যিলহজ্ব ১৪৪৬ || জুন ২০২৫

শাতিলা - উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ

৬৭৪০. প্রশ্ন

আমার স্বামীর সঙ্গে এবার হজ্বে এসেছি। আল্লাহর রহমতে হজ্বের যাবতীয় কার্যক্রম ভালোমতে-ই আদায় করেছি। হজ্বের পর নফল তাওয়াফ করারও সুযোগ হয়েছে। ইচ্ছা ছিল দেশে ফেরার আগে তাওয়াফে বিদা করেই দেশে ফিরব। কিন্তু তখন ঋতুস্রাব থাকায় তাওয়াফে বিদা না করেই দেশে চলে আসতে হয়।

হুজুরের নিকট প্রশ্ন হল, তাওয়াফে বিদা না করেই যে দেশে চলে এসেছি, এর কারণে কি আমাকে কোনো জরিমানা দিতে হবে?

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ওপর কোনো জরিমানা ওয়াজিব হয়নি। কেননা প্রথমত ঋতুস্রাবের কারণে নারীদের থেকে তাওয়াফে বিদা মাফ হয়ে যায়। তাই এ কারণে তাওয়াফে বিদা না করতে পারলে তাদের ওপর কোনো জরিমানা ওয়াজিব হয় না।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন

أُمِرَ النَّاسُ أَنْ يَكُوْنَ آخِرُ عَهْدِهِمْ بِالْبَيْتِ، إِلَّا أَنَّهُ خُفِّفَ عَنِ الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ.

লোকদেরকে আদেশ করা হয়েছে যে, তাদের সর্বশেষ কাজ যেন হয় বাইতুল্লাহ্র তাওয়াফ। তবে এক্ষেত্রে ঋতুমতী মহিলাকে অবকাশ দেওয়া হয়েছে। (সহীহ মুসলিম, বর্ণনা ১৩২৮)

দ্বিতীয়ত, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তো আপনি তাওয়াফে যিয়ারতের পর একটি নফল তাওয়াফ করেছেন। তাই এক্ষেত্রে আপনার এ নফল তাওয়াফটিই তাওয়াফে বিদা হিসেবে গণ্য হয়েছে। কেননা কেউ যদি তাওয়াফে যিয়ারতের পর কোনো নফল তাওয়াফ করে, এরপর দেশে ফেরার আগে তাওয়াফে বিদার নিয়তে কোনো তাওয়াফ নাও করে, তবে সেক্ষেত্রে ঐ নফল তাওয়াফই তার তাওয়াফে বিদা হিসেবে আদায় হয়ে যায় এবং তার ওপর কোনো জরিমানা ওয়াজিব হয় না।

* >المبسوط< للسرخسي ৪/৪১ : وليس عليها لترك طواف الصدر شيء؛ لأن للحائض رخصة في ترك طواف الصدر.

বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৩৩; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪৫৩আলমাসালিক ফিল মানাসিক ১/৪৩২, ৪৩৬; রদ্দুল মুহতার ২/৫২৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন