খালেদ - চট্টগ্রাম
৬৭৪৪. প্রশ্ন
আমরা কয়েকজন শরীক হয়ে কুরবানীর উদ্দেশ্যে একটি গরু ক্রয় করেছি। এটির কুরবানী সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন হল, সমাজে অনেক সময় দেখা যায়, কুরবানীর পশু জবাইয়ের আগে জবাইকারীর হাতে সকল শরীকের নামের তালিকা দেওয়া হয়। সে তা পড়ে সবার নিয়ত করে তারপর জবাই করে।
প্রশ্ন হল, এভাবে সবার নাম পড়ে কিংবা সবার নিয়ত করে জবাই করা কি জরুরি, নাকি সে এমনিতেই জবাই করে দিলেও সবার কুরবানী আদায় হয়ে যাবে? বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে উপকৃত করবেন।
উত্তর
না, জবাইকারীর জন্য পশু জবাইয়ের আগে কুরবানীদাতা শরীকদের নামের তালিকা পড়া জরুরি কিছু নয়; বরং মালিক বা শরীকদের সম্মতিতে ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার’ বলে জবাই করাই কুরবানী আদায়ের জন্য যথেষ্ট। মূল বিষয় হচ্ছে, যাদের কুরবানী হচ্ছে তাদের নিয়ত। কুরবানীদাতাদের নিয়ত থাকার পর জবাইয়ের সময় নাম ঘোষণা না করলেও বা জবাইকারী তাদের নিয়ত না করলেও তাদের পক্ষ থেকে যথাযথভাবেই কুরবানী আদায় হবে।
উল্লেখ্য, হাদীস শরীফে কুরবানীর পশু জবাই করার সময়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি দুআ বর্ণিত হয়েছে। যেগুলোতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীদাতা হিসেবে নিজের নাম উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে একটি হল–
بِاسْمِ اللهِ، اللهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ، وَآلِ مُحَمَّدٍ، وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ.
আল্লাহর নামে জবাই করছি। হে আল্লাহ! আপনি তা কবুল করুন মুহাম্মাদ ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে এবং তার উম্মতের পক্ষ থেকে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৬৭)
এ রকম আরও দুআ রয়েছে। কেউ নিজেদের কুরবানীর পশু জবাই করার সময় যদি এই দুআগুলো পড়ে, তাহলে اللهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ-এর পরে নিজের বা নিজেদের নাম বলবে।
* كتاب >الأصل< ৫/৪০৬ : قلت: أرأيت إذا ضحوا بالبقرة أو بالبعير عن سبعة، هل يكتفون من ذلك بالنيات إذا ذبحوها ولا يسمون أسماءهم؟ قال: نعم.
–শরহু মুখতাসারিল কারখী, ইমাম কুদূরী ৬/৩৮২; খিযানাতুল আকমাল ৩/৫১২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০০; আততাহকীকুল বাহির ১/২৬২