১০৫; আল-বাহরুর রায়েক ২/১১৬; জামেউর রুমূয ১/২৪৬; আদ্দুররুল মুনতাকা ১/২২৮; ই‘লাউস সুনান ৭/১৯৮